আজ থেকে ৮২ বছর আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন চিরবিদায় নিয়েছেন। শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতনজুড়ে বিষাদের কালো মেঘ। খাঁ খাঁ করছে উত্তরায়ণ ও ব্রাহ্ম মন্দির। তবু তাঁর অলৌকিক ছোঁয়ায় আচ্ছন্ন চারদিক। শান্তিনিকেতন তখন তরুছায়াহীন প্রান্তরের এক ছোট্ট মরূদ্যান। বহুশাখায়িত একাডেমিক চর্চার পরিসরে বিশ্বভারতী তখন একটি ছোট বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র। তারপরও অন্তরের ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ; নানা দেশের ধ্যানী-জ্ঞানী, কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, ভাবুক-রসিক, জ্ঞানসাধকের সরব উপস্থিতি প্রাণময় ও আনন্দময়। সেদিনের সেই শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন সংগীত ভবনের শিক্ষার্থী হয়ে সুচিত্রা মুখোপাধ্যায় নামের এক ছিপছিপে সপ্রতিভ কিশোরী। রোগা মনে হলেও চোখেমুখে ছিল প্রাণের দীপ্তি ও বুদ্ধির প্রাখর্য।
এ কিশোরীই এককালে হয়ে ওঠেন রবীন্দ্রসংগীতের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী সুচিত্রা মিত্র। তাঁর জন্ম ১৯২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চলন্ত ট্রেনে। ট্রেন থামাতে হয়েছিল বিহারের শালবনঘেরা অখ্যাত স্টেশন গুজুন্ডিতে। বাবা খ্যাতিমান সাহিত্যিক সৌরীন্দ্র মোহন মুখোপাধ্যায় ছিলেন জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন। শৈশবেই গানের প্রতি আগ্রহ দেখে পিতৃবন্ধু রবীন্দ্রসংগীতের প্রাণপুরুষ পঙ্কজ মল্লিক তাঁকে গান শেখাতে শুরু করেন। সুচিত্রার পড়াশোনা শুরু হয় বেথুন স্কুলে। তারপর স্কটিশ চার্চ কলেজ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেথুন স্কুলে গান শেখেন অমিতা সেনের কাছে। সংগীত শিক্ষায় স্কলারশিপ নিয়ে সুচিত্রা যখন শান্তিনিকেতনে এলেন, তার মাত্র ২০ দিন আগে রবীন্দ্রনাথ অমৃতলোকবাসী হয়েছেন। শান্তিনিকেতনের সংগীত ভবনে এসে সান্নিধ্য পেলেন ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী, শৈলজারঞ্জন মজুমদার, শান্তিদেব ঘোষের মতো সংগীতগুরু ও সাধকদের। তাঁদের কাছ থেকে রপ্ত করে নেন রবীন্দ্রনাথের গান ও শাস্ত্রীয় সংগীত।
সুচিত্রা মিত্র গান, আবৃত্তি ও অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমবাসীকে। তাঁর সুরেলা কণ্ঠে অসামান্য ও স্পষ্ট উচ্চারণ সহজে মন কেড়ে নিত। তখন শান্তিনিকেতনের আশ্রমজীবনে কেবল সমবেত গান করার রেওয়াজ ছিল। তাই শোক–দুঃখে, আনন্দ–উৎসবে কেবল সম্মেলক গানই পরিবেশিত হতো।
সুচিত্রা খুব অল্প সময়ের মধ্যে সর্বজনপরিচিত হয়ে ওঠেন। সে সময় শান্তিনিকেতনের চত্বরজুড়ে চলছিল নক্ষত্র সমাবেশ। তার মধ্যে সবার ওপরে ছিলেন সুচিত্রা মিত্র ও কণিকা বন্দোপাধ্যায়—রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্যা মোহর। আরও ছিলেন অরুন্ধতী গুহঠাকুরতা, যিনি উত্তরকালে চলে যান চলচ্চিত্রে। আর সবার ওপরে ছিলেন চতুর্থ বর্ষের একঝাঁক ধ্যানী ও মেধাবী শিক্ষার্থী, যাঁদের কেউ কেউ উত্তরকালে বিশ্ববিখ্যাত হয়েছিলেন। দিনকর কৌশিক, শিল্পী-শিল্পসমালোচক পৃথ্বিশ নিয়োগী, জয়া আপ্পাস্বামী, অস্কারজয়ী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় প্রমুখের উজ্জ্বল উপস্থিতিতে মুখর হয়ে থাকত শিক্ষা কলা সংগীত ভবন। খাওয়াদাওয়া, গানবাজনা, আশ্রম পিকনিক, উৎসবে মেতে থাকত সবাই। সবাইকে বৈতালিক গান গাইতে আসতে হতো সংগীত ভবনে। ‘প্রাণের সঙ্গে প্রাণে/ সে যে মিলিয়েছে এক তানে/ ভাইয়ের সঙ্গে ভাইকে সে যে করেছে এক মন’—আশ্রম সংগীতের এ পঙ্ক্তি তখন আক্ষরিক অর্থেই সত্য ছিল। তখন থেকে সুচিত্রা মিত্র গান, আবৃত্তি ও অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমবাসীকে। তাঁর সুরেলা কণ্ঠে অসামান্য ও স্পষ্ট উচ্চারণ সহজে মন কেড়ে নিত। তখন শান্তিনিকেতনের আশ্রমজীবনে কেবল সমবেত গান করার রেওয়াজ ছিল। তাই শোক–দুঃখে, আনন্দ–উৎসবে কেবল সম্মেলক গানই পরিবেশিত হতো। এর মধ্যেও সুচিত্রা নিজেকে আলাদা করে তুলে ধরতে সক্ষম হন নানা মঞ্চের অনুষ্ঠানে। স্পষ্ট, শুদ্ধ উচ্চারণ; বলিষ্ঠ গায়নভঙ্গি সুচিত্রা মিত্রকে আলাদা করে চিনিয়ে দিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
প্রথম জীবনে রবীন্দ্রসংগীতে যে স্বকীয় ধারার ছাপ রাখেন, সেই ধারা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বহন করে নিয়ে গিয়েছেন তিনি সাধনা ও অনুশীলন দিয়ে। রবীন্দ্রসংগীতে যে ধারার শিল্পী হিসেবে সুচিত্রা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, সেই ধারার পথিকৃৎ ছিলেন দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। যাঁর উত্তরসাধক শান্তিদেব ঘোষ এবং সফল উত্তরসূরি সুচিত্রা মিত্র। সুচিত্রা মনে করতেন, সুরের ঐশ্বর্য যতই থাক, বাংলা গান মানে বাণী বা ভাবের ঐশ্বর্য—এ কথা মানতেই হবে। আর সুরের সার্থকতা নয়, বাণীর কথা ভেবেই রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, সুখে-দুঃখে বাঙালিকে তাঁর গান গাইতেই হবে। রবীন্দ্রনাথের সেই মহার্ঘ উচ্চারণ সম্বন্ধে সুচিত্রা মিত্র ছিলেন গভীর সচেতন। তিনি যখন রবীন্দ্রনাথের গান গাইতেন, তখন বাণীর মর্মভাবনা আত্মস্থ করে তা অনুভব ও উপলব্ধির ভেতরে এনে গাওয়ার চেষ্টা করতেন। তিনি গান গাইতেন বোধের জগৎ থেকে; যেখানে শিল্প ও শিল্পী একাকার হয়ে উঠত। রবীন্দ্রনাথের গান যখন গাইতেন, তখন মনে হতো তিনি গান গাইছেন না, যেন নিজের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার কথাই বলছেন। পূজার গানে যে আত্মনিবেদন তা অন্য কারও নয়, তা যেন তাঁর একান্ত নিজেরই, দুঃখের গানে যে মর্মবেদনা তা–ও যেন তাঁর নিজেরই। আর এখানেই তাঁর স্বকীয়তা ও অনন্যতা। সুচিত্রা মিত্রের এই স্বকীয়তায় আপ্লুত হয়েছিলেন রবীন্দ্রভ্রাতুষ্পুত্রী শিল্পজ্ঞ ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী। তাঁকে আশীর্বাদ করে ইন্দিরা জানিয়েছিলেন, ‘আনন্দ বিলাও তুমি/ না করি কার্পণ্য।/ সুধা কণ্ডে সুধাগীত/ শুনি হই ধন্যা।।/ মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতৃবৃন্দ/ করি নিবেদন—। বারেবারে এসো ফিরে/ শান্তিনিকেতন।’
রবীন্দ্রনাথের বৈভবমণ্ডিত সৃষ্টিভুবনের সবচেয়ে শৃঙ্খলাবদ্ধ সৃষ্টি তাঁর গান, যা বলাই বাহুল্য। সুচিত্রার গানে পাওয়া যায় তাঁরই যথার্থ রূপ। তিনি রবীন্দ্রনাথের গান কেবল কণ্ঠ দিয়ে গাইতেন না, গাইতেন হৃদয় দিয়ে। উপলব্ধি, জ্ঞান ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে তৈরি করতেন গানের বৃত্ত। চল্লিশের দশকে সুচিত্রা মিত্র যোগ দেন গণনাট্য আন্দোলনে আইপিটিএর সক্রিয় সদস্য হিসেবে। এখানেই তাঁর সখ্য সম্পর্ক গড়ে ওঠে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, দেবব্রত বিশ্বাস, জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, বিনয় রায়, সলিল চৌধুরীর মতো খ্যাতিমানদের সঙ্গে। আইপিটিএর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগের সূত্রে তিনি পেয়ে যান সাধারণ মানুষের মধ্যে গান ছড়িয়ে দেওয়ার অপূর্ব সুযোগ। তিনি ছিলেন আপাদমস্তক শিল্পী। তাই সবখানে ছিলেন সমান স্বাচ্ছন্দ্য; তা সে ঘরোয়া আসর হোক কিংবা হাজার হাজার শ্রোতার গানের মজলিশ। রবীন্দ্রনাথের গানের মধ্যে এমন এক অমৃতের সন্ধান তিনি পেয়েছিলেন, যা তাঁর গায়নপদ্ধতি ও ভঙ্গিকে কেবল সমৃদ্ধ করেনি, জীবনেও এনে দেয় বলিষ্ঠতা ও সমৃদ্ধি। তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন, ‘আমার তো মনে হয় বাঁচার যে আগ্রহ, এই যে বিপদকে ভয় না করার যে শিক্ষা, জীবনকে নৈরাশ্যের সুরে ভারাক্রান্ত না করে তোলা, এই যে আলো–বাতাস, আকাশ–মাটি এ সবই যেন একান্ত আপনার মনে হওয়া—এ শিক্ষা গুরুদেবের গানের মধ্য দিয়েই পেয়েছি। জীবনে এর চেয়ে বড় মন্ত্র, বড় আনন্দ আমার আর নেই।’ ১৯৪৬ সালে দ্বিজেন চৌধুরীর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করেন রবিতীর্থ। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘকাল। সুচিত্রা মিত্রের নেতৃত্বে রবিতীর্থ আমেরিকা ও কানাডার নানা আসরে-মঞ্চে রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য প্রদর্শন করে রবীন্দ্রনাথকে জনপ্রিয় করে তুলতে পালন করেছে যুগান্তকারী ভূমিকা। তিনি আমন্ত্রিত হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও হাঙ্গেরিতে যান। সেখানে বিভিন্ন আসরে গান গেয়ে সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ার শ্রোতাদের মধ্যে রবীন্দ্র সাহিত্য ও দর্শনের মর্মবাণী ছড়িয়ে দেন।
আক্ষরিক অর্থে শিল্পী বলতে যা বোঝায়, সুচিত্রা মিত্র ছিলেন তা-ই। শিল্পের কত যে শাখায় তিনি কাজ করেছেন, যা এককথায় বলে বোঝানো যাবে না। রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে প্রবন্ধ রচনা, ছোটগল্প ও ছড়া লেখা, ছড়ার সঙ্গে ছবি আঁকা, পুতুল তৈরি আরও কত কী! রবীন্দ্রনাথের গানের ভেতর যে নাটকীয়তা রয়েছে, তার সংহত রূপটি তিনি কণ্ঠের পূর্ণ ব্যবহারে ছবি এঁকে দিতে পারতেন। সুচিত্রা মিত্রই আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন যে রবীন্দ্রনাথের গান কেবল কণ্ঠের গান নয়, এ হৃদয়ের গান এবং একে হৃদয় দিয়েই গ্রহণ করতে হয়। এ গান জীবনের সাথি, নিত্যদিনের সখা, লড়াই-সংগ্রামের হাতিয়ার। এ গান বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের বর্ম, দুঃখের রাতের পরানসখা-গভীরতম বেদনায় সান্ত্বনার স্নিগ্ধ প্রলেপ। আসলে রবীন্দ্রসংগীত কথাটি উচ্চারণ করলে যার মুখ প্রথমে ভেসে ওঠে, সেটি অবশ্যই সুচিত্রা মিত্রের। অবশ্য পঙ্কজ মল্লিক, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবব্রত বিশ্বাস, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে স্বীকার করে নিয়েই কথাগুলো বলছি। গান গেয়ে, গান ভালোবেসে কবে তিনি পথে নেমেছিলেন; তা হয়তো নিজেই জানতেন না। কিন্তু এটা তিনি জানতেন যে রবীন্দ্রের গানই তাঁর আশ্রয়। আর রবীন্দ্রনাথের গানের ঝরনাতলায় স্নান করেই বাঙালিকে জীবনের পূজা সম্পন্ন করতে হবে। রবীন্দ্রনাথ যে ধ্রুবপদ বেঁধে দেন, তাকেই জীবনের গানে মেলাতে চেয়েছেন সুকঠিন সাধনা ও গভীর ভালোবাসা দিয়ে। দুঃখের আঁধার রাত যখন তাঁর দুয়ারে আঘাত হানে, তখনো তিনি আশ্রয় খুঁজেছেন রবীন্দ্রনাথে।
সুচিত্রা মিত্র নিছক কণ্ঠশিল্পী ছিলেন না; তিনি ছিলেন ‘নটীর পূজা’র নটীর মতো শিল্পকে আত্মনিবেদনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া এক মগ্ন, সমর্পিত সাধিকা। আক্ষরিক অর্থে রবীন্দ্রসংগীতের ভাষ্যকার ও বিশ্লেষক বলতে যা বোঝায়, তিনি ছিলেন তা–ই। বলতে প্রলুব্ধ হচ্ছি যে রবীন্দ্রনাথের গানের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। এ জন্য পেয়েছেন অনেক সম্মান ও সম্মাননা। পশ্চিমবঙ্গের তিনটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদব বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধি দেয়। ১৯৪৫ সালে লন্ডনের ট্যাগর হাইম সোসাইটি তাঁকে ‘ট্যাগর হাইম অ্যাওয়ার্ড’ দেয়। ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করে ১৯৭৩ সালে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে দেশিকোত্তম প্রদান করে। সমাবর্তনে দাঁড়িয়ে চোখের জলে বলেছিলেন, ‘এ সম্মানের কি যোগ্য আমি।’ পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে দিয়েছে আলাউদ্দীর পুরস্কার। বহুমাত্রিক প্রতিভা ও প্রবল ব্যক্তিত্বের অধিকারী এই শিল্পী ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। দীর্ঘ রোগশয্যার পর ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি কলকাতার একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন না–ফেরার দেশে। ‘নয়ন সমুখে’ হয়তো তাঁকে আর কোনো দিন ফিরে পাওয়া যাবে না। তবে তিনি তাঁর গানের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবেন দীর্ঘকাল। তিনি বেঁচে থাকবেন এ জন্য যে তাঁর গায়নের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর দর্শন খুব সহজে ছুঁতে পারা যায়।
সভাপতি, মেহেরপুর বন্ধুসভা ও সহযোগী অধ্যাপক, মেহেরপুর সরকারি কলেজ