মায়ের হাত

কবির মা শোভা রাণী চৌধুরীছবি: সংগৃহীত

ভোররাতে মা এসেছিল স্বপ্নে
স্বপ্নে মা এসেছিল
তন্দ্রার ভেতর শরীরে তখন ঘাম দিয়েছে
রাতে জ্বর এসেছিল খুব
বারবার বিছানায় উঠে বসেছি
আলো জ্বালিয়ে মায়ের ঘরে গিয়ে পায়চারি করে এসেছি
এখন কপালে মায়ের হাত
লাউয়ের মাচায় ছড়িয়ে পড়েছে জ্যোৎস্না
টালির ফুটো দিয়ে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে চাঁদ
ছাত্র পড়িয়ে এসে কবিতা লিখতে বসতাম
সকালের জল খাবার দিয়ে
মা তখন পাঁকে জলে নেমে মাচা বানাত
আমি তো একটা খুঁটিও পুঁতে দিইনি কখনো
আমার জ্বর হলে মা জেগে থাকত
মায়ের জ্বর কপালে আমি তো কখনো মগে করে জল ঢালিনি
এখন শরীরে স্বর্গীয় অনুভূতি
আহা শান্তি! শান্তি!
মায়ের গভীর ধ্যানমগ্ন মুখ ঈশ্বরের কাছাকাছি
দু-চারটে কাপড় পুঁটলিতে বেঁধে বাঁচার জন্য যেভাবে আমরা কাঁটাতার ডিঙিয়ে এসেছি
জীবনের যত কাঁটাতার পেরিয়ে আবার আমি চলে যাচ্ছি চলে যাচ্ছি মায়ের কাছে
একটা প্যারাসিটামলের এত ক্ষমতা নেই
মায়ের হাতের পরশে যত শান্তি আছে