তুমি ছাইড়্যা যাওনের পর কতকাল ছন্নছাড়া হইয়া রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি,
কতকাল বেহান বেলা থাইক্যা সইন্ধ্যা-রাইত পর্যন্ত তোমারে খুঁইজ্যা বেড়াইছি এই পাড়া-ওই পাড়া; হেই কথা কুনু দিন তুমি জানবার পারবা না। শরীর পুইড়্যা যাওয়া রইদে তোমারে খুঁইজ্যা কত দুপুর উপুড় করছি, তুমি কুনু দিন হেই কথা জানবার পারবা না। তোমারে পাওনের লাইগ্যা কতকাল কাইন্দা ভাসাইছি জায়নামাজ, খোদার দরবারে মরা কান্দনে ভাসাইছি বুক; হেই কথা তুমি কুনু দিন জানবার পারবা না।
জানবার পারবা না, তুমি ছাইড়্যা যাওনের পর গাঁওগেরামের মানুষ আমারে দেইখ্যা কতটা ঘেন্নায় নাক টিপ্যা ধরে, কতটা ঘেন্নায় মুখ ফিরাইয়া নেয়। রাস্তা দিয়া হাঁইট্যা গেলে মানুষ আমারে দেইখ্যা ছি ছি কইরা দূরে সইরা যায়। আমারে পাগল কইয়া ডাহে। পাগল ভাইবা গেরামের ছোড ছোড পোলাপাইন রাস্তার পাথরের টুরহা আমার গায়ে ছুইড়্যা মারে। মাইনষের তাচ্ছিল্য দেইখ্যা খুব মন খারাপ অয়, কান্দন আহে। তবু কুনু দিন আমার কান্দন তুমি দেখবার পারবা না।
তোমার কথা ভাইবা কত রাইত নির্ঘুম কাটাইছি, তোমার ফডো বুকে লইয়া কানতে কানতে কত বালিশ ভিজাইছি; তুমি কুনু দিন জানবার পারবা না। আচ্ছা তুমি কইবার পারবা, মানুষ ভালোবাসলে মরা কান্দন কান্দে ক্যান?
বন্ধু, কিশোরগঞ্জ বন্ধুসভা