নেতৃত্বের অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করলেন মেসি!

লিওনেল মেসি ও এনজো ফার্নান্দেজছবি: ফিফা

একটা সময় ছিল যখন লিওনেল মেসির নেতৃত্ব নিয়ে চারদিকে সমালোচনা হতো। এমনকি আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়োগো ম্যারাডোনা পর্যন্ত তাঁর সমালোচনা করেছিলেন। সেই সময় এখন আর নেই, সবই অতীত। দিন বদলেছে, সেই সঙ্গে বদলেছেন মেসি। তাঁর নেতৃত্বে মাত্র দেড় বছরের ব্যবধানে কোপা আমেরিকা, লা ফিলাসিমিয়া ও বিশ্বকাপ জয় করেছে আর্জেন্টিনা। একসময় যাকে শান্ত স্বভাবের বলা হতো, সেই তিনি এখন সতীর্থদের আগলে রাখতে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঝগড়া করতেও পিছপা হন না! কাতার বিশ্বকাপের সময় যার ঝলক দেখেছে পুরো বিশ্ব।

এবার নেতৃত্বের আরও একটি উদাহরণ সৃষ্টি করলেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার সর্বশেষ ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলেননি লিওনেল মেসি। তাঁকে পুরো সময় বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে। টানা খেলার মধ্যে থাকায় তাঁকে মূলত বিশ্রাম দিয়েছেন কোচ লিওনেল স্কোলানি। এ কথা ম্যাচের আগের দিনই তিনি জানতেন। একই সময় ছেলে মাতিওর জন্মদিন ছিল। তাই মেসি চাইলেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ছেলের জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে দলের সঙ্গে থেকে যান।

বলিভিয়ার বিপক্ষে পুরো সময় বেঞ্চে বসেছিলেন মেসি
ছবি: টুইটার

অধিনায়কের এ সিদ্ধান্তকে স্যালুট জানিয়েছেন সতীর্থ রদ্রিগো ডি পল। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘মেসি একজন দারুণ নেতা এবং দলের জন্য ভালোবাসা ও যত্নের উদাহরণ। সে চাইলেই চলে যেতে পারত এবং মাতিওর জন্মদিন উপভোগ করতে পারত। কিন্তু সে এখানে (ম্যাচে) এসেছে।’

গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ যেন মেসির প্রশংসার ফুলঝুড়ি আরও বড় করে দিলেন। বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন এই গোলকিপার বলেন, ‘তাঁর মধ্যে তাড়না (জয়ের তাড়না) রয়েছে। সে চাইলেই বাড়িতে ফিরে যেতে পারত, কিন্তু যায়নি। আমাদের সঙ্গে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এটি আমাদের জন্য গর্বের।’ দীর্ঘদিনের সতীর্থ আনহেল ডি মারিয়া বলেন, ‘দলের প্রয়োজনে নিজেকে তৈরি রাখার জন্যই সে থেকে গেছে। শেষ দিন পর্যন্ত সে খেলার জন্য চেষ্টা করেছে।’

অবশ্য মেসি না খেললেও আর্জেন্টিনা বলিভিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে। তাঁর অভাব বুঝতেই দেননি অন্য সতীর্থরা।