গ্রাম আমাকে মায়ের মতো টানে। মায়ের শরীরের ঘ্রাণ যেমন সব কষ্ট দূর করে দেয়, তেমনই গ্রাম্য ঘ্রাণ আমাকে স্বস্তি দেয়।
এই গ্রীষ্মের দুপুরে কতশত আম চুরি করে ভর্তা বানিয়ে খেয়েছি! ধরা পড়ায় আম্মুর হাতের থাপ্পড়ও খেয়েছি অনেক। সব যেন অমৃত ছিল।
‘ঝড়ের দিনে মামার দেশে আম কুড়াতে সুখ,
পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ।’
পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ছড়াটার কথা খুব মনে পড়ছে। আরও মনে পড়ছে শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলোর কথা!
শহরের যানজটে শরীর যখন ক্লান্তপ্রায়, তখনই একটু স্বস্তির আশায় ফিরে যেতে মন চায় সেই সোনালি অতীতে।
একবার বৃষ্টির মধ্যে আম্মুর চোখ ফাঁকি দিয়ে আমতলায় গিয়েছিলাম আম কুড়ানোর জন্য। সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। সবাই মিলে বেশ মজা করেই আম কুড়াচ্ছিলাম; হঠাৎ আকাশে বিজলি চমকায়, ভয়ে আমার সেকি কান্না।
এখন সেসব দিনের কথা মনে পড়লে হাসি পায়। কতই-না ভিতু ছিলাম আমি। এখন সাহস আছে, তবে সময় নেই। বয়স বাড়ছে। একসময় হয়তো এই দিনগুলোকেও অনেক মনে পড়বে।
একটা প্রবাদ আছে, ‘যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ’। ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে পড়লে যেমন ভালো লাগে, ঠিক তেমনই মন খারাপ হয়।
বন্ধু, কিশোরগঞ্জ বন্ধুসভা