বৃষ্টিস্নাত দুপুর
ওই যে সেদিন মেঘলা আকাশ, ধু ধু চারিপাশ;
তুমি ছিলে একা দাঁড়িয়ে।
ভুলে যত দ্বিধা, যত দ্বৈধ, আছে যত সংশয়—
ছোঁয়ার ইচ্ছে হয়েও পারিনি হাতটি বাড়িয়ে।
এলোমেলো চুলে গেঁথে ছিলে জবা, কপালে লাল টিপ—
রঙিন চুড়িতে গেঁথে ছিলে হাত, আলতা রাঙা পায়ের নূপুর।
নূপুরের ধ্বনিতে মুখরিত আমি সে কি সুরের নেশা!
শুধু আমি নই, প্রাণ পেয়েছিল বেজায় অলস দুপুর।
চৈত্রের দিনে বৃষ্টি, কপালে তোমার দুফোঁটা জল।
ভেজাতে তোমায় বৃষ্টিরও বুঝি হয়েছিল অভিলাষ।
আমিও অতিশয় খোয়াবে ডুবেছি নিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়!
হাতটি ধরো ভিজব দুজনে আছে যত নিশ্বাস।
জানতে চেয়েও হয়নি বলা, তুমি কি জানো?
তুমিই মায়া, তুমিই মাধুরী, তুমিই মাধুর্য।
তোমারও আছে কি দুঃখ? দুঃখ কি তোমাকেও ছোঁয়?
তোমায় নিয়ে রচনা করব সুখের প্রাচুর্য!
আকাশের মন ভালো হলো, বৃষ্টিও গেল থেমে;
তুমিও গেলে চলে, বাড়ল আমার শূন্য বুকের হাহাকার!
চোখ দুটো হলো সিক্ত, সেই সেদিন থেকে;
আজও আলো আসে, তবু মনে হয় বদ্ধ কারাগার।
সেই শেষ দৃষ্টি, সেই যে হলো বিদায়! আজও দেয় না ভুলতে।
কতশত দিন পেরিয়ে গেল বৃষ্টির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকি সেথা।
বৃষ্টি আসলেও আসো না তুমি, শুনতে কি পাও?
নাকি অজস্র আর্তনাদ আর অভিযোগ সব তোমার কাছে বৃথা?