হঠাৎ চিৎকারের শব্দ। শেষে চিৎকারের উৎস বোঝা গেলেও শীতের ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তখনই রুমুর মনে পড়ল, ঘরে শুয়ে আছে অসুস্থ দাদি। কিন্তু দাদি এত সকালে উঠবে কেন! দৌড়ে দাদির ঘরে গিয়ে খুঁজে না পেয়ে এদিক–ওদিক তাকাতেই ধাক্কা খেল বড় রকমের। উঠানে পড়ে আছেন দাদি।
ততক্ষণে বাড়ির সবাই চলে এসেছেন। পাঁজাকোলো করে ঘরে নিয়ে যাওয়া হলো। ঠান্ডায় কাঁপুনি দিয়ে এই অবস্থা। হাত-পা হিম হয়ে গেছে। সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ়। দাদি কিছুটা সুস্থ হলে রুমু বলল, ‘আমরা যদি আগে থেকেই সাবধান হয়ে যেতাম, দাদির জন্য শীত নিবারণের ভালো ব্যবস্থা করতাম। ওনার একটু আলাদাভাবে যত্ন নিলে আজকে এ দিনটা দেখতে হতো না।’ সবাই তার কথায় সম্মতি জানাল।
বন্ধু, দিনাজপুর বন্ধুসভা