খেলতাম কত মোরা নানান রকম খেলা,
খেলেছি কানামাছি, বউ সাজি আর শৈশববেলা।
রিং আর গোল্লাছুটে ছিল খেলা শৈশবে অতি,
এখন খেলার সব হারালাম হারিয়ে গেছে রীতি।
কচুরিপানা দিয়ে রান্না করতাম মজা শাক,
আমগাছের শাল আর চুন দিয়ে করতাম ডাল পাক।
মিছেমিছি বউ সাজিয়ে নিয়ে যেতাম বাড়ি,
কারও সঙ্গে ঝগড়া হলে করতাম মজা আড়ি।
পাড়ার লোকের গাছ থেকে করতাম ফল চুরি,
রাতের বেলা আড্ডা দিতাম সঙ্গে নিতাম মুড়ি।
শৈশব ছিল দুরন্ত আর কেটে যেত তবুও বেলা,
শৈশবে কত করেছি হাজার রকম খেলা।
খেলার শেষে ফিরতাম নিজ নিজ নীড়ে,
বিকেলবেলা হতাম সব একসঙ্গে ভিড়ে।
এখন মনে হচ্ছে যেন শৈশবে ছিলাম সুখী,
সবুজ ঘাসের মাঠে খেলার জন্য বিকেলে হতো মুখী।
শৈশবের সেই ঘোরাঘুরি এখন বেশ মনে পড়ে,
শৈশবের স্মৃতি নাহি মোরা রাখতে পেরেছি ধরে,
মাঠের পরে মাঠ পেরিয়ে খেলতাম সবে মিলে,
কত রকম মাছ ধরেছি পাগলা দিঘির বিলে।
এখন তো আর খেলার জন্য করে না কেউ ডাকাডাকি,
শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো বুঝি অন্তরে দেয় উঁকি।