আমি একবারই ভীষণ প্রেমে পড়েছি

মডেল: সঞ্জয় চৌধুরী ও জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়াছবি: আসিফ ইসলাম তন্ময়

আমি একবারই ভীষণরকম প্রেমে পড়েছি। ঠকঠক করে জ্বর এসেছে। কাঁপতে কাঁপতে এঁকে ফেলেছি ক্যানভাসে তাঁর চোখ-ঠোঁট। তখনো শীতের শুরু। একবারই দেখেছি হবে। তবু কেন যে বৃষ্টি নেমেছিল! থেমেছিল মুখের ওপর…

দৃশ্য থমকে গেলে স্লো মোশনে ছুটে আসা রুপালি নায়িকার মতো মরণঝাঁপ দিতে চেয়েছি ওই বুকে। সে প্রেম আগুন—একে অপরের দেহে গেঁথে দেওয়া টকটকে লোহা গলন্ত লাভা মেখে অপরূপ এক ভোর। তবু টেকেনি প্রেম বহুজনম পর। টেকাতে গেলে যা যা করতে হয়, তার চেয়ে বড় বেশি করেছি বলে টেকেনি।

ভিখারি দেখলে সমাজ নাক কুঁচকায়। দূর ছাই করে। আমারও জায়গা হলো তাই ব্যস্ততার স্যাঁতসেঁতে কোণে। তখনো শীতের শুরু। কী ভীষণ বৃষ্টি। ভিজে শরীর ভারী হতে হতে কখন পাথর হয়ে গেল। প্রেমই আসে না আর। পূর্ণিমায় জ্বলজ্বল করে ক্ষত।

চাঁদের কি এত দাগ আছে? এখন আমাকে চাঁদ ভেবে ভুল করে যারা, তারা জানে না হাসতে হাসতে আমার সব অনুভব ফুরিয়েছে এমন, বৃষ্টি নামলেও আর রবীন্দ্রনাথ বুকে জড়াই না। লোকটাকে চরম প্রতারক মনে হয়।

চারদিকে হেমন্তের গন্ধ আর সাজানো সারি সারি প্রদীপ। তবে বিভূতিভূষণ বা জীবনানন্দের মতো নিজের মৃত্যু আমি দেখিনি কখনো; বরং ফুরফুরে হাওয়ায় আমার চুল ওড়ে অবাধ্য পাখিদের মতো। পাহাড়ে সূর্য উঠলে ছুটে যাই অবলীলায় আর্থ্রাইটিস এড়িয়ে। তোমার অনুতাপের জল এত গভীর, তা আমার কাছে এলে ঝরনা হয়ে যায়। তা থেকে কত নদী। মনে তো আমারও পড়ে। হাসি মনে মনে। চোখ বুজে বিড়বিড় করে বলি, ‘এই তো ভালোবাসি।’

বোয়ালখালী, কধুরখীল, চট্টগ্রাম