নৈঃশব্দের মৃত্যু
জানতাম, যেতেই হবে জীবনের নৈকট্যে
ভালোবাসার সুদীর্ঘ ক্রন্দনের কাছে।
হার মানতে হবে একদিন
গভীর আর্তনাদের অবগাহনে
মহাকাব্যের মতো ধ্বনিত জীবন
প্রকৃতির কাছে পাতার মতো উন্মীলন।
একটু একটু করে আলোকবিন্দু
ছড়ায় রশ্মি হিমালয় থেকে সিন্ধু।
ছায়াচ্ছন্ন সোপানে গড়ে স্বপ্নের মহল
একান্ত সংলাপে ভরা গ্রথিত সেসব।
রহস্যঘেরা সৃষ্টির এ খেলাঘরে
বুঝিনি, কী যে বিলয় সেখানে!
অবিনাশী কান্না শুধু হৃদয়জুড়ে
মৃত পাতার ক্রন্দনধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে
চোখের ভেতর স্বপ্নের টঙ্কার ওঠে নড়ে।
জীবনকে উপলব্ধি করতে চাওয়া আনন্দের মধ্যে
জন্মলগ্ন থেকেই সে ঘণ্টা বাজে।
ক্ষুধার্ত শকুন আকাশে ধেয়ে চলে
দৃশ্যমান মৃত মানুষের গন্ধ শোঁকে।
ক্ষণকালের ছন্দে ভুলে যাই সব
কানে বাজে না কোনো পাখির রব।
বহন করে চলেছি শুধু
জরা, দৈন্য আর সঙ্গে মৃত্যু।
যেতে হবে সে উৎসের কাছে
যেখানে আমার মতো আরও অনেকেই আছে।