অপূর্ণতার সাঁকো

ছবি: এআই/বন্ধুসভা

সবকিছু হারিয়ে অকূল সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে জীবন নদের কূলে ভিড়লাম জীবন্মৃতের মতো। এপারের গঞ্জনা সয়ে বয়ে বসে আছি ওপারের সুফলের আশায়। কিন্তু জীবন নদের দীর্ঘ নড়বড়ে সাঁকো পার হতে হবে অনিশ্চয়তাকে সঙ্গে নিয়ে।

বিগত কয়েক বছরে আমার ভাগ্য কিংবা জীবনের বিশেষ উন্নতি হয়নি। এখন ভাগ্যবদল বলতে যা বুঝতে শুরু করলাম, তা হলো দু–একটা টিউশনি পাওয়া। হেলেদুলে কখনো সকালে আর কখনো সন্ধ্যায় টিউশনের গোড়ায় জল ঢেলে কোনোমতে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা ছাড়া আর কোনো চিন্তার ফোঁটাও নেই মাথায়। চাকরির আশায় কত টেবিলে ফাইল রেখেছি, কত সরকারি–বেসরকারি দপ্তরে ঘুরেছি, তার ইয়ত্তা নেই। চাকরি আমাকে শক্তভাবে আলিঙ্গন করতে না করতেই দূরে ঠেলে দেয়। একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকি। ভাইভা থেকে উদ্ভট প্রশ্নের বলি হয়ে ফিরে এসেছি বহুবার। পাসপোর্ট সাইজের ছবি আর একগাদা সনদের ফটোকপি জমা দিতে দিতে টিউশনির অল্প টাকাগুলোও হাওয়া হয়ে যায়। মাসের শেষ দিকে দাঁত খিঁচিয়ে অযথা ফাইল ওলটানো ছাড়া করার কিছুই থাকে না।

আজ মাসের ১০ তারিখ সম্মানীর আশায় ছুটির দিনেও পড়াতে এসেছি। মাসের ১ তারিখ থেকে স্টুডেন্টকে বলার ছলে আড়েঠারে বেতনের কথা বলেছি ছেলের মাকে। কার কথা কে শুনে? তারাও জেনে গেছে যে আমার ছেড়ে আসার আর বিকল্প পথ নেই। কোনো উপায়ান্তর নেই দেখে আমিও আঁকড়ে ধরলাম ধানি জোঁকের মতো। মাঝেমধ্যে ডাইনিং রুম থেকে আলমারি খোলার শব্দ শুনলে খুশি হয়ে যাই। গলা বাড়িয়ে উঁকিঝুঁকি দিয়ে দেখি, খামে ভরা কিছু আসছে কি না! পরে দেখি, নিয়মমাফিক দুটি বেলা বিস্কুটের সঙ্গে এক কাপ চা। ধূমায়িত চায়ের চুমুকের আবেগ অকালেই মরতে শুরু করেছে; ইতস্ততে কিছু বলতে গিয়ে ঢোঁক গিলে চুপে যাই।

ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে দূর থেকে দেখলাম, জামাল খান মোড়ে জেব্রা ক্রসিং পার হচ্ছে এক নবদম্পতি। টিউশন–ফেরত আমি রাস্তা পারাপারের দৃশ্যটি দেখে ভাবনার জাল বুনতে লাগলাম।

সম্মানীর আশায় পড়াতে এসে আজও বিশেষ ফল হয়নি। পর্দার ওপাশ থেকে মুখ বাড়িয়ে শিক্ষার্থীর মা নির্দ্বিধায় বলে দিয়েছেন, ‘হাসান, তোমার আঙ্কেল অফিস থেকে এখনো বেতন পাননি। পেলেই তোমাকে মিটিয়ে দেব।’

মুখে কপট হাসির রেখা টেনে মন খারাপ করে বেরিয়ে এলাম। ভাবলাম, সবকিছু ছেড়েছুড়ে দিয়ে দিব্যি বসে থাকব, কিন্তু তাতে এক দিনও চলবে না ভেবে নিজেকে সংযত রাখলাম। মেসে ফিরে গিয়েও শান্তি নেই। এক মাস শেষ হয়ে ১০ দিন গড়াল, বাড়িভাড়ার তাড়া খেয়ে চলেছি কয়েকদিন যাবৎ। এসব ভেবে ভেবে চিন্তাগ্রস্ত মন নিয়ে ফুটপাতে ঢিলেঢালাভাবে হাঁটছি।

ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে দূর থেকে দেখলাম, জামাল খান মোড়ে জেব্রা ক্রসিং পার হচ্ছে এক নবদম্পতি। টিউশন–ফেরত আমি রাস্তা পারাপারের দৃশ্যটি দেখে ভাবনার জাল বুনতে লাগলাম। মেয়েটি তার বাঁ হাতে শাড়ির কুঁচি সামলে নিয়ে ডান হাতে ছেলেটির হাতে হাত রেখে হাঁটছে। অঙ্গসজ্জা ও ম্যাচিং করে পরা কাপড়ে দূর থেকেও যে কারও চোখ আটকে যাবে। মেয়েটির হাতে জড়িয়ে রাখা ব্যক্তিটি ঠিক ছেলে নয়, মাঝবয়সী পুরুষ। তার বাবুয়ানিতে বয়সের ছাপ কিছুটা কমে এসেছে, কিন্তু পুরোপুরি বয়সের সংখ্যাটা আড়াল করতে পারেনি। বুক থেকে ঝুলে পড়া পেট আর কাঁচা–পাকা চুলে কিছুটা ধরা পড়ছে। ওর কেতাদুরস্তের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে মেয়েটির রূপের দীপ্তি।

ওরা হাসতে হাসতে হাঁটছে, কী এমন কথা হচ্ছে ওদের মধ্যে ঠিক আঁচ করতে পারলাম না। হাসিতে সামনে ঢলে পড়ছে মেয়েটির খোলা চুলের লহর; ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ছে হাওয়ার ওপর। হাবভাব দেখে বোঝা যাচ্ছে, আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঘুরতে বেরিয়েছে ওরা। ধরে নিলাম, ওরা হয়তো ঘুরতে এসেছে চেরাগী পাহাড়ের ফুল বিতানে; ফুলের মতো ফুটফুটে সুন্দরী সঙ্গীনিকে জীবন্ত ফুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাবে বলে। নয়তো হেসেখেলে আড্ডায় বাতিঘরে কফির পেয়ালায় চুমুক বসাবে বলে।

মগ্নচেতনে একবার ভাবলাম, ওরা বাতিঘরের সুবিশাল বইয়ের রাজ্যে বুক ভরে টেনে নেবে সুঘ্রাণ। মেয়েটি তাক থেকে কোমল হাতে টেনে নেবে কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ। চোখাচোখিতে নবপতির হাতে তুলে দেবে সুশ্রী মলাটের বই। তারপর কানে ফুল গুঁজা রমণীর পাশে বসে মধুর সুরে ওই ব্যক্তি কোমল কণ্ঠে শোনাবে ‘অনন্ত প্রেম’ কবিতা—‘তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি/ শত রূপে শত বার/ জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার...’।

এসব ভাবতে ভাবতে শিউরে উঠলাম। ঘোর কেটে গেল। আমার প্রিয় সব কথা, প্রিয় সব অনুভূতি অন্যের ওপর চালান করছি দেখে কিছুটা আশাহতও হলাম। বছরের পর বছর হৃদয়ের পিঞ্জরে যে বাবুই পাখি পুষেছিলাম, তাকে নিয়েই তো এত সব স্বপ্ন বোনা। আজ তা অন্যের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছি নিরাসক্তের মতো!

সেদিনই তো আমার টানাপোড়েনের ফাঁকফোকরে পুষে রাখা বাবুই পাখিটি উড়াল দিল কোনো এক আদি অন্তহীন সুবিশাল আকাশে। আমি উড়ন্ত বেলুনের মতো ধরতে গিয়ে নাগাল পেতে না পেতেই সে একেবারে উড়ে গেল অন্তরীক্ষে। কোন আকাশের বিস্তীর্ণ বুকে তার ঠাঁই হয়েছে, তা আমার দৈন্য চোখে গোচর হয়নি। তবু আশাহত মনে অবোধ বালকের মতো শূন্য আকাশ দেখি। দিগন্তের শেষ সীমানায় বিস্ফারিত দৃষ্টি বিলিয়ে দিই। পাখির ডানা ঝাপটানিতে মুক্ত আকাশে উড়ে যাওয়া দেখে হৃদয়ে মেঘ জমা হয়। বিষাদিত মন নিয়ে শুধুই উপভোগ করি, কল্পনার জগতে গভীর মমতায় জড়িয়ে নিই, কিন্তু স্পর্শ করতে পারি না। কেবল নির্লিপ্তের মতো সৌন্দর্যে মুগ্ধ হই।

আশানাশিনীর কথা ভাবতে ভাবতে হাঁটছি উদ্দেশ্যহীনভাবে। শহরের ধূলিধূসর গোধূলি আকাশে ছন্নছাড়া পাখিরাও উড়ে যাচ্ছে নিজ গন্তব্যে।

আমার কোনো সুখের নীড় নেই যে সেখানে গিয়ে হাঁপ ছেড়ে ক্লান্তির শ্বাস ছাড়ব। শ্রান্ত মনে আত্মভোলার মতো সন্ধ্যা আকাশের পাখির উড়ে যাওয়া দেখছি, পায়ে পায়ে মানুষের হেঁটে যাওয়া দেখছি। যুগল জীবনের অনিন্দ্যসুন্দরের সুধা অনুভব করছি দূর থেকে। পাখির উড়ে যাওয়ার সৌন্দর্য দেখে নগরীর ব্যস্ত মানুষের উৎসুকতা দেখে নিজের ভাবনাকে, হাঁটাচলার শোভাকে একেবারেই প্রশ্রয় দিচ্ছি না এবং প্রশ্রয় দিইনি কোনো দিন। আমার সব সৌন্দর্যবোধ ও ভাবনা ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে। অপূর্ণতা তার পায়ে পায়ে মাড়িয়ে দলিত–বিদলিত করে দিয়ে গেছে আমার সব অপূর্ব আশা।

দূর থেকে ঠিক ঠাওর করতে পারিনি পারাপাররত মেয়েটির আনন্দচিত্তকে। একটু কাছে আসতেই ক্ষণিক মনে হয়েছে, মেয়েটি প্রেমা। হ্যাঁ, সত্যিই সে তো আমার দুঃখ! তবে দেখতে ঠিক প্রেমার মতোই। আমাকে দেখামাত্রই সে চোখ নামিয়ে নিল নিবিড় মৌনতায়। তবে তার দুচোখের তারায় ক্ষণিক মিলন হলো আমার অনুভবের। বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো জড়ো হয়ে থমকে দাঁড়ালাম। হৃদয়ে বয়ে গেল মহাসমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গায়িত ঢেউ। আর আমি মিশে যাচ্ছি সময়ের অতলস্পর্শী চোরাবালির করাল গ্রাসে। মনে হচ্ছে, যেন সন্ধ্যার হাতছানিতে হৃদয়ে এক প্রলয় ঝড় বয়ে গেল আচম্বিতে।

প্রেমার আমূল পরিবর্তনে আমার চোখকে বিশ্বাস করাতে বেগ পেতে হলো ক্ষণিক। চোখের সম্মুখে ঘটে যাওয়া দৃশ্যটি মনে হলো এক ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন। হতবুদ্ধিকর এক ধোঁয়াশা লেগে আছে সর্বাবয়বে। ওর শীতল হাওয়া লেগে আমার হৃদয়ে মেঘ জমেছে; চোখের কোণে মুক্তাদানার মতো অশ্রুবিন্দু থমকে আছে ঝরে পড়ার অপেক্ষায়। ধীরে চলে যাওয়া পথের দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে অসাড়তা ভর করেছে, আর ব্যক্তিটি পরম মমতায় সতর্ক চোখে রাস্তা পার হচ্ছে ওকে নিয়ে।

ঈর্ষণীয় চোখে ওদের হাতের বাঁধনের দিকে তাকিয়ে রইলাম। যতক্ষণ না পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যায়, ততক্ষণ অপলক চোখে চেয়ে রইলাম পথের দিকে। আর আমি বিরস মুখে কেবল চলে যাওয়া পথের দিকে চেয়ে মনে মনে প্রশ্ন করে বসলাম, এত সংযমিনী চোখ, সংযতবাক ও স্থিতধী কখন হলে প্রেমা?

একসময় আমিও তো ভেবে রেখেছিলাম, এভাবে সতর্ক চোখে রাস্তা পার হব প্রেমার হাতে হাত রেখে। হুডতোলা রিকশায় ঘুরে বেড়াব পুরো শহর। আলুলায়িত চুল আর শাড়ির কুঁচি ভাঁজ করে দেব পরম স্নিগ্ধতায়। আর ঘুরে বেড়াব তার ভালোবাসার সুবিশাল রাজ্যে। ফুটপাতের কোনো এক বেনামি টং থেকে ধূমায়িত চায়ের কাপে চুমুক বসাব গভীর মমতায়। সেসব ছিল কল্পলোকের কল্পিত কল্পনা। আর আমার বাস্তবতায় আছে কেবল দুটি টিউশনি আর চাকরির দৌড়ঝাঁপ। প্রেমাকে অভিযোগের আস্ত ভার চাপানো ঠিক হবে না বলেই মুখে কুলুপ এঁটে আছি। নিজের প্রতি অভিযোগ করতে পারলেই ভালো লাগত। কিন্তু নিয়তি নামক এক দৃঢ় বলয়ের মধ্যে আবদ্ধ বলে তা–ও পারছি না।

একসময় প্রেমার কাছে আমিই সর্বেসর্বা থাকলেও তার বংশের মুখে চুনকালি ছাড়া কিছুই ছিলাম না। উচ্চবংশীয় সরকারি চাকরিওয়ালা সাহেবদের সম্মুখে ভবঘুরে আমি ছিলাম কেবল বালির বাঁধ। ঢলের পানিতে নয়, কেবল এক ফুঁয়ে সরে যেতে হলো প্রেমার জীবন থেকে। কে কার জীবন থেকে সরে গেলাম, বুঝতে পারলাম না। প্রেমার জীবন থেকে আমি সরে গেলাম, নাকি সে দূরে চলে গেল আমার মনের কৌটা থেকে। বুঝে ওঠার ফুরসতও ছিল না। কেউ কাউকে দোষারোপ করিনি সেদিন, আজও করছি না। কিন্তু অনুতাপ করছি, আক্ষেপ করছি, না পাওয়ার ঈর্ষার আগুনে গদগদ করে জ্বলছি। এমন এক পরশ্রীকাতরতায় হাঁসফাঁস করছি, যেখানে আমার ভেতর থেকে আপনা–আপনি একটা আক্ষেপ বাক্য বেরিয়ে আসে—‘ইশ্, আমি পারিনি ওকে নিজের করতে...’। তবে কিছু অনুভূতি জমাতে পেরেছিলাম বলেই সেসব নিয়ে আজও মাতম করছি। জানি, নিরবধি দুঃখের সাগরে এটুকুতেই অবলার সুখ। এ ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিয়ে সুখের দেনা মেটাব সারা জীবন।

স্তব্ধের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অন্ধকার আমাকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ধরেছে। সংবিৎ ফিরে পেয়ে আমার হাতের দিকে তাকালাম। এখনো আমার হাতের ওপর প্রেমার প্রসন্ন হাতের স্পর্শ অনুভব হচ্ছে। আমি হাত উঁচা করে আলতো একটা চুমু খেলাম। মনে পড়ল, তখন আমরা সন্ধ্যাবেলার আলো–আঁধারিতে সার্জন রোডের নির্জনতায় বেসুরো গলায় একটা গান গাইতাম। সামনে এগোনোর মতো গান মুখস্থ থাকত না বলে ঘুরেফিরে গানের একটা ধুয়াই গেয়ে চলতাম কেবল। সেই হাসিঠাট্টা এখনো সংক্রমিত হয়ে আমাকে আবিষ্ট করছে। গানটির কথা মনে পড়তেই অন্ধকারে ফিক করে হেসে উঠলাম। চারদিকে তাকিয়ে দেখি, তেমন কেউ নেই; রাতের অন্ধকারে জনসমাগম শিথিল হয়ে এসেছে। গানের ধুয়া মনে পড়লে গুনগুনিয়ে গেয়ে নিজেকে হালকা করে নেওয়ার চেষ্টা করলাম।

সন্ধ্যার আকাশে পাখিরা যেমন বাধ্যতায় নীড়ে ফিরে, ঠিক তেমনি নিয়ন্ত্রণহীন হাঁটাচলায় এগিয়ে চলছি বাসার দিকে। ভাবনার জালে আটকে গিয়ে উল্টো পথে হাঁটছি, কোনো ট্রাফিক আইন মানছি না। আইন ভুলে গেলাম প্রেমার রাস্তা পারাপার দেখে। সে সংযমী, সুসংহত মনোভাব নিয়ে চলে এখন। ঠিক নিয়ম মেনে জেব্রা ক্রসিং পার হয় সতর্ক চোখে। আজ থেকে প্রায় অর্ধযুগ আগে তার দুরন্তপনায় হেরে যেত সব লৌকিক নিয়ম। ওর মাঝে যা ছিল, সবই বাৎসল্যতা। আমূল পরিবর্তনের গাম্ভীর্যতায় ও পার হচ্ছে ক্রসিং, আর এই আধুনিক যুগে এসেও আমি পার হচ্ছি ঘুণে ধরা জীবনের সাঁকো। সরলমনে অনগ্রসর যুগের মতো নিবিড়ভাবে এখনো ভালোবেসে চলেছি ওকে। কিন্তু আমি ভুলে গেলাম, এখন উত্তর–আধুনিক যুগ। এ আধুনিকতার ছোঁয়ায় উবে গেল বিশুদ্ধতা, নিভে গেল সব বিশ্বাসের উজ্জ্বল শিখা। আর জেঁকে বসে দখল নিল কপটতা।

বন্ধু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা