পয়লা বৈশাখ বর্ষবরণ উৎসব: অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণ

পয়লা বৈশাখ
বাঙালি সংস্কৃতি এমন এক মধুর সংস্কৃতি, যার জন্ম বাংলাদেশের হৃদয় থেকে, শিকড় বাংলার নরম মাটির সুগভীরে প্রোথিত।

চিন্তানায়ক অন্নদাশঙ্কর রায় তাঁর ‘সাংস্কৃতিক বিবর্তন’ গ্রন্থে লিখেছেন, বিশ শতকের মাঝামাঝি ইন্দোনেশিয়া থেকে এক মুসলমান অধ্যাপক শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন সংস্কৃত ছন্দের ওপর বক্তৃতা করতে। অধ্যাপকের নাম বীর্যসুপার্থ। বীর্য মানে ‘বীর’ আর সুপার্থ মানে ‘পার্থ’, অর্থাৎ অর্জুন। মুসলমানের নাম কি কখনো মহাভারতের বীর অর্জুন হয়! হ্যাঁ হয়, কেন হবে না! মুসলমানের নাম যদি ফারসি-মহাকাব্যের নায়ক সোহরাব কিংবা রুস্তমের নামে হতে পারে, তাহলে বীর্যসুপার্থ হতে দোষ কী?

সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় রামায়ণ-মহাভারত খুবই জনপ্রিয়। কাব্য হিসেবে গ্রন্থ দুটি সর্বমহলে পঠিত হয়। বালি দ্বীপে ভারতীয় ঐতিহ্যের ছড়াছড়ি, কোথাও রামের মূর্তি, আবার কোথাও কুরুক্ষেত্রের স্মারক ভাস্কর্য। আধুনিক ইন্দোনেশিয়ার স্থপতির নাম আহমদ সুকর্ণ এবং তাঁর কন্যার নাম মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী। তাঁদের বিমানবন্দরের নাম গারুদা বা গরুড়। গরুড় হলো বিষ্ণুর বাহন। তাঁরা ধর্মে মুসলমান হলেও ভারতীয় পুরাণ পড়েন, ছেলেমেয়েদের নাম রাখেন রামায়ণ-মহাভারতের বীরদের নামে। যেমন আরবরা ইসলাম গ্রহণ করেও প্রাক্‌-ইসলামি যুগের কবি ইমরুল কায়েস ও তাঁর কবিতাকে ত্যাগ করেনি। ইমরুল কায়েসের রসমণ্ডিত কবিতা পাঠ করে আপ্লুত হয়, বাংলাদেশের মাদ্রাসার সিলেবাসেও ইমরুল কায়েসের কবিতা আন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সব সভ্য জাতিই প্রকৃতি ও ঐতিহ্যলগ্ন হয়ে বেঁচে থাকতে চায় এবং থাকে, রক্তের ভেতর দূরাগত অতীতের টান অনুভব করে। স্বীকার করে বহুত্ববাদকে। ইংরেজরা বিজ্ঞানচর্চা ও গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করেছে, কিন্তু রাজতন্ত্রের জাঁকজমক ও অভিজাততন্ত্রের ঐতিহ্য-কৌলীন্য পরিত্যাগ করেনি। শিক্ষিত সংস্কৃতিমান মানুষ যেমন বিজ্ঞানমনস্ক, তেমনি ঐতিহ্যলগ্ন। এ কারণে শিক্ষিত জাভানিজ পিতা তাঁর আদরের পুত্রের নাম রাখেন বীর্যসুপার্থ। শিকড়লগ্ন হয়ে বেঁচে থাকতেই কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ মোতিলাল নেহরু তাঁর পুত্রের নাম রেখেছিলেন সংস্কৃত ভাষার পরিবর্তে ফারসি ভাষায় জওহরলাল নেহরু। উত্তর ভারতের কায়স্থ হিন্দু খোশবখত রায়ের পুত্রের নাম হয় ইকবাল বখত রায়। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি মমত্বের কারণেই কট্টর মুসলমান হয়েও ইরানিরা ‘নওরোজ’ উৎসব উদ্‌যাপন করে। বাংলাদেশস্থ ইরানি দূতাবাসে প্রতিবছরই নওরোজ অনুষ্ঠান উদ্‌যাপিত হয়। নওরোজ কোনো ধর্মীয় উৎসব নয়, আবার ধর্মবিরোধীও নয়। মৃত্তিকালগ্নতা ও ঐতিহ্যপ্রীতির কারণে আমরাও বর্ষবরণ, বসন্ত উৎসব, পৌষ-পার্বণ ও নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপন করি। মঙ্গলকাব্য পাঠ করে আনন্দিত হই। বৈষ্ণব সাহিত্য বুকের ভেতরে শিহরণ জাগায়। লালনের গান শুনে মনের মানুষকে খোঁজার চেষ্টা করি। মনসা-ভাসানের পালায় অভিনেতা- শ্রোতা হিসেবে হাজির হয় হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে।

আমাদের পূর্বপুরুষেরা হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তাতে তাঁদের ধর্মগত পরিচয় পাল্টেছে মাত্র, জাতি-পরিচয় নয়। মানুষ তার ধর্ম ও নাগরিক পরিচয় খুব সহজেই পাল্টাতে পারে, জাতি-পরিচয় নয়। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারেন, কিন্তু একজন বাঙালি কোনোভাবেই ইংরেজ হতে পারবেন না। ইংরেজ-ফরাসি-স্কটিশ যেমন ইচ্ছা করলেই হওয়া যায় না, তেমনই বাঙালিও হওয়া যায় না। কেবল জন্মসূত্রেই বাঙালি হতে হয়। একজন চাকমা কিংবা মারমা বাঙালি হতে পারবেন না। অথচ অনেকেই এটা বুঝতে চান না। তাই নিজ জাতির স্বকীয়তা-ঐতিহ্যও ভাষা-সংস্কৃতির আলোয় প্রদীপ্ত হতে পারেন না, নিজের ঐতিহ্যকে অবহেলা-উপেক্ষা করে ‘মহান’ হতে চান।

আজকাল কেউ কেউ পয়লা বৈশাখের উৎসব ও মঙ্গল বা আনন্দ শোভাযাত্রাকে হিন্দুয়ানি আখ্যা দিয়ে হই হই রই রই করে বেড়াচ্ছেন। হিন্দুরা কি এ দেশের নাগরিক নন? হোক তারা সংখ্যালঘু। তাদের সংস্কৃতিও বাঙালি সংস্কৃতির অংশ। মঙ্গল শোভাযাত্রা, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, লালন-রবীন্দ্রচর্চা নিয়ে আমাদের দেশে যে-বিতর্ক চলছে, সেটাকে আর যা–ই হোক বিশুদ্ধ সাহিত্যিক-সাংস্কৃতিক বিতর্ক বলা যায় না। এগুলো সম্পূর্ণরূপে জনতুষ্টিবাদী স্থল রাজনৈতিক বিতর্ক। এর সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চার কোনো সংযোগ নেই। যে রাজনৈতিক কারণে রবীন্দ্রনাথকে মুসলিমবিদ্বেষী ‘হিন্দু কবি’ চিহ্নিত করা হচ্ছে, সেই একই রাজনৈতিক কারণে পয়লা বৈশাখের মঙ্গল বা আনন্দ শোভাযাত্রাকে হিন্দুয়ানি আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন কিংবা আনন্দ শোভাযাত্রা কোনো হিন্দুয়ানি কৃত্যাচার নয়, মাছ-ভাত, মাটির হাঁড়ি, ডালা-কুলো, হাতি-ঘোড়া, পালকির মতো ষোলো আনা বাঙালিয়ানার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয়। এর মধ্যে ধর্মাধর্মির গন্ধ সোঁকা বাড়াবাড়ি বৈ অন্য কিছু নয়। পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান ইসলাম ধর্মের মূল স্পিরিটের সঙ্গে কোনো বিরোধ সৃষ্টি না, সমাজে বিভেদ-বিভ্রান্তিও বয়ে আনে না। বরং বিভেদের পাঁচিল সরিয়ে সব মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির আলো ছড়িয়ে দেয়। ধর্মের আকিদা নষ্ট করা তো দূরের কথা, বরং সরল-সহজ জীবনের অনুপ্রেরণা জোগায়।

বাঙালি সংস্কৃতি এমন এক মধুর সংস্কৃতি, যার জন্ম বাংলাদেশের হৃদয় থেকে, শিকড় বাংলার নরম মাটির সুগভীরে প্রোথিত। মন্ত্রী-গভর্নরদের প্রেসনোটের মাধ্যমে এর জন্ম হয়নি। চেয়ারে তোয়ালে ভিজিয়ে বসে থাকা প্রশাসক, এস্টাবলিশমেন্টপন্থী চাটুকার বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক পরিচয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষক, দলবাজ কলমচিরা এর স্রষ্টা নন। এর স্রষ্টা বাংলার মাটি ও মানুষ। যে সংস্কৃতি মাটিলগ্ন, সেই সংস্কৃতির ভেতর ধর্মবিরোধী উপাদান থাকতে পারে না। তাই বাংলার সংস্কৃতির ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে ধর্মসহিষ্ণুতার আবেগ-অনুভবের ছড়াছড়ি। এর ভেতর-বাইরে রয়েছে প্রেম-মানবিকতা ও ভালোবাসার সুঘ্রাণ। আমাদের ভাবুক-মহাজনরা ধর্ম নিয়ে যে পদ-পদাবলি, ছড়া-পাঁচালি রচনা করেছেন, তাতে ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা আছে, অনুসন্ধিৎসা-কৌতূহল আছে—ধর্মের সারকথা ব্যাখ্যা করতে তাঁরা হয়তো তর্কও করেছেন; কিন্তু ধর্মকে কোনোভাবেই অস্বীকার করেননি। যাঁরা আমাদের সংস্কৃতি ও সংস্কৃতিজনদের ধর্মবিরোধী আখ্যা দিয়ে বাহাদুরি করতে চান, তাঁরা আসলে ধর্ম ও সংস্কৃতি কোনোটাই বোঝেন না।

আমরা যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের কথা বলছি, সেই নতুন দেশ ও সমাজ বিনির্মাণের সংগ্রামে অবশ্যই আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতির প্রাণশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

শহুরে বুদ্ধিজীবীরা যা-ই বলুন না কেন, আসলে পয়লা বৈশাখ বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের জন্ম রমনার বটতলা কিংবা চারুকলার বকুলতলায় নয়, গ্রামীণ জনমানসেই এর জন্ম, বিকাশ ও পরিপুষ্টি সাধন। শহরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত এটা হাইজ্যাক করে নিজেদের নামে চালিয়ে দিতে চাইছেন। নবান্ন ও পৌষ পার্বণও ঋতুভিত্তিক গ্রামীণ উৎসব। আবহমান বাংলার জঠর থেকে এগুলো ভূমিষ্ঠ হয়েছে, গ্রামবাংলার জনগণই এর পালক ও পিতা। উন্নাসিক উচ্চবিত্ত ও তার আশ্রিত শহুরে শিক্ষিতরা চিরকালই গ্রাম ও গ্রামের মানুষের সৃষ্টিশীলতাকে অবহেলা করেছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গ্রামের লাখ লাখ সরল-সহজ ও ধর্মপ্রাণ মানুষ অকাতরে জীবনদান করলেও তাঁদের অবদানের কথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেভাবে স্বীকার করা হয়নি। বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস ঘাঁটলেও বোঝা যায়, গণ–আন্দোলন ও জনপ্রতিরোধের উৎসভূমি শহর নয়, বরং তা গ্রাম থেকেই জন্ম নিয়েছে। ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, গাজীর বিদ্রোহ, কৃষক-তন্তুবায়ের লড়াই, ফরায়েজী আন্দোলন, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা কিংবা তেভাগা আন্দোলন—সবই শুরু হয়েছিল গ্রামের ধানখেত ও দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ থেকে। বাংলা ১১৭৬ সনের মন্বন্তরের পর থেকে সব আন্দোলন-সংগ্রামে গ্রামের কৃষক, কারিগর, তন্তুবায়, বেকার, ফকির-সন্ন্যাসীরা অকাতরে রক্ত ও জীবন দিয়েছেন। চেরাগ আলী, মজনু শাহর পাশে দাঁড়ানো ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী এবং শরীয়তুল্লাহ-তিতুমীররাও গ্রামের মানুষ। অথচ এঁদের আত্মোৎসর্গের কাহিনি আমাদের কুলীন ইতিহাসে ঠাঁই পায়নি সেভাবে।

ইদানীং শহুরে রাজনীতিক ও সংস্কৃতি অঙ্গনের কর্তাব্যক্তিরা গ্রামবাংলার ৮০ ভাগ মানুষের লড়াই-সংগ্রাম ও চিরায়ত সংস্কৃতিচর্চাকে ভিন্নভাবে করতে চাইছেন। অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহ্য করতেও চান না। গ্রামীণ জনগণকে সুকৌশলে রাজনীতির গোলকধাঁধার ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে তাদের যাপিত জীবন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া উৎসব-উদ্‌যাপন, পালা-পার্বণ এবং চিন্তা করা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও সামাজিক শক্তিকে ধ্বংস করতে নানা কিসিমের তাত্ত্বিক ধারণা দাঁড় করিয়েছেন। কিন্তু এসব তাত্ত্বিক ধারণার সঙ্গে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রাণের সম্পর্ক নেই। ফলে সমাজে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।

সাধারণ মানুষ বিশৃঙ্খলা চায় না, স্থিতিশীলতা চায়। সংস্কৃতি-তাত্ত্বিক আন্তোনিও গ্রামসি তাঁর ‘প্রিজন নোটবুকস’ বইয়ে বলেছেন, ‘কোনো তত্ত্ব বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত না-হলে তা কাগজে পরিণত হয়। তা টেকসই হয় না। তাই তত্ত্ব কপচিয়ে বা বক্তৃতার ফুলঝুরি ঝরিয়ে ঐতিহ্যলগ্নতা থেকে সরল-সহজ বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্ন করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। এতে করে জাতি খুব সহজেই মেন্টাল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হবে। বাংলাদেশের সব গণ–আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল বৈষম্য দূরীকরণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা। বিভিন্ন মত ও পথের সমন্বয় সাধন করে বহুত্ববাদী ও স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। চাষি, কামার, কুমার, তাঁতি, ধোপা, নাপিত, শিক্ষিত-স্বল্পশিক্ষিত নির্বিশেষে সবার আবেগ-অনুভূতি-বিশ্বাস-মূল্যবোধকে যখন সম্মান-স্বীকৃতি দিতে পারব, কেবল তখনই একটি টেকসই আন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।

আমরা যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের কথা বলছি, সেই নতুন দেশ ও সমাজ বিনির্মাণের সংগ্রামে অবশ্যই আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতির প্রাণশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। জামদানি শাড়ির উজ্জ্বল আভা, পিঠা-পায়েসের সুঘ্রাণকে হিন্দুয়ানি বলে দূর দূর করলে চলবে না। আরবরা পৌত্তলিকতা ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন; কিন্তু নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক-আশাক, খাদ্যাভ্যাস, দেশাচার ছাড়েনি। এ দেশে একদল মূঢ়মতি আছেন, যারা বাংলা ভাষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, বাঙালির লোকজ উৎসব, পোশাক-আশাক, রান্নাবান্না—সবকিছুতেই হিন্দুয়ানির গন্ধ খুঁজে পায়। অথচ মাইকেল জ্যাকসন-ম্যাডোনা, পপ, রক, ব্যান্ড দিব্যি দরজা-জানালা বন্ধ করে মগ্ন হয়ে উপভোগ করে। মুগ্ধ ও বিহ্বল হয়ে যায় হিন্দি ফিল্মের উদ্দাম নৃত্য দেখে। অথচ পয়লা বৈশাখে রবীন্দ্রনাথ, অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত আর ডিএল রায়ের গানের সুর কানে বাজলে এদের ধর্ম ও জাত দুটোই যেন থাকে না।

অধ্যক্ষ, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, মেহেরপুর