বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতেই পাতা পিছলে ফিনফিনে বাতাস আসছে। এমন একটি রাতে তোমার আসার কথা ছিল। মুহূর্তেই যেন সব এলোমেলো হয়ে গেল। অপর প্রান্তে থাকা তোমার যেন কিছুই হয়নি! কী এমন কারণ খুঁজে পেয়েছিলে সম্পর্কচ্যুত করার জন্য? আজ অনেক কিছুই অজানা।
যখন তুমি আমার এলো চুলগুলো ফুঁ দিয়ে কপাল থেকে সরিয়ে দিতে; কপালে, ওষ্ঠে আলতো করে ছুঁয়ে দিতে, তখন আমার সারা শরীর থেকে মন অব্দি কেঁপে উঠত। অপার্থিব দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে। সব কটা লুকোনো তিল পেয়ে মায়াভরা দৃষ্টিতে ডুব দিতে। ইচ্ছে করত শাড়ির আঁচল দিয়ে তোমার দুই চোখ ঢেকে দিতে। এমন অপূর্ব চোখ, চাহনি। আমি পুড়ে খাক হয়ে যাব যখন; তখন শেষ রাতের হিমেল হাওয়ায় কাঁপন ধরাতে আমার শরীরে। বলতে, ‘লাজুক হেসে হাতে হাত রেখে আরও কিছুক্ষণ পাশে বসতে চাও।’
হিম রাতের লজ্জা–উষ্ণতা ঢেকে দিয়ে আমরা দুজন প্রেমের আলিঙ্গনে। তখন তোমার নিজস্ব সুবাস গায়ে লেগে যাবে। এমনটাই তো কল্পনাজুড়ে এসে অস্থির করে তুলত। এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল।
আজ তবে কেন শুধু শব্দরা আলিঙ্গন করে? সেসব আমাকে নির্ঘুম করে রাখে; আত্মাকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। আমি জেগে থাকি সারা রাত।