বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। বর্ষাকালে এই সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য হয়ে ওঠে অনন্য। ঝরঝরে বৃষ্টির ফোঁটায় ভেজা বালুকাবেলা, উত্তাল ঢেউয়ের গর্জন, আর আকাশজোড়া মেঘের লীলাখেলা—সবকিছু মিলে কুয়াকাটা যেন বর্ষার রূপসী কন্যা।
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের বিস্তীর্ণ বালুকাময় তীরে দাঁড়িয়ে একই স্থান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার অপার্থিব অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়। যেন প্রকৃতির এক অপরূপ লীলাখেলা চোখের সামনে উন্মোচিত হয়।
রয়েছে রাখাইনপল্লি। যেখানে স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জীবনযাত্রা দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। ফাতরার বন, একটি ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, যা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও বন্য প্রাণীর আবাসস্থল। শুঁটকিপল্লি ও ঝাউগাছগুলো প্রকৃতির অপরূপ এক সৌন্দর্যের প্রতীক।
লাল কাঁকড়ার চর ও লাল কাঁকড়ার বিচরণভূমি, যেখানে দূর থেকে কাঁকড়াগুলোকে দেখা যায়। কাছে গেলেই তারা বালুর গর্তে আশ্রয় নেয়। লেবুর চর ও তিন নদীর মোহনা।
বর্ষায় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা
বর্ষাকালে কুয়াকাটা ভ্রমণ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে আকাশের গর্জন যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব সংগীত। বৃষ্টিভেজা বালুকাবেলায় পায়ে হেঁটে চলার অনুভূতি অতুলনীয়।
এই সময় কুয়াকাটা ভ্রমণ প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার এক অনন্য সুযোগ। প্রকৃতির রূপ, গন্ধ ও শব্দের সমন্বয়ে তৈরি হয় এক অপার্থিব পরিবেশ। যাঁরা প্রকৃতির কোলে নিবিড়ভাবে সময় কাটাতে চান, তাঁদের জন্য বর্ষায় কুয়াকাটা ভ্রমণ হতে পারে এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
‘মেঘের কোলে ঢেউয়ের দোলে,
বর্ষার রানি কুয়াকাটা।
বৃষ্টির ছোঁয়ায় প্রকৃতির মায়ায়,
মন হারায় অজানা পথে যাওয়া।’
শিক্ষার্থী, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি