শুধু তুমি

প্রতীকী ছবিপ্রথম আলো

মা–বাবার দেওয়া সুন্দর একটা নাম থাকলেও আমার কাছে তুমি তানু। মাঝেমধ্যে তুমি রাগলে অবশ্য অন্য নামেও ডাকি, সেটাও ভালোবাসা থেকে। ভালো লাগে তোমার রাগ, হাসি ও কথা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে তোমার ওই তিলটা। কোন তিলের কথা বলছি, মনে আছে তো?

আগে কখনো আমাকে নিয়ে কেউ ডায়েরিতে নোট লেখেনি। তুমিই প্রথম। জানো, তোমার দেওয়া ডাকনাম, ডায়েরির ছোট ছোট গল্পগুলো ভীষণ ভালো লাগে। তোমাকে নিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারি না। তবে তোমার মনের খবর পড়তে পারি; না বলা কথাগুলো চোখের দিকে তাকালেই বুঝতে পারি।

যেদিন প্রথম আমার কাঁধে তোমার মাথা রেখেছিলে, এরপর না চাইতেও সব পেয়ে গেছি আমি। তুমি আমার প্রতিটি মুহূর্ত, রাগ, অভিমান—সবটা ঘিরে।

যখন বলি তোমাকে কিছুই দিতে পারি না, তুমি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে বলো তুমি তো আমারই আছ। এর থেকে বেশি কিছু চাওয়ার নেই। তুমি যখন ভালো একটা চাকরি পাবে, তখন অনেকগুলো শাড়ি কিনব। তুমি না চাইলেও আমি জোর করে কিনব। আপাতত একটা সাদা গোলাপ ফুল, ১০ টাকার ঝালমুড়ি আর তুমি ছাড়া আমার কিছুই চাওয়ার নেই।

তোমার কথা শুনে হাসি আর ভাবি, এত এত গর্জিয়াস প্রেমিকার ভিড়ে সুন্দর মনের প্রেমিকাটা হয়তো আমার কাছেই আছে। মনের এক কুঠরিতে তোমায় রেখেছি। খুব ভয় হয়, জানি না তোমাকে কতটা ভালোবাসি। তবে তোমার কথা মনে হলে এক অদ্ভুত অনুভূতি হয় জানো। সেটা কী রকম, তা হয়তো বলে বোঝাতে পারব না। পৃথিবীর সেরা সাহিত্যিক বা মনোবিজ্ঞানীরাও সেটার ব্যাখ্যা দিতে পারবেন না।

তোমাকে খুব মায়াবতী লাগে। তোমার ওই চোখের মায়ায় হারিয়ে যাই। এই মায়ার একটা অদ্ভুত নাম দিয়েছি, ‘ভালোবাসার রেড অ্যালার্ট’। শুনে হয়তো ফিসফিস করে হাসছ। কী আর করব বলো, ওই চোখের মায়ায় আটকে গিয়েছি যে।

শোনো, শনিবারের বিকেলটা সুন্দর ছিল। রাগ-অভিমান যা–ই করো, শুধু মনে রেখো আমি সেই আগের জায়গাতেই আছি। ছিলাম, আছি ও থাকব; শুধু তোমার-ই জন্য।

শিক্ষার্থী, পুরকৌশল অনুষদ, আহ্‌ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়