বহুদিন এই ডায়েরিতে আমার পেনকেসের আগন্তুকদের নোংরা সংস্পর্শ দেইনি। বলিনি আমার উত্থান-পতনের গল্প। ঠিক যেমন লুকিয়েছি আমার পরিচয় এবং ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়া সেই পুতুল, যাকে পৃথিবীর একমাত্র আমিই হারিয়ে ফেলেছি।
সেদিনও হর্ন বাজাতে বাজাতে ব্যস্ত ভঙিতে ছুটছিল গাড়িগুলো। আমি কি ওদের যানবাহনগুলোর আর্তনাদ শুনেছিলাম সেদিন? ঠিক মনে পড়ছে না। আজ যে সমান্তরালে দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে নিজের সত্তাকে উচ্চে তোলা যেমন সোজা, তার চেয়ে সহজ সেথায় আমার সমাধি রচনা করা। এখানে দাঁড়িয়ে সেদিনের এই আমি গাড়ির হর্ন আদৌ শুনেছিলাম কি না, তা মনে করার চেষ্টা করা নিতান্তই ছেলেমানুষি। তবু অবসর সময়ের বিষণ্নতায় এসবই ভাবি। ভাবতে আমার ভালো লাগে।
আমি জন্মাব কি না, এ নিয়ে আমি ছাড়াও আমার জন্মদাত্রী ও চারপাশের মানুষ নামক খল প্রাণীগুলোও ছিল ভীষণ দ্বিধান্বিত। প্রকাণ্ড এক দ্বিধার নিচ দিয়ে পৃথিবীর আলো দেখলাম। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এই ব্যাপারটার মতো অতিবিশেষ ঘটনাটিও আমার মনে নেই। অথচ আজ আমি অতি অপ্রয়োজনীয় দুর্গন্ধওয়ালা স্মৃতিগুলো দিব্যি বয়ে বেড়াচ্ছি।
এভাবেই নয়ছয় করতাম নিজের ভাবনাগুলোকে। চলতে চলতে যদি কেউ জাপটে ধরে পিছু হটাতে চাইত, খুব কান্না পেলেও ভাবতাম—এভাবে আর বেশিদিন না। একদিন সব কষ্ট উপেক্ষা করতে পারব আমি।
শুনেছি, চশমায় রং করা যায়। সত্য–মিথ্যা জানি না। খতিয়ে দেখারও ইচ্ছা হয়নি কখনো। রঙে কীই–বা এসে যায়! কাজ তো চলছিলে ওটা দিয়ে। আজ হঠাৎ ওর বাঁ দিকের ডাঁটিটা ভেঙে গেল। কষ্ট পেলেও অবাক হব না জেনেই হয়তো ভেঙেছে।
সবকিছুরই সীমানা আছে। হয় তা জানা, নয়তো অজানা, অজানাকে ঘিরেই বাড়ছে প্রশ্নের উৎপত্তি। যেমন কেন মা–বাবাকে বোঝেনি, কেন মা-বাবার মনের মিল কখনো হয়নি। কিংবা একজনকে মন দিয়ে অন্যজনকে বুকে নিয়ে বেঁচে থাকাটা এতটা কষ্টের, এতটা যন্ত্রনার কেন? কোন সে কারণ?
ইয়ারফোনে অপরিচিত এক হিন্দি গান বেজে চলছে। লাইনগুলোর মানে ঠিক বুঝতে পারছি না। ঠিক যেমন বুঝতে পারিনি আমার প্রাইভেট টিউটর হেমায়েত স্যারের নীরবতাকে, তাঁর শখের মানুষটি তাঁকে ত্যাগ করেছিল। মাঝেমধ্যে ভাবি, মানুষটার নীরবতাকেই যখন কেউ বুঝতে পারেনি, তাঁর কথাগুলোকে কেমন করে বুঝবে! এ জন্যই হয়তো সবাই তাঁকে ছেড়ে গেছে। এই দ্বন্দ্বমুখর স্মৃতি নিয়ে ২০২২ সালের ১ জুন আসার আগেই সে পৃথিবীকে পরিত্যাগ করে। আমার আর বলা হয়ে ওঠেনি, শুভ জন্মদিন স্যার!
‘গোয়েন্দা গল্পসমগ্র’ গ্রুপটাতে জয়েন হয়েছিলাম মায়ের আইডি দিয়ে। আমার তখন নিজস্ব কোনো আইডি ছিল না। ক্লাস এইট থেকে প্রচুর গল্প পড়া শুরু করেছিলাম। সেই আসক্তি থেকেই গ্রুপগুলোতে অ্যাড হতাম।
সেদিন ভরদুপুর। হেমায়েত স্যারের পড়া করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ‘গোয়েন্দা গল্পসমগ্র’ গ্রুপটা স্ক্রল করছিলাম। চমৎকার এক গল্প পড়া শেষ করে নিচে আরেকটা গল্প পেলাম; শুরুটা এমন—‘নীলিমার ব্লাউজের বোতামগুলো খোলা। গভীর রাতের আমন্ত্রণের আভাস চোখেমুখে।….’
কৌতূহলী হয়ে পড়াটা চালিয়ে গেলাম। গল্পের নাম ‘ফরমালিনে ডোবানো প্রেম’। কমেন্ট সেকশনে সবার মন্তব্যগুলোই পজিটিভ। লেখক সবার কমেন্টেরই রিপ্লাই দিচ্ছিলেন। রিপ্লাইগুলো খুব চৌকস ভঙ্গিতে দেওয়া। এ জন্যই হয়তো অন্য লেখকেরা ভালো লিখলেও এই লেখকই আমার চোখে হয়ে উঠলেন অনন্য। লেখকের পোস্ট করা অন্য গল্পগুলোও পড়ে ফেললাম। বুঝতে পারলাম, তাঁর মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের প্রভাব স্পষ্ট। প্রকৃতপক্ষে এই ব্যাপারটা আমাকে তাঁর প্রতি দুর্বল করেনি। করেছে অন্য এক মজার ব্যাপার। হতে পারে এটা নিতান্তই ছেলেমানুষি, তবু খুব যে অপ্রয়োজনীয় তা নয়।
আমার ডেঙ্গু হয়েছে। এই রোগটার একটা হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে, আমার দেহের তুলনায় অত্যন্ত পিচ্চি এর বাহক। রোগটা তার কিচ্ছু করে না, অথচ আমায় শেষ করে দিচ্ছে। কষ্ট পাচ্ছি খুব। মরে গেলেও ঝামেলা চুকে যেত বাবা, ভোগাটাকে ভীষণ ভয় পাই।
এই মুহূর্তে লেখকের ইতিহাসটা লিখতে মন চাইছে। আমি বইপ্রেমী মানুষ। পরিবার থেকে কোনো এক আজব কারণে দূরত্ব সৃষ্টি করে বাঁচতে ভালোবাসি আমি। এর কারণটা হয়তো খুব সহজ; কিন্তু এর সঙ্গে মনস্তত্ত্বঘটিত বহু জটিলতার সংস্রব আছে। তাই বলব না।
অনেকটাই সুস্থ হয়েছি; কিন্তু শরীরটা বড্ড দুর্বল এখনো। সবকিছুই চলছে নিয়মমতে। সব উজ্জ্বলতার মধ্যে এই মুহূর্তে আমিই বুঝি মৃত বিকেলের মতো ম্লান-মলিন। ঠিক এমনই মলিন হতে হতে প্রায় মুছে যাচ্ছি জীবন হতে।
‘স্ট্রেঞ্জার’ নামক বইটার মাধ্যমে ২০২০ সালে ‘মাসুদ রানা’ সিরিজটার সঙ্গে প্রথম পরিচয়। পাগলের মতো পছন্দ করতাম চরিত্রটাকে। ওই সময় আমার অর্থহীন জীবনটায় বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হিসেবে হাজির হয় মাসুদ রানার জীবনাদর্শ। আর্মিতে জয়েন করে এই পরিবার থেকে ভীষণ দূরে চলে যাব, আমার জীবন হবে মারাত্মক টুইস্টে ভরপুর। রানার মতোই স্পাইগিরি করেই কেটে যাবে বাকি জীবন। ক্ষণিকের জন্য ভালোবাসার ছোঁয়া আসবে আমার জীবনেও। দেখব, শুনব, বুঝেও বুঝব না। এগিয়ে যাব জীবনসমুদ্রে। একদিন আমাকেও মানুষ মাসুদ রানার মতো জীবনের অনন্য বাঁকগুলোর জন্য স্মরণ করবে ভালোবেসে।
লেখকটির আইডিতে গিয়ে দেখলাম ওখানে লেখা— ‘আমার হৃদয়টি একখানা উন্মুক্ত রাজপথ’। সত্যি বলতে, এটি করেছিলাম আমার নিজ উপায়ে। আমি কেবল ততক্ষণই বেঁচে থাকতে চাই, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি বেঁচে থাকি। এটাই আমার জীবন। মনে হচ্ছিল, বহুদিন আমি নিশ্বাস না ফেলে জমিয়ে রেখেছিলাম এক কাচের পাত্রে। ডিপির এই ক্যাপশন পড়েই যে নিশ্বাসটি ফেলেছি, সেই নিশ্বাসটির চাপেই যেন সশব্দে ফেটে চৌচির হয়ে গেল পাত্রটি। সেই শব্দেই হয়তো ক্ষণিকা বোধটি আমার ফিরে এল। কমেন্টে গিয়ে দেখলাম, সেখানে একজন লেখককে অমনভাবে সম্বোধন করছে যেন লেখক সবে আর্মি অফিসার হয়েছে। লেখকও কিঞ্চিৎ গাম্ভীর্য নিয়ে কমেন্টগুলোর উত্তর দিচ্ছেন। যেহেতু সে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেছেন এমনই তথ্য দেওয়া। তাই আমার ধারণাগুলো পরিণত হলো বিশ্বাসে। তাঁর ডিপি থেকে বের হয়েই আমায় পুনরায় থামতে হলো। যেন তাঁর জগতে কিছুক্ষণ পরপর তাঁকে বোঝার জন্য শান্ত হয়ে সিগন্যালে অপেক্ষা করতে হয়। আমি ঠুনকো এক জনতা হয়ে আটকালাম তাঁর বায়োতে। সেখানে লেখা— ‘মানুষ আমি চেয়ে দেখো’। কতটা নিখুঁতভাবে চাইলে কাউকে মানুষ বলে বোধ হয়, তা আমি জানতাম না, জানতেও পারিনি কোনোদিন। তবে জিনিসটা খুব ভাবাল আমায়। হক সাহেব প্রকৃতপক্ষেই দারুণ লিখেছেন কবিতাটি।
প্রায়ই দেখতে পেতাম তিনি দুর্দান্ত সব পোস্ট করছেন। পড়তাম আর হারিয়ে যেতাম মহাশূন্যে। মনে হতো, নিউটনের সূত্র ভুল, গ্যালিলিওকে যাঁরা জ্ঞানী মানেন, তাঁরা আদতে মিথ্যুক। সব অদ্ভুত হয়ে ধরা দিতে লাগল চোখে। একটু একটু বুঝতে পারছিলাম, ভালো লাগার হলদে পর্বত শ্লথগতিতে দখল করে নিচ্ছে আমার সর্বস্বকে। তাঁর ছবি দেখতাম, আর ভাবতাম বিধি কাউকে সবকিছু দেয় না। কী হলো কে জানে! হঠাৎ ভীষণ ইমোশনাল হয়ে তিনি আমায় সভ্যতার সবচেয়ে পুরোনো জিনিসটা উপহার দিয়েছেন। এই বহু পুরোনো ভালোবাসায় হারিয়ে ফেলতে থাকি নিজেকে। ভুলতে থাকি আমার অন্ধকার অতীতকে, মনে অজানা এক শক্তি বলে ‘বাঁচতে হবে, তাঁর মতো হতে হবে। নিশ্চয়ই এমন কোনো উপায় আছে, যার জন্য সে-ই আমার হবে।’
এভাবেই নয়ছয় করতাম নিজের ভাবনাগুলোকে। চলতে চলতে যদি কেউ জাপটে ধরে পিছু হটাতে চাইত, খুব কান্না পেলেও ভাবতাম—এভাবে আর বেশিদিন না। একদিন সব কষ্ট উপেক্ষা করতে পারব আমি। যে কষ্টের বৃহৎ প্রাচীর ভাঙতে পারছি না বলে এত যন্ত্রণা হচ্ছে, একদিন হয়তো দেখতে পাব প্রাচীর ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দুহাতে জড়িয়ে ধরেছে আমায়। সব কষ্ট বাষ্পসম উড়ে যাবে। আমার কপালে ছড়িয়ে থাকা এলোমেলো আধখানা চন্দ্র–চুল সরিয়ে সে চুমু খাবে কপালে। সব সুখ পেয়ে যাব আমি। যার জন্য পাব, তাকে হয়তো আমি পেয়ে গেছি—এমনই ভেবেছি। এই ভাবনার কতটুকু সত্য বা মিথ্যা, তা বোঝা বা জানার চেষ্টা করার ফুরসতটুকু কখনো পাইনি, নাকি আদতে চেষ্টাই করিনি! এড়িয়ে গেছি সন্তর্পণে! জানি না।
অজ্ঞতাকে জড়িয়ে বংশবৃদ্ধি করতে থাকে সময়। একদিন তাঁর ‘সাবলেট’ নামক একটা গল্প পড়ে কমেন্ট করে বসি। সন্ধ্যায় দেখি তাঁর মেসেজ। বোধ করি, সেদিন তাঁর বহুদিনের অকেজো ক্যালকুলেটর কাজ করছিল। মৃত গাছ জেগে উঠছিল, আর আমি ইডিপাসের জন্য সফোক্লিসের বদলে সক্রেটিসের প্রশংসা করছিলাম। একটা একটা করে কথা বাড়াচ্ছিলাম। মায়ের ফোন, তাই কথা বলেই ডিলিট করে দিতাম মেসেজগুলো। তাঁর সূক্ষ্ম চালাকি করে উত্তর দেওয়ার ভাঙিটা আমার এত দারুণ লাগত যে আমি আরও আগ্রহী হয়ে উঠতে লাগলাম তাঁর প্রতি। সে যাতে আমার কোনো কাজে–কথায় খুব হাসে অথবা আশ্চর্যান্বিত হয়, এই চেষ্টাই করতাম সব সময়।
আমি খুব ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কি না, জানি না। আমার নিজস্ব কিছু নিয়ম আছে। কখনোই কাউকে নিজ থেকে নক করা পছন্দ করি না। হতে পারে মানুষটি ভীষণ রকম ব্যস্ত, আমার মেসেজ দেখে ভ্রু কুঁচকে রিপ্লাই দিল। কী প্রয়োজন কারও চোখে বিরক্তির কারণ হওয়া! সে যাক। যাতে আমার অস্বস্তি না হয়, তাই কথার মধ্যে হঠাৎ অফলাইনে চলে যেতাম। এতে করে আমি আবার পরদিন তাঁর কথার রিপ্লাই দিয়ে কথা শুরু করতে পারি। অনেক চেষ্টা করতাম যাতে তাঁর মহান জীবনের ঠুনকো এক স্মৃতি হলেও হতে পারি আমি। জানি না এই ইচ্ছার কতটুকু আর পূরণ হয়েছে কিংবা আদৌ পূরণ হয়েছে কি না, আমি প্রাণপণে চাইতাম কথা চলুক আমাদের। কিন্তু একদিন পুরোনো ক্যালকুলেটরের মনে পড়ে তাঁর আয়ু ফুরিয়েছে বহু আগেই, সজীব গাছটা নেতিয়ে পড়ে নিমেষেই। অতঃপর খুব সূক্ষ্ম অপমানবোধ নিয়ে প্রতিজ্ঞা করি, সে কথা বলতে না চাইলে জীবনে কোনোদিন নক করব না। সেদিন কথা বন্ধ হওয়ার পর প্রচুর কেঁদেছিলাম। মনে হতো আবার সে আঁধারে পতিত হলাম, যে আঁধারকে এড়িয়েছি বলেই ভেবেছি এত দিন। ঘুম ভেঙে যেত গহিন রাতে। হঠাৎ উঠে বসে ভাবতাম, কী যেন হারিয়েছি আমি, যা আমায় কেউ দেয়নি। কেউ দিতে পারে না।
‘আমি ভালোবেসেছিলাম এক চিত্রকরকে, সে আমায় এঁকেছিল, তবে তার হৃদয়ে নয়।
তাঁর হৃদয় সে দান করেছিল অন্য কাউকে।
তাই সে হৃদয়ের খোঁজে,
আমায় ছেড়ে চলে গেছে।
চারদিকে এত কথা! তবু সেদিন ছিল সব কবিরা নীরব।
মৌনতারই এক ফাঁকে,
আমি ভালোবেসে ফেলি এক কবিকে।
সে লিখেছিল কবিতা। ছন্দে-ছন্দে প্রেমের পুলক, শিহরণ ও মৌন এক অদৃশ্য আহ্বান।
সে–ও তাদেরই মতো বলেছিল—ত্বমসি মম জীবনং।
আমি তাঁর জীবনই ছিলাম, জীবনের মতোই ক্ষণস্থায়ী। কোনো এক অবারিত কোলাহলে সে পুনরায় ফিরে গেছে তাঁর চেনা মৌনতায়।
এক গল্পকার আমায় দেখে বলেছিল, ‘তুমিই আমার গল্প’।
আমি সেদিন সত্যিই বুঝিনি
একদিন গল্পের মতোই আমাকে শেষ হতে হবে।
যখন শ্রাবণ এল, সিক্ত করে দিল আমায়।
পঙ্কিল এ মহী ধুয়ে গেল শ্রাবণ বন্যায়। আমি তাই ভালোবেসে
উড়িয়ে দিলাম আমার হৃদয় শ্রাবণের কালচে মেঘের ভেলায়।
ওটা যেতে যেতে বিন্দুতে পরিণত হয়, একসময় অদৃশ্য হয়ে যায়।
আমি চেয়ে আছি অপলক
আমি যা দিয়েছিনু তা কি হৃদয় ছিল? নাকি ক্ষণিকের ভ্রম?
তপ্ত রোদ্দুরে আমাতে আজ ধু ধু শূন্যতা, কী যেন ছিল... কী যেন নেই!
আজ কিছু কবির জেগে ওঠার ডালটা আমি মুচড়ে ভেঙে ফেলি।
কারণ, আমার জানা হয়ে গেছে—গুছিয়ে বলা প্রতিটি মিথ্যাই কবিতা।
অনেক স্বপ্নস্রষ্টার স্বপ্ন আমি পূর্ণতা পেতে দিই না।
কারণ, হয়তো আমি আজ হৃদয়হীনা!’
হৃদয় হারানোটা ছিল শুরু। এখন হারাচ্ছি মস্তিষ্কের ফাঁক-ফোকরের স্মৃতিগুলোকে। শ্লথ হচ্ছি ক্রমে। যদিও আমি দ্রুতগামীই-বা কবে ছিলাম!
শিক্ষার্থী, শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট