চিঠি
শুভ্রবসনা
১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা আয়োজন করে ‘চিঠির খামে না–বলা ভালোবাসা’ শিরোনামে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে বাছাই করা চিঠি বন্ধুসভার পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো।
প্রিয়
আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে ক্ষণিকার জন্য দাঁড়িয়ে থেকে যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম, সেদিন খুব ঝলমলে ছিল আকাশ। ঢাকার ধূলিমাখা রাস্তা পেরিয়ে খিলক্ষেত, কুড়িল, মগবাজারের উড়ালসড়ক ভেঙে সাঁই সাঁই করে যখন এগোচ্ছিল বাস, আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে তোমাকে খুঁজছিলাম। শহরের কৃত্রিম সবুজে তোমাকে পাওয়া যায় না। দূষিত বায়ুমাখা পরিবেশ তোমার মতো শুভ্রবসনা স্বচ্ছ সুন্দরীকে ঠিক ধরতে পারে না।
সুদূর আকাশ, উড়োজাহাজের জানালাও যেখান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না, অত দূর পর্যন্ত দৃষ্টি মেললেই তোমাকে ধরা যায়। অবশ্য আমার স্বল্প দৃষ্টিসীমার কারণে চোখে লাগানো চশমায় অত আলো নেই যে চাঁদের কাছাকাছি চোখ মেলে তোমাকে দেখব। অগত্যা উপায় না পেয়ে চোখ মেলি চারুকলায়। দৃষ্টির সমস্ত সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে তুমি আমাকে ধরা দাও চিত্রের অসহ্য বর্ণময়তায়, মায়ায়। যেখানে আমাকে ও তোমাকে ছাড়া আর কিছুই দৃশ্যমান হয় না। ভালোবাসি তোমাকে।
তোমাকে নিয়ে যেতে চাই সেই চিরসবুজ আঙিনায়, যেখানে জ্বলজ্বল করে শিমুল। আকাশের তারার মতো খসে পড়ে একটা একটা করে পলাশ। আর ভালোবাসার দীর্ঘশ্বাসে ভেসে যায় আমাদের ঘরবাড়ি।
ইতি,
তোমার প্রথম পুরুষ।
বন্ধু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা