বৃষ্টির দিন

বৃষ্টির দিনছবি: আনিস মাহমুদ

দেশে বৃষ্টির দিনগুলো প্রকৃতপক্ষেই দারুণ উপভোগ্য সময়। এমন দিনে টিনের চালে বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দ শুনতে খুব ভালো লাগে। সকালবেলা বিছানা ছেড়ে উঠতে মন একদম চায় না। সব কাজকর্মে হালকা গড়িমসি অনুভূত হয়।

বৃষ্টির দিনে রাস্তাঘাট, নদী-নালা পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়। মাঠঘাট, রাস্তা, খানাখন্দ কাদায় ভরে যায়। কলকারখানা, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতে জনসমাগম অপেক্ষাকৃত কম হয়। যাঁদের কাজের জন্য বৃষ্টির দিনে বেরোতে হয়, তারা নিরুপায় ও বাধ্য হয়েই কষ্ট করে বাইরের কাজকর্ম সেরে নেন। এ সময় লোকজন নানা রকম রংবেরঙের ছাতা নিয়ে পথে-ঘাটে বের হন।

এমন দিনে খিচুড়ি, বেগুনভাজা, ইলিশ মাছ ভাজা, গরুর ভুনা গোশত খেতে বড়ই সুস্বাদু। ভরদুপুরে মেঘাচ্ছন্ন ঠান্ডা আবহাওয়ায় কাঁথা মুড়ি দিয়ে একটা ভাতঘুম অসাধারণ অনুভূতি। বিকেলের নাশতায় ছোলা-মুড়ি, গরম গরম চপ, শিঙাড়ার সঙ্গে এক কাপ চা যেন অমৃত!

যদি ঘরে থেকে মুখরোচক খাবার রান্না করে খেয়ে কাঁথা মুড়ি দিয়ে আলস্য ঘুম দেওয়া যায়, সত্যিই বৃষ্টির দিন সবার কাছে অনেক উপভোগ্য।
তবে অসুবিধার দিকও আছে। বৃষ্টির দিনে শিশু-বয়স্ক, গুরুজনদের ঠান্ডাজনিত শাসকষ্ট, জ্বর ইত্যাদি রোগবালাই হয়ে থাকে। যাঁরা দিন আনে দিন খান, তাঁদের জীবনযাপনে কষ্ট হয়।