প্রান্তিক আর্তি

ছবি: ফ্রিপিক

শেষ মুহূর্তের আলাপনে
শব্দগুলো হঠাৎ হয়ে উঠেছিল
প্রবাহহীন ছায়ার মতো—
যা উপস্থিত থেকেও
নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে।
তুমি চেয়েছিলে
নৈঃশব্দ্যের নির্বিকল্প যাত্রা,
আর আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম
মনোপুঞ্জের গোপন ব্যাকরণে,
যেখানে প্রতিটি বাক্য
হৃদয়ের অবরুদ্ধ নিঃসৃত ক্ষরণ।
কিন্তু তখনই
আমার অন্তর্লীন মনস্তর থেকে উঠল
এক তীক্ষ্ণ প্রতিবাদ—
অস্পষ্ট অথচ অদম্য,
যেন অনিয়ন্ত্রিত আগ্নেয় নির্গমন,
যা নীরবতার অনুশাসন মানতে অস্বীকৃত।
আমি বলিনি—
তবু আমার নীরবতাই
তোমার নীরবতাকে ভেঙে দিল
এক অব্যক্ত ধ্বংসচ্ছটায়।
অন্তিম আলাপের দ্বারপ্রান্তে
আমরা দুজনই বুঝলাম—
শেষ মুহূর্তেও
শব্দের মৃত্যু ঘটে না;
মৃত্যু ঘটে সেই নীরবতার,
যাকে আমরা দুজনেই
স্বীকার করতে চেয়েও
অবশেষে অস্বীকৃতি জানালাম।
এই ছিল আমাদের
প্রান্তিক আর্তি—
আলাপনের ছিন্ন,
তবু প্রতিবাদে দীপ্ত
শেষতর আলো।