আমার এখন ক্লান্ত প্রহর
এই যে নিঃসঙ্গতার প্রহরগুলো,
রোজ একলা কাটে, নিঃসংকোচে নিরবধি।
পৃথিবীর সব কষ্ট, বাষ্প ছড়ায় আমার
প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসে।
শিরার ভাঁজে ভাঁজে অজস্র কষ্টগুলো জমাট বাঁধে;
ধুলো পড়া স্মৃতির মলাটে পুরোনো স্বপ্ন মিশে থাকে।
জীবনের পারদে সমস্ত ব্যথা আর বিষণ্নতা এখনো লেপটে থাকে।
বারান্দায় বসে বসে দোল খেয়ে এখনো আমি
ভাবি যারে;
তুমি কি তার সবটা বোঝো?
অনুভবে অনুরাগে সিক্ত আঁখি খুঁজে কী বলো!
জীবনের নৌকায় ভেসে বেড়ানো সমস্ত আবেগ,
আর এক চিলতে রোদ্দুরের ছায়ায় বসে কি কভু
নির্জনে আমায় ভাবো?
এই যে আমার ক্লান্ত বিকেল,
আবছায়া সন্ধ্যায় নক্ষত্রের লুটোপুটি খেলা করে!
দু-চোখের পাতায় দুর্ভাগ্যের বৃষ্টি, অঝোরে রোজ
ঝরে পড়ে!
তুমি কি তার গল্প শোনো, নিঃসৃত ওই নোনাজলে?
আমার অপেক্ষায় মিশে ছিল তোমার উপেক্ষার
এক সমুদ্র বালুকণা;
নিঃশব্দে চলে গেছে সময়ের আলতো পায়ে সে
দুঃখ-ব্যথা।
ভুলে গেলে বুঝি সে-ই স্মৃতির উল্টানো পাতা?
ভুলিনি আমি, ক্ষতগুলো আজ শুধু শুকিয়ে গেছে
তীব্র জ্বালায়।
আমাদের হয় না এখন আর হৃদয়ের লেনাদেনা।
চায়ের চুমুকে খুঁজি না এখন আর প্রেমের উষ্ণতা
এই ঠোঁটের ডগায়।
তুমিও বুঝলে না কতটা গচ্ছিত ছিল ভালোবাসা!