প্রথম আলোর পাঠক সংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করা বন্ধুসভা আজ দেশ ও দেশের বাইরে লক্ষাধিক সদস্য নিয়ে এক বিশাল স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক পরিবারে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ ২৭ বছরের এই যাত্রায় বন্ধুসভার প্রত্যেক বন্ধু মানবতা, দায়িত্ববোধ ও ইতিবাচক চিন্তায় সমাজে পরিবর্তনের অঙ্গীকারে কাজ করে যাচ্ছেন।
বন্ধুত্ব, মানবতা ও ইতিবাচক পরিবর্তন শব্দগুলো আজ আমাদের কার্যক্রমের ভিত্তি হয়ে উঠেছে। প্রত্যেক বন্ধু নিজ এলাকাকে সুন্দর, সচেতন ও মানবিক করে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। স্থানীয়ভাবে আয়োজন করছে অসংখ্য সামাজিক, মানবিক ও সৃজনশীল উদ্যোগ। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণেরা নিজের ভেতরের শক্তি ও মানবিকতা আবিষ্কার করছে, সমাজে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা।
জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ বন্ধুসভার সদস্যদের দক্ষতা, জ্ঞান ও নেতৃত্বগুণ বিকাশে নতুন নতুন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। স্থানীয় বন্ধুসভাগুলোয় সাংগঠনিক সফর বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ আয়োজন ও নেতৃত্ব উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বন্ধুরা হয়ে উঠছেন আরও আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্বশীল। আমাদের লক্ষ্য, বন্ধুরা যেন কেবল পাঠক না হয়ে সমাজে একজন মানবিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।
বন্ধুসভা কেবল একটি পাঠক সংগঠন নয়; এটি আস্থার প্রতীক, তারুণ্যের সৃজনশীল শক্তির মিলনমেলা ও মানবতার সেবায় নিবেদিত এক অগ্রযাত্রা। বন্ধুসভার প্রতিটি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে সামাজিক দায়বদ্ধতা, একে অপরের প্রতি ভালোবাসা এবং দেশকে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি।
দেশ ও দেশের বাইরের মোট ১৪৩টি বন্ধুসভা আজ বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি তরুণদের এক আলোকিত পরিবারে পরিণত হয়েছে। এই পরিবারের প্রতিটি বন্ধু হলো পরিবর্তনের দূত, আশার প্রতীক। বন্ধুত্বের আলো ছড়িয়ে যাক সর্বত্র; মানবতার কল্যাণে, ইতিবাচক পরিবর্তনের পথে, এক উত্তম আগামী গড়ার প্রত্যয়ে। বন্ধুদের প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।