এক দিনে লঞ্চযাত্রায় চাঁদপুর

নদীর পাড়ে বসে এমন মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। বড় স্টেশন, চাঁদপুরছবি: নাজনীন আখতার

ছুটির দিনের সময়কে সুন্দর করে উপভোগ করার জন্য চাঁদপুর হতে পারে চমৎকার একটি জায়গা। মোটামুটি কম সময়ে বেশ কিছু স্পট ঘুরে দ্রুত বাসায় ফেরার মতো সুন্দর স্থান ইলিশের বাড়ি বলে খ্যাত এই শহর। নদীর পাড়ে আড্ডা, মোহনার মৃদু গর্জন, শীতল হাওয়ায় নিজেকে ডুবিয়ে রাখা; সেই সঙ্গে ভোজনরসিকদের জন্য বাহারি খাবারের আয়োজন সবকিছুই উপভোগ্য।

কী কী দেখবেন
তিন নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত চাঁদপুর জেলা অনেকের কাছে ইলিশের বাড়ি নামে পরিচিত। চাঁদপুর যাবেন আর তিন নদীর মোহনায় ঘুরতে যাবেন না, তা কি হয়! সবার কাছে যেটি বড় স্টেশন নামে পরিচিত সেটি তিন নদীর মোহনা। এ ছাড়া আছে ইলিশ চত্বর, ডিসির বাংলো, রক্তধারা ও অঙ্গীকার স্মৃতিসৌধ।

চাঁদপুরের টাটকা ইলিশের স্বাদ নিতে আপনাকে যেতে হবে হরিণা ফেরিঘাট, সেখান থেকে স্বল্পমূল্যে পরিবারের সবাই মিলে ইলিশের স্বাদ নিতে পারেন। তবে খাবারের আগে দামদর করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা
হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ ও ৫০৫ বছরের পুরোনো চাঁদপুরের সবচেয়ে বড় জমিদার বাড়ি, যা স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে হরিপুর চৌধুরী বাড়ি নামে পরিচিত।

কী খাবেন
ইলিশের রাজ্যে আসবেন। আর ইলিশ খাবেন না, তা কি হয়! এমনিতেই এখানে ঘুরতে এলে প্রথমে যে খাবারের কথা মাথায় আসে, তা হলো ইলিশের বিভিন্ন স্পেশাল ডিশ। আরও পাবেন ইলিশ ভাঁজা ও বিভিন্ন স্বাদের ভর্তার সমাহার।

খাবার শেষে চাঁদপুরের বিভিন্ন মিষ্টান্ন খাবার, বিশেষ করে ওয়ান মিনিট আইসক্রিম খেতে ভুলবেন না।

চাঁদপুরের প্রধান পর্যটন এলাকা বড় স্টেশনের ইলিশ চত্বর
ছবি: আফজাল তাহফি রোহান

কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে চাঁদপুরের দূরত্ব কম হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো। চাইলে স্বল্প সময়ে ও কম খরচে আসা যায়। সদরঘাট থেকে চাঁদপুরগামী লঞ্চে চাঁদপুর নেমে পড়বেন। রাতে রওনা দিয়ে এক দিনে ঘুরে বিকেলে চলে যেতে পারবেন।

এ ছাড়া বাসে আসতে পারবেন অথবা ট্রেনে কমলাপুর থেকে লাকসাম নেমে, সেখানে থেকে চাঁদপুর আসা সহজ। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগবে। তাই লঞ্চেই চাঁদপুর ভ্রমণ বেশ আরামদায়ক।

কোথায় থাকবেন
যাতায়াত সহজ হওয়ার সকালে বের হয়ে সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসা যায়। এ ছাড়াও রাত্রি যাপন করার জন্য স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন হোটেল পাবেন।

সতর্কতা
যেখানেই যাবেন, প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন। স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করবেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে মানুষের প্রতিযোগী না হয়ে সহযোগী হবেন। পর্যটন স্পষ্ট যেন আপনার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন। জমিদার বাড়িতে প্রবেশের আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রবেশ করবেন।

চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর