জীবনের মরীচিকা
জলের ভেতর নড়ে—চড়ে ওঠে প্রাণ
হয়তো বুদ্বুদ, জীবনের মরীচিকা
শব্দ যখন চিৎকার হয়ে ওঠে
ধ্বনিত আর্তনাদ নীরবে গুমরে মরতে মরতে
নৈঃশব্দ্যে মিলিয়ে যাবে বলে
মাছের মতো দুটো চোখ
শায়িত শবের শ্মশান থেকে
শিকড় শুদ্ধ কম্পনে ঝনঝন করে ওঠে
বলো তুমি, এ অসময়ে সাপের মুখে মধু নেবে
নাকি মানুষের ঠোঁটে বিষ?
ভালোবাসার বুকে দগ্ধ জ্বলন নেবে
নাকি ভালোবাসাহীনতায় আশ্রয়?
শরীরের শিরায় শিরায়
পরগাছার মতো বেঁচে থাকো কেন
জরাজীর্ণ পৃথিবী ছেড়ে মরে যেতেও
যখন এত ভয়
বলো তবে কবে নিজেই হবে গাছ
তোমার অতল ছুঁয়ে আমিও নাহয়
বুঝে নেব নিজেই নিজের কাজ
দানের বিনিময়ে রক্ত শানিয়ে
কিছুটা অন্তত আত্ম–পরিত্রাণ