‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ হুমায়ূনের চিরকালীন সৃষ্টির ফল্গুধারা

‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যছবি: সংগৃহীত

হুমায়ূন আহমেদ ভালোবাসার জাদুকর। কোমল মধুর চলার ছন্দে, ভালোবাসা আর মরম দিয়ে সৃষ্টির বীজ রোপণ করে গিয়েছেন আজীবন। সোনার ফসলে উপচে পড়েছে বাংলা সাহিত্যের ডালি। শাখায় শাখায় অসংখ্য নতুন বার্তার মঞ্জরি। জীবনের অনেক জটিল–কুটিল–কঠিন দিক থাকে, সেই কাঠিন্যের আড়ালেও থাকে আগুনের পরশমণি। হুমায়ূন সেই জট পাকানো সুতোগুলোকেও গিট্টু খুলে খুলে ছাড়িয়ে এনে, সহজ করে নকশিকাঁথা বুনে, আমাদের শীতকাতর শরীর ঢেকে দিতে পারেন। এক মায়াময় জীবনের পরতে পরতে, জীবন সত্যের সামনে এনে দাঁড় করাতে পারেন। ইট, রড, কাঠ, পাথর ও সিমেন্টের সভ্যতায় বসেও আমরা শেকড়ে জলের সন্ধান পাই। পায়ের তলায় ভূমির শিহরণ অনুভব করি। আমরা আগুনের পরশমণির ছোঁয়া পাই, ঋদ্ধ হই।

‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ হুমায়ূনের তেমনই এক চিরকালীন অনবদ্য সৃষ্টির ফল্গুধারা। আমাদের হৃদয়ে হৃদয় দিয়ে, ভালোবাসা–বেদনা বুনে দিয়ে যায়। কিন্তু স্নেহ আর ভালোবাসার এই ধারাকে যে কখনো চোখে দেখা যায় না, শুধুই অনুভব করা যায়। অনুভবে, জাগরণে হুমায়ূন তাই আমাদের হৃদয়ের সম্রাট। আমাদের তৃপ্তির, স্বর্গীয় আনন্দের স্বাদ।

১৯৯৯ সালে নিজের লেখা উপন্যাস ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ কেও নিজের পরিচালনায় চলচ্চিত্রে রূপ দিয়ে মুক্তি দিলেন। একজন বহুল পঠিত জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক নিজেই নিজের রচনাকে নিয়ে আবার চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন, এমনটা সচরাচর দেখা যায় না।

আবার এই হুমায়ূন আহমেদ যে শুধু কথার পর কথা বুনে কথা সাহিত্যের সম্রাট, তা শুধু নয়। তিনি কথাকে চলমান দৃশ্যেও এনে হাজির করতে পারেন। হাজির করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর ধারাবাহিক নাটক গোটা দেশকে মাতিয়ে রেখেছে। একটা দীর্ঘ সময়ের কয়েক প্রজন্মকে মুগ্ধ করে রেখেছে। ১৯৯৯ সালে নিজের লেখা উপন্যাস ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ কেও নিজের পরিচালনায় চলচ্চিত্রে রূপ দিয়ে মুক্তি দিলেন। একজন বহুল পঠিত জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক নিজেই নিজের রচনাকে নিয়ে আবার চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন, এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। পূর্বের অভিজ্ঞতার দরুণ এই চলচ্চিত্র নির্মাণ পর্বেও তিনি যথার্থ সফল।

গ্রামের এককালের জমিদার এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ের রাজাকার ইরতাজুদ্দিনের শহুরে দুই নাতনি শাহানা আর নীতু গ্রামে আসছে, এখান থেকেই কাহিনীর শুরু। গ্রামে আসার সময় ওদের দুই বোনের রিজার্ভ করা নৌকায় একই গ্রামের বাউন্ডুলে এক গায়ক মতি উঠে পড়েছিল। নীতু তাকে ভর্ৎসনা করলে, নৌকার ভাড়া দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই ঠিকই, মধুর গানে সে দুই বোনের মন জুড়িয়ে দেয়।
দাদু মহাসমারোহে দুই নাতনিকে বুকে টেনে নিয়ে বাড়ি নিয়ে যাবে। গ্রামের মানুষ ইরতাজুদ্দিনকে খুব একটা পছন্দ করে না। পূর্বের অভিজ্ঞতার দরুণ ভয় পায়। তবে আগের মতো জমিদারি না থাকলেও ঠাটবাট এখনো আছে। এখনো তিনি সামন্ততান্ত্রিক প্রভু। তাই তার হাঁকডাক অমান্য করার ক্ষমতা কারও নেই। গ্রামের সকলের মধ্যে ভয়মিশ্রিত একটা সমীহ কাজ করে।

আবার বাবার সঙ্গে মতে না মেলাতে ছেলেও বহুবছর আগে গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিল। সেই ছেলে আর ফিরে আসেনি। নাতনিরা এতদিন পর দাদুকে দেখতে এসেছে।
জমিদার বাড়ির দুই রাজকন্যাকে গ্রামের ছেলে থেকে বৃদ্ধ সকলে ঘিরে ঘিরে থাকছে। বড় রাজকন্যা শাহানা ডাক্তার। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ মানে না। সকলের সঙ্গে মিশে যায়। দাদুর একেবারে বিপরীত স্বভাবের।
ছোট রাজকন্যা গ্রামে ঘুরে ঘুরে ছবি তোলে। একটু বেশি কথা বলে। শহুরে জীবনের আভিজাত্য কাটিয়ে উঠতে পারে না। তবে দিদি শাহানা তাকে প্রতিটি পরিবেশ পরিস্থিতিতে আগলে রাখে।

দুই রাজকন্যার সঙ্গে ভাব হবে গ্রামের দরিদ্র এক পরিবারের অন্য দুই কন্যা, দুই বোন কুসুম আর পুষ্পের সঙ্গে। কুসুম গ্রামের দুরন্ত ছটফটে চঞ্চল কন্যা। গানপাগল। তাই ভবঘুরে গানপাগল মতির সঙ্গে তার খুব ভাব। মতিও মনে মনে কুসুমকে ভালোবাসে। কিন্তু মতি গানের জন্য কখনো সংসার করবে না। তার ধারণা গান সাধনা আর সংসার দুটো একসঙ্গে হয় না। একদিন সে একটা বড় গানের দল করবে। দলের নাম দেবে ‘মতি মিয়ার দল’। সেই দল নিয়ে দেশ-বিদেশে গান করে বেড়াবে। কুসুমও স্বপ্ন দেখে সেই দলে ভিড়ে যাওয়ার।

আবার গানপাগল মতির এই স্বপ্ন শহুরে ডাক্তার শাহানারও মনে ধরে যায়। সেও গানপাগল। সে মতিকে বাড়িতে দাওয়াত দেয়। মতি ভালো পোশাক পরে জমিদার বাড়িতে যায়। ইরতাজুদ্দিন তাকে নাতনিদের সঙ্গে দেখা করতে দেয় না। সিঁড়িতে বসিয়ে ভালোমন্দ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে। সে খাবার মতির গলা দিয়ে নামে না। অন্য একদিন অবশ্য নাতনির কাছে দাদু হার মানে। মতিকে বাড়িতে গান করতে ডেকে আনে। মতি দলবল নিয়ে এসে গান ধরে, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজ শোন বলিরে পাগল মন/ মানুষের ভেতরে মানুষ করিতেছে বিরাজন...’ গানে গানে মাতিয়ে দেয়, মুখর করে তোলে রাজবাড়ি। শাহানার মনে ঢেউ ওঠে। দুই রাজকন্যার মন জুড়িয়ে যায়। গানের কথা ইরতাজুদ্দিনের মনের মধ্যেও বিঁধে।
আর মতির মুখে শাহানার যত প্রশংসা শুনে, শাহানার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা শুনে কুসুমের মনের আনচান বেড়ে যায়। সে পায়ে পা দিয়ে মতির সঙ্গে ঝগড়া করে। এই ঝগড়া তো এই ভাব। সে যে মতিকে হৃদয়–মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসে, মতিকে অন্য কারও সঙ্গে দেখতে চায় না।

কুসুমের বোন পুষ্প জমিদার বাড়িতে ছোট নাতনি নীতুকে সর্বক্ষণের দেখাশোনার কাজ পায়। কুসুমের বাবা বহুদিন গ্রামছাড়া। গ্রামের লোক বলে বেড়াচ্ছে, হয়তো অন্য কোথাও গিয়ে সংসার পেতেছে। কুসুমের মা এ কথা বিশ্বাস করে না।
পুষ্প নদীতে ভেলা টেনে নীতুকে গ্রাম ঘুরে দেখায়। বেদেনিরা শহুরে কন্যা নীতুকে রসিকতা করে সাপ বার করে দেখায়। নীতু ভয় পেয়ে যায়। রাজকন্যাকে ভয় দেখানোর অপরাধে জমিদার দাদু বেদেনীদের ধরে এনে চুল কেটে দেয়। দাদুর এ ধরণের অনেক আচরণ শাহানার পছন্দ হয় না। কথায় কথায় প্রতিবাদ করে। গ্রামের অন্য সাধারণ মানুষের মতো মানুষের ভিড়ে গিয়ে মিশে যায়।

কুসুমের বাবা একদিন ফিরে আসে। সঙ্গে কুসুমের জন্য পাত্র নিয়ে আসে। এই পাত্র অনাথ। নতুন বাবা-মা পেয়ে খুশি। কুসুমকেও ভালোবেসে ফেলে। এই পাত্রও গান জানে। গান ভালোবাসে। ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ গোটা চলচ্চিত্রটাই যেন একটা সুরের সফর। সুরের সঙ্গে জীবনের তারের টানাছেঁড়া গল্প।

শিরায় শিরায় সুরের নদী, নদীর বাঁকবদল, বহতি ধারার গতিপথের গল্প। প্রেম ছাড়া যেমন সুর হয় না, সুর ছাড়া জীবন হয় না, সুরহীনতাও কখনো কখনো জীবনের গতিপথ উল্টে পাল্টে দেয়। প্রেম তখন অন্ধের মতো পায়ের তলায় মাটি খুঁজে বেড়ায়। প্রেম আর প্রেমহীনতা দুটো ধারার গল্পকে একই সঙ্গে চরম বিরহে, বিপর্যয়ে রূপান্তরিত করে এই চলচ্চিত্র। হুমায়ূন আহমেদ ‘আমি খুব অল্প কিছু চাই’ কবিতায় যেমন লিখেছিলেন, ‘আমি খুব অল্প কিছু চাই!/ আমাকে ভালোবাসতে হবে না / ভালোবাসি বলতে হবে না/ মাঝে মাঝে গভীর আবেগ নিয়ে/ আমার ঠোঁট দুটো ছুঁয়ে দিতে হবে না/ কিংবা আমার জন্য রাত জাগা পাখিও হতে হবে না/ অন্য সবার মতো আমার সাথে রুটিন মেনে দেখা করতে হবে না/ কিংবা বিকেল বেলায় ফুচকাও খেতে হবে না/ এত অসীম সংখ্যক “না” এর ভিড়ে/ শুধুমাত্র একটা কাজ করতে হবে/ আমি যখন প্রতিদিন এক বার ‘ভালোবাসি’ বলব/ তুমি প্রতিবার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে/ একটুখানি আদর মাখা গলায় বলবে/ “পাগলি” বিশ্বাস কর!’’ কি আশ্চর্য সুন্দর এই কবিতা! ভালোবাসা আর দীর্ঘশ্বাস পাশাপাশি শুয়ে থাকে। আমরা যখন কাউকে বলি ‘ভালোবাসি’ তখন পূর্ণ বিশ্বাসেই তো বলি। কিন্তু এক ভালোবাসার যখন অনেক ভাগিদার হয়ে যায়, তখন কি হবে?

প্রেম তো এভাবেই মানুষকে বদলে দিতে পারে। প্রেম কঠিন মানুষকে সহজ করে দিতে পারে। প্রেম শহুরে কন্যাকে শিকড়ের টানে চিরতরে গ্রামে নিয়ে আসতে পারে। মানবপ্রেম আর দেশপ্রেম এভাবেই একটা জায়গায় এসে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়।

কুসুম তো মনেপ্রাণে মতিকে চায়। মতি ও নিজের গানের মতো কুসুমকে ভালোবাসে। আবার মতিতে মন মজেছে শাহানার। কুসুমের বিয়ের বাদ্য বেজে উঠেছে এক অনাথ পাত্রের সঙ্গে। সেও নতুন করে কুসুমকে ধরে বেঁচে ওঠার স্বপ্ন দেখছে। কার কাছে কার প্রেম তবে পরিণতি পাবে? কে কাকে ধরে হারবে অথবা লুফে নেবে জীবন?

মানুষের মন বড় জটিল। শাহানা গ্রাম ছেড়ে যাচ্ছে। ততদিনে সে গ্রামের প্রতিটি মানুষের কাছে ভগবান। ধাইমা যা পারেনি, মাতৃগর্ভের ভেতর এক উল্টানো শিশু, নব্য ডাক্তারি শেখা শাহানা তাকে পৃথিবীর আলো দিয়েছে। মা এবং শিশু দুজনকেই বাঁচিয়েছে। এক মাস আগে যদি শাহানা গ্রামে আসতো, অন্য এক শিশুর প্রাণ বাঁচাতে পারত। সেই মৃত সন্তানের মা আজ আর্তনাদ করে মরে। সেই আর্তনাদ শাহানার হৃদয়ে বিঁধে যায়। সুবলের ঢাকী বাবা মাতৃগর্ভে উল্টানো শিশুর জন্ম দেওয়ার জন্য, স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য শাহানাকে নত হয়ে প্রণাম করে।

শাহানা ততদিনে দাদুকেও পাল্টে ফেলেছে। দাদু মানবে না, কিছুতেই মানবে না করেও সব শর্ত মেনে নিয়েছে। আজ দুই নাতনির সঙ্গে শহরে ছেলের কাছে চলে যেতে তিনি প্রস্তুত। নিজের রাজবাড়ীতে একটা হাসপাতাল করতে দিতে তিনি প্রস্তুত। নিজের সব সহায় সম্পত্তি গ্রামবাসীর জন্য দান করে দিল। শাহানা এই গ্রামে নিজের বাড়িতে হাসপাতাল বানিয়ে এখানেই বাকি জীবন দারিদ্র্যপীড়িত অসহায় মানুষের চিকিৎসা করবে। আর মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের নিজের বাড়িতে থাকতে দিয়ে যে অপরাধ দাদু করেছে, আজ তার জন্যও দাদু অনুতপ্ত, সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। প্রেম তো এভাবেই মানুষকে বদলে দিতে পারে। প্রেম কঠিন মানুষকে সহজ করে দিতে পারে। প্রেম শহুরে কন্যাকে শিকড়ের টানে চিরতরে গ্রামে নিয়ে আসতে পারে। মানবপ্রেম আর দেশপ্রেম এভাবেই একটা জায়গায় এসে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়।

আর ওদিকে প্রেম আবার কুসুমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। কুসুম বিষপান করেছে। দুই প্রেমিক ভরা নদীতে দাঁড় টেনে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে ছুটছিল। কিন্তু নদীর বুকে কুসুমের প্রাণের ঢেউ, প্রাণতরঙ্গ একসময় থেমে গেল। দুই মাঝি, প্রণয়তরীর দুই কান্ডারি হতাশ বিমর্ষ, শোকে কাতর দাঁড় ছেড়ে দিল। কুসুমের মাও শোকে পাথর। নদী প্রকৃতি মানুষ এভাবেও একইসঙ্গে কথা বলে উঠল, একটি চলচ্চিত্রের অন্তিম দৃশ্যে। চোখের জলকে যেন কিছুতেই বাঁধ মানানো যায় না। পরিচালক হুমায়ূন আহমেদ।
সুবলের বাবা সুবলকে ঢাক বাজানো শেখানোর সময় চোখ বেঁধে দিয়েছিল। চোখ দিয়ে নয়, যাতে মন দিয়ে, মনের আলোতে সে দেখতে পায়। শিল্পীদের, সৃষ্টিশীল মানুষদের মনোসংযোগ এমনই হয়। সুবল সেভাবেই ঢাকে তাল তুলেছে। ঢাকের বোলে মাতিয়ে দিয়েছে। এই দৃষ্টি অন্তর্দৃষ্টি। এই দৃষ্টি অন্তরের দৃষ্টি। হুমায়ূন আহমেদের এই দৃষ্টি ছিল প্রখর।

বাংলাদেশের চিরন্তন ঢাকের বোল, গ্রাম বাংলার সুর, গান, বিলে শাপলা ফুল তোলা, কারুখচিত হাতপাখা, গ্রাম এবং নদীর অপরূপ সৌন্দর্য তুলে আনা, বিয়ের অনুষ্ঠানে গায়েহলুদের গান ইত্যাদি এই চলচ্চিত্রের সম্পদ। ভাটির দেশের মানুষ হুমায়ূন ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবনকে রচনায় এবং চলচ্চিত্রে সুন্দর তুলে এনেছেন। মুক্তি, শাওন, জাহিদ হাসান, গোলাম মুস্তাফা, আনোয়ারা, রওশন জামিল, মাহফুজ আহমেদ, সালেহ আহমেদ সকলের অভিনয় উচ্চমানের। মুক্তি আর শাওনের চোখ ধাঁধানো রূপ, প্রকৃতই বাংলার মুখ। গোলাম মুস্তাফা যে কত বড় মাপের অভিনেতা ছিলেন, প্রমাণ করে গেছেন।

হুমায়ূনের ভুবনে একটা বড় পালক ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’। মেঘের পালক হৃদয় নিংড়ানো বৃষ্টি নামায়। মাটি যার হাপিত্যেশ করে বসে থাকে। এই পালক বুকে গুঁজে রাখতে হয়। মনের ডায়েরিতে তুলে রাখতে হয়।

হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত