আজ মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় দিন। বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু বিজয়ের ৫৩ বছর পরও পুরোপুরি বৈষম্যমুক্ত হয়নি দেশ। সেই লক্ষ্যে গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থান ঘটায়। অভ্যুত্থান–পরবর্তী বিজয়ের এই দিনে নতুন বাংলাদেশ নিয়ে নিজেদের স্বপ্নের কথা বলেছেন বন্ধুসভার বন্ধুরা।
সৌহার্দ্যপূর্ণ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি
তরুণেরাই দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। তারুণ্যদীপ্ত চোখ হোক বাংলাদেশের প্রত্যেক তরুণের অন্তর ও বিবেক। যেমনটা আমরা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়কালে প্রত্যক্ষ করেছিলাম। দেশের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে তরুণেরাই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দেশের হাল ধরবে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও নিরাপত্তা—মৌলিক এ বিষয়গুলো নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি খাত যেন হয় নিরপেক্ষ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। এমন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।
সৌরভ সরকার
সভাপতি, সুনামগঞ্জ বন্ধুসভা
তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের গল্প শোনাতে হবে
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন একটি ভূখণ্ড পাই। যার চূড়ান্ত বিজয় আসে ১৬ ডিসেম্বর দেশ থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্ত হওয়ার পর। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে শত্রু দেশের বিপক্ষে মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই করেছিলেন, সেই বৈষম্যহীন রাষ্ট্র এখনো পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। স্বপ্ন দেখি, দেশের প্রতিটি সেক্টর বৈষম্যমুক্ত হবে। তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের গল্প শোনাতে হবে। কারণ, তারাই দেশের আগামী।
হামিদা হিমু
সাধারণ সম্পাদক, যশোর বন্ধুসভা
অজ্ঞতা যেন আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি না করে
সব অনিয়ম রুখে দিয়ে এমন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি, যেখানে অলঙ্ঘনীয় ঐক্য থাকবে। যাতে অজ্ঞতা আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি না করতে পারে। কুসংস্কার আমাদের ভুল পথে না নিতে পারে। একসঙ্গে গড়ে তুলব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিশালী এক বাংলাদেশ।
নাইম ইসলাম
সভাপতি, বরিশাল বন্ধুসভা
দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই
বাংলাদেশ একটি স্বপ্নপতাকার নাম, একটি রক্তপতাকার নাম। পতাকার জন্য আর কোনো রক্ত না ঝরুক। বৈষম্য নয়, সমতার বিজয় চাই। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই। ভোরের আলোর মতো সুন্দর ও পবিত্র হোক প্রত্যেক মানুষের মন, এই প্রত্যাশা।
রুবি আক্তার
সভাপতি, নীলফামারী বন্ধুসভা
দেশের প্রতিটি সেক্টর হোক স্বচ্ছ, সুন্দর ও জবাবদিহিমূলক
প্রতিটি বিজয়ই নব প্রজন্মের সম্ভাবনার দুয়ারকে উন্মুক্ত করে দেয়। নতুন বাংলাদেশ হোক দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধিশালী ও একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ স্থিতিশীল রাষ্ট্র। দেশের প্রতিটি সেক্টর হোক স্বচ্ছ, সুন্দর ও জবাবদিহিমূলক। পালাবদল হোক সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নবদিগন্তের।
হামিদুল হক
সাধারণ সম্পাদক, ময়মনসিংহ বন্ধুসভা
নতুন প্রজন্মের হাতে গড়ে উঠুক এক নতুন বাংলাদেশ
বিজয় দিবস আমাদের স্বাধীনতার গৌরবময় দিন। আমাদের ত্যাগ, সাহস ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। বিজয়ের এই দিনে আমরা এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখি, যেখানে শিক্ষার আলো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে, বৈষম্য থাকবে না এবং প্রতিটি নাগরিক সম্মান ও অধিকার নিয়ে বাঁচবে। আমাদের স্বপ্ন একটি সুশৃঙ্খল ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলা। যেখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং মানবিক মূল্যবোধ সমানভাবে গুরুত্ব পাবে।
নতুন প্রজন্মের হাতে গড়ে উঠুক এক নতুন বাংলাদেশ। যেখানে সব ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষ এক হয়ে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
ফারহানা রুনু
সভাপতি, পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা