মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে স্যালভেজ ব্যবসা

সাক্ষাৎকারটি ২০২৪ সালের জুনে প্রকাশিত বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের ‘তারুণ্য’ ম্যাগাজিনের দশম সংখ্যা থেকে নেওয়া।

অলংকরণ: অভিনয় আহমেদ

মেরিন চিফ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সারোয়ার। পাস করেন মেরিন একাডেমি থেকে ১৯৮৪ সালে, ১৯তম ব্যাচ। পরে প্রফেশনাল কম্পিটেন্সির জন্য আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড থেকেও পড়াশোনা করেন। ১৪-১৫ বছর জাহাজে চাকরি করেন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। ১৯৮৪ সাল থেকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পথচলা শুরু। ১৯৮৭ সাল থেকে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন থেকে ফরেন শিপে যোগদান করেন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। পরে চার-পাঁচ বছর চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জয়েন করার পরে ১৯৯৮ সালে জাহাজ থেকে নেমে যান। এরপর নিজের ব্যবসা শুরু করেন। বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের ম্যাগাজিন তারুণ্যের জন্য তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফাহমিনা বর্ষা

জাহাজ থেকে নেমে যাওয়ার কারণ এবং জাহাজে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আর কাজ না করার সিদ্ধান্ত কবে নেওয়া হয়?

আসলে চিফ ইঞ্জিনিয়ারের ওপরে তো আর কোনো পোস্ট নেই, তাই সেম প্যাটার্নের জব করতে করতে একঘেয়েমি চলে এসেছিল। ’৯৬-এর দিকে মনস্থির করি জাহাজ থেকে নেমে যাওয়ার। ভাবলাম নতুন কিছু করি। আর তখন বাংলাদেশ মেরিটাইম সেক্টরে অনেক রকম সার্ভিসের অভাব ছিল; যেটা আমাদের এখানে কেউ করত না। সেই মার্কেটকে ফোকাস করে ভাবলাম কিছু করা যায় কি না।

শুরুর দিকে দেড় বছর শিপ রিপেয়ারিংয়ের সঙ্গে ছিলাম। পরে মেরিন ইমার্জিং স্যালভেজ অর্থাৎ বর্তমানে যে সেক্টরে আছি, সেখানে কাজ শুরু করি।

জাহাজ থেকে নামার কত দিন পরে এই কাজ শুরু করেন?

কাকতালীয়ভাবে যেদিন জাহাজ থেকে নেমে যাই (৮ অক্টোবর), এর পরের দিনই (৯ অক্টোবর) জাহাজে গিয়েছিলাম শিপ রিপেয়ারার হিসেবে। আমার এক পরিচিত বন্ধু ছিল। ওর লাইসেন্স দিয়ে কাজ করেছিলাম আমার জাহাজেই। জাহাজের শিপিং কোম্পানির টেকনিক্যাল ম্যানেজার ছিলেন; উনি বললেন ইউ আর দ্য বেস্ট ম্যান টু ডু দ্য জব। কারণ, আমি আসলে জাহাজের খুঁটিনাটি সব চিনতাম। তাই আমাকে তাঁরা ভরসা করেছিলেন।

ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা ছেড়ে এই সেক্টরের প্রতি আগ্রহ জন্মানোর কারণ কী?

চট্টগ্রাম বন্দরে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। একজন শ্রীলঙ্কান, তিনি নারকেলের শাঁস নিয়ে এসেছিলেন প্রায় দুই-আড়াই হাজার টন; যা থেকে নারকেলের তেল বানানো হয়। হঠাৎ করে জাহাজের হোল্ডে আগুন লেগে যায়। তখন নারকেল তেলের সেই পণ্য দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করল। শিপ তখন ১ নম্বর জেটিতে ছিল। চিটাগং পোর্টের বিভিন্ন ফায়ার সার্ভিস, নেভি ফায়ার সার্ভিস সবাই এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করল। একপর্যায়ে নেভাতে গিয়ে জাহাজটাকে ডুবিয়ে ফেলল। এ ছাড়া উপায় ছিল না। জাহাজের ইঞ্জিন রুমে ফুয়েল ট্যাংক ছিল। সুতরাং বিস্ফোরণ হতে পারত এবং অন্যান্য জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এ জন্যই সেফটি কনসার্ন থেকে জাহাজ ডুবিয়ে ফেলল, নাম ছিল সাউদার্ন কুইন। সেটা চজিল, স্যালভেজের জীবনের প্রথম জাহাজ। রাতে সেদিন টিভিতে দুর্ঘটনার নিউজ দেখে সকালে অফিসে যাওয়ার আগে পোর্টে ঢুকলাম। ডুবন্ত জাহাজের ব্রিজের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছিল পানিতে। আমরা আসলে চাই না কোনো জাহাজ ডুবে যাক। সেই খারাপ লাগা থেকেই ভাবছিলাম, যদি এই জাহাজটা তুলতে দেয়, আমি কী করব? বিশাল জাহাজ পানির ৫০ ফুট নিচে, তুলব কী করে?

তো দু-এক দিন পরে জাহাজের ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সার্ভেয়ার আমাকে ফোন দিয়ে বলল, যুক্তরাজ্য থেকে জাহাজের বিমা কোম্পানির পরিচালকেরা এসেছে। তুমি যদি চাও ওদের সঙ্গে বসতে পারো, ওনারা জাহাজটা স্যালভেজ করবে। বললাম, আমি তো কখনো স্যালভেজ করিনি। তিনি বললেন, ‘তুমি আসো আগে, দেখো কথা বলে।’

এদিকে এই দু-তিন দিনের মধ্যে আমার মাথায় জাহাজ তোলার জন্য একটা আইডিয়া আসে। জাহাজ তুলতে একটা লিফটিং ফোর্স লাগে। এই ফোর্স দেওয়ার মতো বাংলাদেশে কোনো মেথডলজি বা ইকুইপমেন্ট ছিল না। কিন্তু একটা জিনিস ভাবলাম যে বাংলাদেশে জোয়ার-ভাটা হয়, সেখানে প্রায় ১২-১৪ ফুট পানির লেভেল আপডাউন করে। এই আপডাউনটাই কিন্তু একটা ফোর্স। এটাকে কাজে লাগিয়ে কিছু অতিরিক্ত ফোর্স দিয়েই জাহাজটা হয়তো তোলা সম্ভব। এটা ছিল আমার বেসিক আইডিয়া। এর ভিত্তিতেই আমি বললাম যে জাহাজটা তোলা সম্ভব। তখন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে থেকে একজন আর হংকং থেকে একজন এসেছিল, সঙ্গে বাংলাদেশের সার্ভেয়াররাও ছিল। আমাকে জিজ্ঞেস করল, আমি কি আগে সার্ভিস করেছি কি না? জবাবে বললাম, ‘না, আমার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। তবে আমি আমার আইডিয়াটা শেয়ার করতে পারি।’ এভাবে আইডিয়াটা শেয়ার করলাম তাদেরকে। ওনারা আবার জিজ্ঞেস করলেন, তোমার ইকুইপমেন্ট কী কী আছে? বললাম কিছু নেই। আমি সৎ থাকার চেষ্টা করলাম।

যিনি হংকং থেকে এসেছেন, তিনি আমার আইডিয়াটা পছন্দ করলেন। ওনার অভিজ্ঞতা এতটাই নিখুঁত যে উনি সব সময় যাকে কাজ দেন, সেই কাজটা যথাযথভাবে করে দিতে পারে এমন লোক নিযুক্ত করেন। তিনি বললেন, তোমার প্রোপোজালটা ওয়ার্কেবল প্রোপোজাল; কিন্তু আরেকটু ডিটেইলিং লাগবে। আমি তখন ডিটেইল করে সাবমিট করলাম। তখন আমাকে কোটেশন করতে বললেন। বাংলাদেশে এই কাজ আগে কেউ করেনি। আমিও নতুন, তাই আমি তিন লাখ টাকার কোটেশন করেছিলাম ৩ লাখ ডলারে। সাধারণত কত টাকা লাগে, সেটা তো জানি না। কাজ শেষ করার আনুমানিক সময় দিয়েছিলাম তিন মাস। হল্যান্ডের সেরা একটা টিম ছিল; তারাও কোটেশন করল সেই প্রোজেক্টের জন্য, ৩ মিলিয়ন ডলার। যা আমার কোটেশনের সঙ্গে অনেক বড় পরিমাণের পার্থক্য ছিল। তখন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি কাজটা আমাকে দিল। তিন মাসের মধ্যেই কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া কাজটা সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই কাজের ওপর আমার একটা আর্টিকেল আছে, যেটা ইংল্যান্ড থেকে বের হয়েছে। তখন তারা খুশি হয়ে কাজটির জন্য আমাকে আরও ১ লাখ টাকা বেশি দিয়েছে।

নতুন কাজের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া।

সবকিছু আসলে এতটা সহজ ছিল না। আমি ডাইভিং করতাম। আমার নিজের ৫০-৬০ জন লোক কাজ করত। ডাইভার, মেরিনার, মেকানিক্যাল সাইড, মেরিনার, ইঞ্জিনিয়ার। এই জাহাজ উত্তোলন করতে গিয়ে অনেক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রায় ৫৫ মিনিট জাহাজের তলায় ৫০ ফুট পানির নিচে আটকে ছিলাম। অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল; কিন্তু সেটা সারফেস থেকে পাইপের মাধ্যমে আসা অক্সিজেন। সারফেস ড্রিপিং ছিল। এগুলোর মেয়াদ থাকে ২০ থেকে ২৫ মিনিট।

যাহোক, পুরো জাহাজকে ৮টি তার দিয়ে বেঁধে ফেলি। এটা করতে হয় টানেল বসিয়ে টানেলিং পদ্ধতিতে। ৬ নম্বর তারটা ঠিকভাবে বাঁধার পর ৭ নম্বর তার বাঁধার কাজ প্রায় ২১ ঘণ্টা ধরেও হচ্ছিল না। তখন প্রতিদিন ৭৫ টাকা লাগত মেইনটেন্যান্সে। বিশাল খরচ। আর চুক্তি ছিল, ‘no rescue, no pay’ নীতিতে। তাই অসফল হলে আসলে টাকাটা পেতাম না।

প্রথমে যখন ডাইভাররা পারছিল না, আমি ভাবলাম নিজে নেমে দেখব, কেন হচ্ছে না। তখন সেখানে আমি নিজে নামলাম। বাংলাদেশের পানির বড় সমস্যা হচ্ছে কিছু দেখা যায় না, ঘোলা পানি। টানেল দিয়ে ক্রলিং করে অর্ধেক যাওয়ার পর আমার লাইফ লাইনটা তারের সঙ্গে পেঁচিয়ে গিয়েছিল। অনেক চেষ্টা করে বের হওয়ার চেষ্টা করেছি। ছুরি খুঁজছিলাম, কেটে বের হওয়ার জন্য। কিন্তু দেখলাম ছুরি নিইনি। আসলে ভাগ্য ভালো যে আমি ছুরিটা সঙ্গে নিইনি। কেননা, ছুরি দিয়ে কেটে বের হলে আমার ক্ষতি হতো। ডাইভিংয়ের নিয়ম আছে কিছু। প্রতি এক মিটার অন্তর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের ওপরে উঠতে হয়। আমাদের শরীরে অনেক অক্সিজেন থাকে। কিন্তু পানির নিচে গেলে অক্সিজেন বের হয়ে ডিসল্‌ভড নাইট্রোজেন ঢুকে। সেটা যদি শরীরে থেকে যায়, তখন মাংসগুলো খুলে পড়ে যায়। ছুরি দিয়ে কেটে ফেললে রিস্কটা ছিল। আমার মুখে মাস্ক ছিল, সেটা দিয়ে অনেক পানি ঢুকে পড়ত। তখন কিছুটা প্যানিক করা শুরু করলাম। ইমার্জেন্সি সিগন্যাল আছে সেটা দিলাম।

ডাইভিংয়ে একজন ফুল গিয়ার্ড স্ট্যান্ডবাই ডাইভার থাকতে হয়। আমি সেদিন প্রথম ভুল করেছিলাম যে সে রকম কোনো ডাইভার রাখিনি। তিনটি ডাইভারের মধ্যে বাকি দুজন নিচে কাজ করছিল, আমি একা নেমেছিলাম। তাই কেউ উদ্ধার করারও নেই। সিগন্যাল দিয়েও লাভ হলো না। একপর্যায়ে মনে হলো আমি মারা যাচ্ছি, তখন বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানদের চোখের সামনে দেখা শুরু করলাম। মনে হচ্ছিল আর বাঁচব না। প্যানিক করছিলাম, আর আমার ব্রেনে অক্সিজেন শর্ট পড়ছিল। যেহেতু অক্সিজেন শর্ট পড়লে চিন্তাশক্তি অনেক কমে যায়। তখন প্যানিক করা বাদ দিয়ে ভাবলাম একটু শুয়ে থাকি। কিছুক্ষণ পরে দেখলাম আমি চিন্তা করতে পারছি, কিছুতা শান্ত লাগছে। তখন আরেকটা ডিগবাজি দেওয়ার পর ওখান থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছি।

সেদিন আল্লাহর রহমতেই বেঁচে ফিরতে পেরেছি। কেননা আমি শিউর ছিলাম না উল্টো ডিগবাজি খেলে বের হতে পারব কি না। ঘোলা পানির নিচে কোন দিকে লাইফলাইনারটা পেঁচিয়ে গিয়েছিল বোঝা যাচ্ছিল না। তাই ডিগবাজি খেলে কি আরেকটা প্যাঁচ পড়বে না কি প্যাঁচ খুলবে, সেটা বোঝার উপায় ছিল না। এটা আল্লাহর তরফ থেকে রহমত ছাড়া আর কিছু না। এ ধরনের কেসে অনেকেই বেঁচে ফিরতে পারে না। অনেকেই বলে আমি বাবা-মায়ের দোয়াতে বেঁচে ফিরতে পেরেছি।

এ রকম একটা দুর্ঘটনা ঘটার পরে, তা-ও প্রথম কাজেই, আপনার মনে হয়নি যে এই কাজ ছেড়ে দেওয়া উচিত বা অন্য কিছু করবেন?

যখন একটা কাজ করব বলে মনস্থির করি, তখন সেটার পেছনে লেগে থাকি। আমি সেটা করবই। কেউ যদি আমাকে সাহায্য না-ও করে, তা-ও সেটা করব। কেউ আমার সঙ্গে এলে ভালো, না হলে আমি একাই সেই কাজ করব। নিজের ওপর আস্থা রেখে যেকোনো কাজ করলে সফলতা পাওয়া যায়। একটা চায়ের কাপও যদি আনার কনফিডেন্স না থাকে, সেই কাপটাও পরে ভেঙে যাবে। এই ছোট জিনিস থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে। আমার বাবা আইনজীবী। ব্যবসায় পরিবারের কেউ ছিল না। তা-ও আমার আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাস ছিল। একদম শূন্য থেকে শুরু করে আজকের এই জায়গায় আসা।

ব্যতিক্রমী ব্যবসা করার সাহস কোথা থেকে পেলেন?

আমার বাবা বলতেন, ব্যতিক্রমী জিনিস আমাকে বেশি আকর্ষণ করে। ছোটবেলায় ঝড়বৃষ্টির সময় মানুষ ঘরে থাকত, আর আমি থাকতাম বাইরে। ছোট থেকেই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কিছু করা উপভোগ করতাম। হয়তো সেখান থেকেই এই সাহসের সঞ্চয় করে ব্যতিক্রমী ব্যবসায় মন দেওয়া।

আপনার কোম্পানি তো এখন দেশের শীর্ষ পর্যায়ে আছে?

বাংলাদেশের লাইফলাইন হচ্ছে চিটাগং পোর্ট। সেখানে কোনো জরুরি প্রয়োজন হলে আমাকে ডাকা হয়। আমি খুবই গর্বিত যে রাষ্ট্রের কাজে আমাকে ডাকা হয়, রাষ্ট্রের কাজে নিয়োজিত হতে পারছি। বন্দর, নৌবাহিনী—সব জায়গায় আমাকে চেনে, স্বীকৃতিও পেয়েছি।

বর্তমানে শুধু দেশে না, বিদেশেও আমার নাম এবং কোম্পানির নাম মানুষের মুখে মুখে। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করি। অন্যকে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারি, আবার নিজের জ্ঞানও বাড়ে। নতুন নতুন কাজ সম্পর্কে জানার জন্য, নতুন ইকুইপমেন্ট সম্পর্কে জানার জন্য জাপান, সিঙ্গাপুর, হল্যান্ডসহ নানা জায়গার সেমিনারে গিয়েছি। আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের বে অব বেঙ্গল সম্পর্কিত যতগুলো পার্টনারশিপ হয়, সবকটিতেই আমার কোম্পানিকে পার্টনার হিসেবে রাখে।

আপনার স্ত্রী কখনো এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলোতে বাধা দেননি?

না, সে সব সময় আমাকে উৎসাহ দিয়েছে এবং আমার পাশে থাকে। সব বিপদে-আপদে সব সময় আমাকে সাহস দিয়েছে। কখনোই নিরুৎসাহিত করেনি।

সাংগঠনিক সম্পাদক (২০২২–২০২৩), বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ