আজন্ম ধ্বনিত সেই ধ্বনি

কবিতাটি ২০২৪ সালের জুনে প্রকাশিত বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের ‘তারুণ্য’ ম্যাগাজিনের দশম সংখ্যা থেকে নেওয়া।

অলংকরণ: এস এম রাকিবুর রহমান

একটা ধুক্ ধুক্ শব্দ! 

জন্ম থেকে শুনছি 

কাছে কোথাও, অনেক কাছে,

কান পাতলেই শোনা যায়।

একটা ছন্দ আছে 

যে ছন্দে আমার আনন্দ,

আমার উত্থান,

যে ছন্দে বাজে 

আমার জীবন আখ্যান,

সেই শব্দের খোঁজে

যুগ যুগ হেঁটে চলি অন্ধকারে।

কে যেন বলে ওরে অন্ধ ,

কারে খুঁজিস চোখ করে বন্ধ?

আর তখনি দেখলাম 

শব্দটা বন্দী!

লোহা নয়, শিকল নয় 

হাড়ের খাঁচায় বন্দী! 

তবুও নির্ভয়ে এগিয়ে যাচ্ছি;

টের পাচ্ছি আরও ভয়ের শব্দ! 

ধিপ্ -ধিপ্, ধিপ্- ধিপ্, ধিপ্ -ধিপ্

ছোট, বড় অনেক নদী 

বয়ে যাচ্ছে শতধারায়।

ঝর্ণা, গিরিখাদ, উঁচু- নীচু অসমতল 

চূর্ণ হওয়ার শব্দ, 

বাতাসের প্রবাহে ভেসে আসছে।

সামনে একটি সরু, পিচ্ছিল পথ 

উথাল পাতাল ঢেউ।

অনেক শব্দ, ভা‌‌ঙার গড়ার, 

এখানে প্রলয়, এখানে সৃষ্টি;

মহাসমুদ্রে প্রাণের সঞ্চার!

থমকে গেলাম, একটি কারখানা! 

নানারকম কলকব্জা, পাইপ, পিলার।

বর্জ্য নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা। 

গভীর অন্ধকার, এখানেই আলোর সৃষ্টি!

এইতো এখানেই, এখানেই শব্দ।

একি! অন্ধকারে পানিতে তৈরি হচ্ছে জন্ম! 

আর সেই জন্ম‌ই আশ্চর্য ছন্দে বেজে চলেছে...

ধুক্ -ধুক্, ধুক্ -ধুক্, ধুক্ -ধুক্,ধুক্ -ধুক্।