রূপকথার রাজকন্যা

শীতের ভোরে কুয়াশাচ্ছন্ন ডাল লেক
ছবি: লেখকের সৌজন্যে

হ্রদ ঘিরে হাজারো মানুষের জীবিকা। কেউ হাউসবোটের মালিক, কারও শিকারায় পর্যটকেরা ঘুরে বেড়ান। কেউ বিক্রির জন্য বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে শিকারায় ভেসে বেড়ান। এসব পণ্যের মধ্যে যেমন রয়েছে আংটি, চুড়ি, হার, শাল, হাতের তৈরি লেদার-কাপড়ের ব্যাগ, গয়নার বাক্সসহ অনেক উপকরণ, তেমনি খাদ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে আখরোট, বাদাম, ভুট্টা, ফলমূল, মধু বারবিকিউসহ আরও অনেক খাবার।

ঐতিহাসিক এই হ্রদের নাম ডাল হ্রদ। এটা কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের এক বিশাল হ্রদ। কাশ্মীরকে বলা হয় রূপকথার রাজকন্যা। এই হ্রদ হলো রাজকন্যার হৃদয়। হ্রদের দক্ষিণ ও পূর্বে রয়েছে আকাশছোঁয়া পর্বতমালা। সকালের স্নিগ্ধ রোদে চকচক করে বরফে ঢাকা পর্বতের চূড়া। উত্তরে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শালিমার ও নিশাত উদ্যান। পশ্চিমে হজরত বাল মসজিদ।

হাউসবোটে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে লেখক
ছবি: লেখকের সৌজন্যে

শ্রীনগর একসময় মোগলদের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী ছিল। তাঁরা একে ফুলের বাগানসহ নানা উপকরণে সাজিয়েছে। খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় ৩০০ বছর আগে এই নগরের পত্তন হয়েছিল বলে ধারণা। ডাল হ্রদ ছিল এর শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ। এর সঙ্গে বন্ধুত্ব ঝিলম নদীর। দূর থেকে এই নদী ছুটে এসেছে বন্ধুর সঙ্গে মিলনের জন্য।

আরও পড়ুন

কাশ্মীরে ঘুরতে এসে এই হ্রদ দেখতে আসেননি, এমন পর্যটক নেই। এখানে সাধারণত চারটি ঋতু। প্রতি ঋতুতে হ্রদ নতুন রূপে সাজে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার। সাড়ে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত প্রশস্ত ও ২০ ফিট পর্যন্ত গভীরতা। আয়তন প্রায় ২৬ বর্গ কিলোমিটার। ফ্রেমে বাঁধাই করার মতো সৌন্দর্য হ্রদের।

চলবে...