পিছুটান

প্রতীকীফাইল ছবি

নীল সন্ধ্যাগুলোতে ইচ্ছে হয়,
দুমড়েমুচড়ে ভেঙে
হাওয়ায় ভাসিয়ে দিই
সব...সব
জীবনের যত আয়োজন।
কিন্তু পিছুটানের মেঘ তো
পিছু ছাড়ে না।
হাতছানি দেয়,
বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়।
প্রতি বেলার ভালোবাসা, প্রিয় কিছু মুখ
জাপটে ধরে জীবনকে...
এ যেন সুন্দর করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা।
আমাদের সেই একতলা বাড়ি,
সামনে বিশাল উঠোন
গাছের মিছিল,
ভালোবাসার স্লোগান।
অন্ধকার চিলেকোঠা,
পুরোনো আসবাবের ভিড়ে ভীষণ প্রিয় অভিমান জমা।
বাড়ির এক পাশে ছোট্ট জলাধার,
নির্জন দুপুরে তার টলমল জলে নিজের লাজুক মুখের প্রতিচ্ছবি,
বন্ধুদের সাথে আনন্দ, গোপন কথা, হাসাহাসি
হলুদ বিকেলে খেলতে যাওয়া, লাল ফিতার দুই বেণি, এলোমেলো চুলের যুবক
তার বুক খোলা শার্ট,

মনের রুল করা খাতায় পুরোনো খসড়া করা চিঠি,
যা আজও পৌঁছায়নি তার প্রাপকের কাছে,
খোলা পায়ে লাল পিঁপড়াদের কামড়,
জামায় চোরকাঁটা আটকে যাওয়া...অকারণে চোখে পানি।
মায়া।
তারপর কিশোরী কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায়
তুমি-আমি,
অপেক্ষা,
টংদোকানের গরম এক কাপ চা,
বেইলি রোডে রিকশায় ঘোরাঘুরি,
কত প্রিয় কথা,
খুনসুটি অযথা
লাল টিপ, কাজল,
কাচের চুড়ির মাতাল করা শব্দ,
তৃষ্ণার্ত রাতের একটু ছোঁয়া।
লাজুক ভোর।
বৃষ্টির গল্প...শাড়ির ভাঁজে গুছিয়ে রাখা স্মৃতি,
এক জীবনে আর কী চাই!
বেঁচে থাকার উপকরণ
সবই তো দেয় হৃদয়ে টান,
তাই ফিরে আসি
আঁকড়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকি...  
প্রিয় সে একই উঠোন।
ভালো থেকো আমার আকাশ, দূরের তারা,
ছোট গল্প, কবিতা, ভালোবাসা আর অভিমান,
তোমরাই আমার বেঁচে থাকা
আমার পিছুটান।