এক.
চারপাশে এমন অনেকেই আছে, যারা খুব হেসে-খেলে জীবন কাটাচ্ছে। তাদের জীবনে কোনো আক্ষেপ নেই। কে অপমান করল, কে লাঞ্চিত করল— এসব নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। এসব তারা গায়ে মাখে না। খুব সহজেই ভুলে যেতে পারে। তারা জানেই না অপমান শব্দটা কী! খুব খেয়াল করে দেখলাম, জীবনে খারাপ সময় বলতে তাদের কিছুই নেই। দিন যত যাচ্ছে, জীবন তত সুন্দর হচ্ছে।
অপমানিত স্থান আর অপমান করা মানুষ ভুলতে পারি না বলেই, আমার জীবনটা অসুন্দর।
দুই.
যখন নিজের মতো হতে চেয়েছিলাম, তখন আমাকে কেউ কাছে নিত না। কেউ কাছে নেয়নি। আর যখন অন্যের মতো হতে চেয়ে তাকে অনুসরণ করে চলি, তখন কেউ কাছে আসে না।
জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে দেখেছি, পৃথিবীতে কেউ কারও মতো না। কেউ কারও মতো হয় না।
তিন.
শব্দে, কথায়, কবিতায়, অনুভবে কিংবা প্রকাশ্যে যতটা নিজেকে একাকী ভাবি, আসলে আমি ততটা একা নই। নিজেকে খুব একা মনে করে হাঁটতে বের হলে—গন্তব্য আমাকে সঙ্গ দেয়। সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে থেমে গেলে— জল আমাকে সঙ্গ দেয়। জীবনের যাবতীয় দুঃখের দীর্ঘশ্বাস ফেলে যখন আকাশে তাকাই, শূন্যতা আমাকে সঙ্গ দেয়। নামাজে দাঁড়ালে সঙ্গ পেয়েছি স্বয়ং স্রষ্টার। পৃথিবীতে প্রকৃতির কাছ থেকে কোনো না কোনোভাবে প্রতিনিয়ত সঙ্গ পেয়েছি। কেবল মানুষের সঙ্গ ছাড়া।
খোদা! মানুষও তো প্রকৃতির অংশ। তবে আমি মানুষের সঙ্গ পেলাম না কেন?