রিগোবার্ট সং হতে পারেন ক্যামেরুনের অনুপ্রেরণা

ক্যামেরুন ফুটবল দলের কোচ রিগোবার্ট সং
ছবি: রয়টার্স

২০১৬ সালের কথা। নিজের ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছিলেন রিগোবার্ট সং। হঠাৎ শরীরে দুর্বলতা অনুভব করেন। এরপর আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে আবিষ্কার করেন হাসপাতালের বিছানায়। এর মধ্যে কয়েক দিন জীবন থেকে হারিয়ে যায়। কোমায় থাকতে হয়েছে।

সেখান থেকে আবারও ফিরে এসেছেন ফুটবল মাঠে। তবে খেলোয়াড় নয়, কোচ হিসেবে। তাঁর কোচিংয়ে কাতারে বিশ্বকাপ খেলছে ক্যামেরুন। রিগোবার্ট সং নিজেও আফ্রিকার দেশটির হয়ে খেলোয়াড় হিসেবে চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। এটি তাঁর পঞ্চম বিশ্বকাপ। ডাকআউটে থেকে প্রতিপক্ষকে হারানোর রণকৌশল সাজানোর দায়িত্ব এবার তাঁর হাতেই।

আজ গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে ক্যামেরুন। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এরই মধ্যে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেললেও আফ্রিকার প্রতিনিধিদের জন্য এটা বাঁচা-মরার ম্যাচ। জিতলেও কিন্তু থাকবে। তার আগে ফরাসি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন তিনি।

ক্যামেরুনের হয়ে চারটি বিশ্বকাপ খেলেন রিগোবার্ট সং
ছবি: এএফপি

রিগোবার্ট সং বলেন, ‘আমি টেলিভিশন দেখছিলাম, একই সঙ্গে খুবই দুর্বলতা অনুভব করি। পরমুহূর্তেই ঘরের দরজা খুলতে যাই। কারণ, একজন অতিথি আসার কথা। আমার পরিবার তখন প্যারিসে ছিল। যদি আমি দরজাটি বন্ধ রাখতাম, তাহলে আমার গল্প সেখানেই শেষ হয়ে যেত। পোষা কুকুরটি আমার অবস্থা বুঝতে পারে এবং তখনই চিৎকার করা শুরু করে। তারপর অতিথি ঘরে আসে এবং আমাকে ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে।’

কুকুরটির কারণেই সে যাত্রায় বেঁচে যান বলে স্বীকার করেন সাবেক এই ফুটবলার। একই সঙ্গে ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট পল বিয়া ও তাঁর পরিবারের প্রতিও কৃতজ্ঞ তিনি। রিগোবার্ট বলেন, ‘তিনি (পল বিয়া) ও তাঁর স্ত্রী ছাড়া আমি আজ এখানে থাকতে পারতাম না। আমি এর জন্য যথেষ্ট কৃতজ্ঞ। ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট আমার পরিবারকে বলেছেন, তিনি সবকিছুর দেখাশোনা করবেন এবং প্যারিসে নিয়ে যাবেন।’
ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্টের নির্দেশনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রিগোবার্ট সংকে প্যারিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।