বাংলার প্রকৃতিকে তার আপন প্রেমপেয়ালার পবিত্র জলে স্নান করাবে বলে বর্ষা এসেছে। তার সর্বত্র জলের রাজ্যে চোখ জুড়াবে আমার। জানি হবে অনেক দুর্ভোগের কাহিনি, তবু আষাঢ়-শ্রাবণের জলরং রাঙিয়ে দেয় ক্ষুদ্র এ আমায়। বর্ষার শুভেচ্ছা।
বৃষ্টিকে পছন্দ করি ছেলেবেলা থেকেই। দিনে দিনে সে পছন্দ যে ভালোবাসা হয়ে যাবে, তা বুঝিনি কখনো। সেই টানে তাই তো বৃষ্টি দেখলেই ছুটে যাই। পরশে সুখ অনুভব করি। প্রতিটি সত্তায় বৃষ্টির ছোঁয়া আমাকে শিহরিত করে। এক অপার্থিব আলিঙ্গনে বেঁধে রাখি। বৃষ্টির অবিরাম ধ্বনিতে কখনো বিরক্তিসূচক ‘উফ’ শব্দ করিনি। যে যা-ই বলুক, বৃষ্টির সঙ্গ চাই প্রতিদিন। এটা ছাড়া জীবন আমার ওষ্ঠাগত।
আর অপেক্ষা নয়, এই মুহূর্তে চাই বৃষ্টির ভালোবাসায় সিক্ত হতে। কিন্তু সূর্যের সঙ্গে যে পেরে ওঠে না ও, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে পোড়ায় আমাকে। বৃষ্টিরে, কবে ঝরিবে তুমি! আজ দিনভর চুক্তি করেছি মেঘের সঙ্গে
‘বৃষ্টি এলে ভিজব বলে
তাপ জ্বালানো দিনেও কথা রেখেছে মেঘ,
জানি এ সময়ে মেঘ ভাসে আকাশে
কিন্তু সব মেঘে তো আর বৃষ্টি হয় না।
আবার রোদ্দুর ওঠে, পোড়ায় আমাকে একলা পেয়ে।
এই সব প্রহরে,
আপনাদের হৃদয়জুড়ে বৃষ্টি ঝরে,
আমার কেবলই শরীরে।’