বিকেলগুলো এখন আর তেমন শুভ কিংবা সুন্দর হয় না। আকাশের কমলা রং হারিয়ে বিকেল আসে ধূসরতা জড়িয়ে, হলদে সূর্যের গোধূলির প্রস্তুতিতে রাশি রাশি বিষণ্ণতা নিয়ে। অতঃপর সাঁঝের মায়াহীন রবিকর টুপ করেই ডুবে যায়। সন্ধ্যার ঝাপসা আঁধারও তলিয়ে যায় গহিন অন্ধকারাচ্ছন্ন দীর্ঘ রাতের গহ্বরে।
রাতগুলোও আজকাল ভোরের দিকে যেন এগোতে চায় না। ভোরের প্রতীক্ষায় কৃষ্ণপক্ষের চাঁদের দিকে তাকিয়ে থেকে নৈঃশব্দ্যের সঙ্গেই নিঃসঙ্গতার কথা বলি; বলি সবকিছু থেকেও কিচ্ছু না থাকার তিক্ত কষ্টের কাহিনি। খুব করে জানি, অদ্ভুত এই পৃথিবীতে সবাই দুধের মাছি! দুঃখ-কষ্টের কথা কাহিনি শোনার সময় এখন কারোরই নেই। তাই অনুযোগহীন নৈঃশব্দ্যকেই অপূর্ণতার গল্প শোনাই।
এর মধ্যেই আকাশে গোলাপি আভা ছড়িয়ে সূর্য উদয়ে পুবের জানালার শার্শিতে নরম রোদ্দুর ছুঁয়ে আবারও অশুভ একটা সকালের জন্ম হয়। তারপর উদাস দুপুর, বিষণ্ণ বিকেল, সাঁঝনামা আঁধার, আবারও ফিরে আসে দীর্ঘ অমাবস্যার নিকষ কালো রাত।
সেক্টর ১৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা