মন খারাপের দিনে যা করবেন

কিছু বিষয় মেনে চললে আপনার মানসিক অবস্থা দ্রুত ভালো হতে পারে এবং আপনার সময় ভালো কাটতে পারে। ছবিটি প্রতীকী

অবসর সময়ে কিংবা পড়াশোনা ও কর্মব্যস্ততার মধ্যে আমাদের মন খারাপ হয় নানা কারণে। সারা দিন লেগে থাকে অস্থিরতা ও মনোমালিন্য। দৈনন্দিন হাজারো ব্যস্ততার ঝামেলায় কাঠখোট্টা হয়ে পড়ে মন। এর প্রভাব পড়ে নিত্যজীবনে। তিক্ত হয়ে ওঠে পড়াশোনা, কর্ম ও পারিবারিক জীবন। এই মন খারাপের দিনগুলোকে খুশিতে প্রফুল্ল রাখতে চলুন কিছু অভ্যাস গড়ে তুলি।

ইন্টারনেট–আসক্তি কমানো
বর্তমান সময়ে তরুণ-তরণীদের সবচেয়ে বেশি মন খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেটের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি। এর প্রভাবে নিত্যজীবনে চাপ পড়ে কাজের ওপর। ইন্টারনেটের অপব্যবহারে অপচয় হচ্ছে সময়। ফেসবুকের লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের প্রলোভনে বেড়ে যাচ্ছে মন খারাপের গতি। মন ভালো রাখতে বেরিয়ে আসতে হবে ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে।

বন্ধুদের সময় দেওয়া
সব ব্যস্ততা শেষে মাঝেমধ্যে অবসর সময়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া যেতে পারে। সুখ-দুঃখের আলাপ-আলোচনা করা যেতে পারে। গভীর সখ্য নিয়ে তাঁদের কথা শোনা এবং জীবনের নানা কল্পনা-পরিকল্পনার বিষয়ে বন্ধুদের পরামর্শ নেওয়া ভালো। এতে মন খারাপের ভার কমে যাবে।

ভ্রমণে যাওয়া
ইটপাথরের নগরের ব্যস্ততার ফাঁকে দীর্ঘ মন খারাপের সময় কাটিয়ে তুলতে ঘুরে আসতে পারেন বন্ধুদের নিয়ে দূরে কোথাও। মন শীতল করতে পারেন সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় উঠে স্রষ্টার সাজানো অপার প্রকৃতি দেখে। যেতে পারেন বান্দরবানের নীলগিরি, সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়, বাংলাদেশের ‘দার্জিলিং’খ্যাত খাগড়াছড়ির সাজেক ভ্যালিতে। ঘুরে আসতে পারেন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত এবং দেশ ও বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে।

বই পড়া
অবসর সময়ে আমাদের মন খারাপে জড়ো হয় হৃদয়ে বিধুরতা। অস্থির অস্থির লাগে! এই অস্থিরতার প্রভাব আমাদের মানসিকভাবে ভেঙে ফেলে। তাই অবসর সময়ে হৃদয়ের বিধুরতা কাটিয়ে তুলতে বই হতে পারে আপনার অন্যতম সঙ্গী। পড়তে পারেন প্রিয় লেখকের উপন্যাস, কবিতা, গল্পসহ নানা ধরনের বই।

কেনাকাটা করা
মন খারাপের সময় ঘুরে আসতে পারেন কোনো শপিং মলে গিয়ে। ভালো ও নিজের পছন্দ অনুযায়ী ফুল, জুতা, পায়জামা-পাঞ্জাবিসহ লাইফস্টাইলবিষয়ক নানা ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকেটা করতে পারেন। এ ছাড়া রাস্তার ও ফুটপাতের গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিতে পারেন পোশাক-পরিচ্ছদ, খাবারদাবার। দেখবেন মন ভালো হয়ে যাবে।

কুতুবদিয়া, কক্সবাজার