জীবনের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে আগে থেকেই তৈরি থাকি! কিন্তু আপনি অন্য কারও হয়ে যাবেন, এটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। অবশ্য যতই প্রস্তুতি নেওয়া হোক না কেন, কিছু ব্যাপার আমাদের দুঃখ দেবেই।
আপনাকে হারানোর ঝড়টা যেন হঠাৎই এল জীবনে। ওহ, ভুল বললাম! আপনাকে তো আমি পাইনি কোনো দিন; হারাবার প্রশ্ন ওঠেই না। আপনার ওই নিষ্পলক চোখের চাহনি, সুশ্রী মুখখানা বারবার চোখে ভেসে ওঠে। আপনাকে যে পাবে সে হবে পৃথিবীর প্রথম সারির সৌভাগ্যবান!
মানুষের ভাগ্যে যতটুকু লেখা থাকে, কেউ তার বাইরে এক চুলও পায় না। আসলে আপনি আমার ভাগ্যেই লেখা ছিলেন না। কী হবে এত দুঃখ করে! সবটাই তো নিয়তি।
মা বলতেন, আপনার সঙ্গে আমার চেহারার মিল ছিল বেশ। আপনি হাসতেনও ঠিক আমার মতো করে। তাই দেখে মনে হতো─ প্রকৃতি হয়তো আপনাকে আমার জন্যই সৃষ্টি করেছে! এই মনে হওয়াটা মনের ভেতর এত দৃঢ়ভাবে গেঁথে গিয়েছিল যে একটা তুমুল বিশ্বাস তৈরি হয় আপনি শেষ পর্যন্ত আমারই হবেন; কিন্তু তা হলো না। ভীষণভাবে হেরে গেলাম বিশ্বাসের কাছে।
জীবনে বিশ্বাস ভাঙার কষ্ট কিংবা অভিজ্ঞতা খুব কম হয়েছে আমার। জীবনকে সহজ স্বাভাবিকভাবে দেখি। তাই বিশ্বাস ভাঙার যন্ত্রণা আমাকে তেমন ছুঁতে পারেনি। আজ আপনাকে হারিয়ে বহুদিন পর বিশ্বাস ভাঙার যন্ত্রণা পেলাম।
মন ভালো নেই। তবু রোজকার ব্যস্ততায় আঁচ লাগতে দিইনি। মা অসুস্থ। এদিকে এখনই আপনার চলে যাওয়া। প্রকৃতিও বিষন্ন খুব। কাউকে জড়িয়ে ধরে যে কাঁদব, সেই উপায়ও নেই। দুঃখগুলো দল বেঁধে আসে সব সময় আমার জীবনে। এমন কেন হয় বলতে পারেন?
নিজের সব দুঃখ-কষ্ট একাই সামলাতে পারি। এই যন্ত্রণাও ঠিক কাটিয়ে উঠব। কোনো দিন আমাদের কথা হয়নি। যদি কোনো দিন কথা হয়, তখন আবার নতুন করে মনে হবে যেটুকু পেয়েছি, সেটুকু হোক সঞ্চয়; যা পাওয়া হয়নি, তা হয়তো আমার নয়।
ভালো থাকবেন প্রিয়। আমাদের যেসব ভালো হওয়ার কথা ছিল, সেসব ভালো আপনার হোক।