নবান্নের আহ্বান

শীতের সকালে নরম আলোয় শুরু হোক পিঠা উৎসবছবি: কবির হোসেন

আজি অঘ্রানের রাতে হেমন্ত আসে
কুয়াশার ধোঁয়া নিয়ে নক্ষত্র হাসে।
রাতের ঝিঁঝিরা সবে দল বেঁধে বসে,
নিটোল চন্দ্রকিরণী জোছনা বিলায় পাশে।

ভোরের শিশির স্নানে ঘাসফড়িংয়ের ঠোঁটে
ধোঁয়াশার প্রেম মাখে সোনা ঝরা মাঠে।
হলদে শর্ষেখেতে সুবাসিত ঘ্রাণ,
রাখালের বাঁশি শুনে কৃষক জুড়ায় প্রাণ।

ফসল কাটার এক মহা ধুমধাম,
কৃষকের মুখে হাসি নবান্নের আহ্বান।
মুহুর্মুহু বাতায়নে নতুন ধানের সুবাস
পিঠাপুলির আমেজে লেগেছে মিষ্টি আভাস।

পল্লিগাঁয়ের পথে-ঘাটে বসেছে শীতের বুড়ি
জড়সড় কাঁপুনিতে এল বছর ঘুরি।
ঝরা পাতার খামের ভেতর লিখে সবুজ চিঠি
প্রজাপতি উড়ল বনে খেয়ে লুটোপুটি।

পাখির ঠোঁটে গানের বীণা বাজছে মধুর ধ্বনি
ধানশালিকের রূপের ঝিলিক প্রকৃতির এক ছবি।
খেঁজুররসে ভরে গেছে গাছিদের হাঁড়ি
জমে ওঠে পাড়াগাঁয়ের আজ প্রতিটি বাড়ি।

উনুনের পাশে বসে খাব মায়ের হাতের পিঠা
মজা করে উঠানের পাশে রোদ পোহাব মিঠা।
সোনার রবি মুখ লুকাবে কুয়াশা ঘন মেঘে
দূরে বসে মিষ্টি হাসবে পাকপাখালির বেশে।

শিশিরবিন্দু পড়বে ঝরে ঘাস-লতাটায় যখন
স্নিগ্ধ হাওয়ার সজিবতায় দূর্বা হাসবে তখন।
বাংলা মায়ের বুকে এল অপূর্ব এক ঋতু
প্রকৃতির রূপের বাহার দেখে মন হয়েছে প্রীত।