বন্ধন ও দায়িত্ব
মানুষের জীবনে সম্পর্কের বন্ধন গুরুত্বপূর্ণ। দায়িত্ববোধ না থাকলে কোনো সম্পর্কের আগে ‘সু’ যুক্ত করা যায় না। এ ‘সু’ অর্জন করতে অনেক ত্যাগ, সমঝোতা করতে হয়।
জন্মের শুরু থেকেই আমরা নানাবিধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। ধীরে ধীরে পরিধি বাড়তে থাকে। ঠিক যেমন করে প্রথম শিখতে শুরু করি ১+১= ২, বা ৪-২= ২, পরের ধাপে ছোট সংখ্যা থেকে বড় সংখ্যা, গুণ, ভাগ আবার সরল অঙ্ক।
জীবনটা সরল অঙ্কের মতো। কখনো সুন্দরভাবে এর সমাধান হয়ে যায়, আবার কখনো ভগ্নাংশ রয়ে যায়। সমাধান না হয়ে যে ভগ্নাংশ রয়ে গেল, তাতে কিন্তু জিরো দেবেন শিক্ষক, তেমন নয়। সেই ভগ্নাংশ সঠিকভাবে মিলে গেলে নম্বর পাওয়া যায়। প্রথম দিকে শিখতে গেলে সরল অঙ্ক খুব জটিল মনে হয়। যখন নিজের আয়ত্তে চলে আসে, তখন বেশ ভালো লাগে সরল অঙ্ক করতে। ভুল যেন না হয়, এ জন্য বারবার চর্চা করতে হয়। ভুল হলে আবার চেষ্টা। সেই চেষ্টায় বিরক্তি থাকলে সমাধান কখনো হবে না। অঙ্ক করতে হয় ঠান্ডা মাথায় ভেবেচিন্তে, সূত্র মেনে।
জীবনটাও এমন, সম্পর্কগুলোও তেমন। অনেক বুঝেশুনে সূত্র মেনেই চলতে হয় ঠান্ডা মাথায়। ছোট ছোট সম্পর্কের গণ্ডি থেকে বাড়তে থাকে যে সম্পর্ক, সেগুলোর প্রতি বেশি সাবধান হতে হয়। সব সম্পর্কের প্রতি দায়িত্বের পাশাপাশি যত্নশীল হতে হয়।
আমরা সব সম্পর্ক থেকে অনেক কিছু বা অনেক বেশি প্রত্যাশা করি। এই বেশি শব্দটি যখন যুক্ত হয়, তখনই সমস্যা। জীবন, সম্পর্ক, বন্ধন—এগুলো জড়াজড়ি করে আছে একে অপরের সঙ্গে। এই তিনটির ওপরই আমাদের দায়িত্বশীল ও যত্নশীল হওয়া উচিত। বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের পাশাপাশি এগুলো খুব প্রয়োজন।