ঈশ্বর সব জানেন
যে মেয়েটি লাল জামায়
দাঁড়িয়ে বাবার অন্তিম শয্যায়
সে মেয়েটি ধর্ষণের কী এমন মানে জানে?
তার কাছে ধর্ষণ রক্তেরই বর্ষণ
চোখ বুক ভিজে গেল বাবার বিয়োগে!
হায়েনারা ঠিকই আজও, শ্বাস নেয় কথা কয়,
ভেবে আছে ছাড় পাবে
ভাবেনি তো একবারও
ঈশ্বর সব জানে।
আছিয়ার কাঁপুনিতে
কত শোক কত আঁধার,
চিৎকার আহাজারি।
আছিয়াও এক কালে
নদী, জল, হাঁস হতো
প্রিয় ফুল, গাছ হতো
সে গাছে কুড়াল পড়ে
মূল কেন ছিঁড়ে গেল?
কেন সে রাতে কেঁদেছিল
মৃত বক, তাজা মেঘ?
কাঁদেনি কচি মাংসখেকো
তিন পিশাচের বুক!
তাতে কি...ঈশ্বর সব জানে।
ঢাকার বস্তি, সিরাজগঞ্জের পাঙ্গাসী,
লালমনিরহাট, মেহেরপুর বাদ নেই কোথাও
এত ফুল, এত পাখি, এত এত কচি ধান যাবে কই?
ভয় নেই, ভয় নেই, জেগে ওঠো!
ছিঁড়ে ফেলো গিলে ফেলো
মলিনতা—
তুমি মেঘ, তুমি ফুল, তুমি ঘাস, তুমি কূল
তুমি নদী, তুমি আলো
যত পারো ততো বলো
পুঁতে দাও যত পাপ
পাথরের কশাঘাত
কাবা তো এখানেই
শয়তানও এখানেই
ঢিল ছোড়ো, আরও ছোড়ো।
আছিয়ারা বেঁচে যাক
জেগে থাক সবখানে
জেগে ওঠো জেগে থাকো
ভয় নেই ভয় নেই
ঈশ্বর সব জানে।