আজও ভালোবাসি
বছর তিরিশ!
মনে হয় দিন কয়েক, ঋতুবদল হয় হয় ভাব,
শীতার্ত মানুষের মতোই জবুথবু অবস্থা-
প্রথম প্রসবকাল!
কেরোসিনের বাতিটা নিবু নিবু করছে,
দূরের পাড়া থেকে দাত্রীর আগমন,
অসহায়!
ক্ষণিক পরপর অসহ্য চিৎকার-
নামাজের ঘরে মায়ের অসহায় আরজি,
নাতি, বউ যেন বেঁচে ফিরে-খোদা দয়াময়।
ঘণ্টা দুই যন্ত্রণাক্লিষ্টে জর্জরিত হয়ে-
নতুন প্রাণে জননীর প্রথম বলিদান।
অভাবের সংসার,
কত কিছুই কেনা হয়নি, দুই বেলার ভাত জোটে না মাঝেমধ্যে!!
বেড়ার ঘরেতে আমার সুখের বসবাস-
ভালোবাসায় আবেশিত প্রতিক্ষণ।
আজও মনে পড়ে,
কত বোকা বোকা আবদার, হাত শক্ত করে ধরে রাখা,
ওগো,
মরণের পরে তুমি ভুলিও না আমায়-
কেয়ামত দিবসে খুঁজে নিও,
আজ তিরিশ বছর পরে,
ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধার পাশে তুমি-
ষোড়শী বালিকার ন্যায়-চঞ্চল, মনোহরা।
যদি....
আরও শতেক বসন্ত বেঁচে থাকার অনুমতি পেতাম-
নতুন স্বপ্ন সাজাতাম মহাত্মা সৃজনে।
আজও ভালোবাসি!
তোমার জন্য চর্চিত কয়েক লাইন...
চলে যাওয়ার নিমন্ত্রণে,
মরণ দূতের সাড়ায় বাক্হীন পরে রবো,
তোমার পানে তাকিয়ে-
অসহায় চোখের ভাষায়,
বলব, খুব ভালোবাসি আজও!
খুব ভালোবাসি!!