শুনো গো দখিনা হাওয়া

বুড়িগঙ্গা নদীছবি: লেখক

জীবনের নতুন উচ্ছ্বাস নিয়ে আসা বসন্তে দাঁড়িয়ে দেদারসে গ্রহণ করছি মৃত্যুকে। প্রতিটি নিশ্বাসে আমাকে আমন্ত্রণ জানাতে হচ্ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, হৃদ্‌রোগসহ নানা মৃত্যুমুখী রোগকে।

নাগরিক ঢাকায় ছুটে চলা দুরন্ত যত মানহীন গাড়ি, কংক্রিটের ভিড়কে আরও বাড়িয়ে দিতে; গজিয়ে ওঠা ইটের ভাটা আর উন্নয়নের অপরিকল্পিত তীব্র ঝংকারে রোজ হচ্ছি লাশ।

বিশ্বমঞ্চে ঢাকা এখন বায়ুদূষণের নির্লজ্জ মুকুট। আর আমরা সেই মুকুটের ঝলকানিতে ঝলসে যাওয়া বাধ্য নাগরিক। যেই নদীকে কেন্দ্র করে ঢাকা হয়েছিল; জৌলুসময় সেই বুড়িগঙ্গা এখন অভিশপ্ত স্রোতস্বিনী। নগরের এই স্পন্দন এখন জীবের জন্য জীবন্ত জাহান্নাম।

বিশ্বমঞ্চে ঢাকা এখন বায়ুদূষণের নির্লজ্জ মুকুট
ছবি: লেখক

নাগরিক দূষণে আমরা রোজ হচ্ছি লাশ। ঢাকা পরিণত হচ্ছে জীবিতদের গোরস্থানে। নীতিনির্ধারকদের মানসিকতার পরিবর্তন, সঠিক পরিকল্পনা ও উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা পেতে পারি একটি সুন্দর ঢাকা। যেখানে বুড়িগঙ্গার জলে থাকবে জীবনের কোলাহল, বাতাস হবে দূষণমুক্ত, প্রাণভরে নেওয়া যাবে শ্বাস। যেখানে প্রেমিক তার শ্বাশ্বত ভালোবাসা নিবেদনে নিঃসংকোচে বলতে পারে… এসো আমার শহরে না বলা গল্পের অহেতুক ভিড়ে।

দখিনের নির্মল হাওয়ায় একটি কোকিল যেদিন নিশ্চিন্তে ডাকতে পারবে তার সাথীকে, পান করতে পারবে বুড়িগঙ্গার নিরাপদ জল; সেদিন ঢাকা হবে সুন্দর নগরী। যার প্রতিটি প্রান্তে থাকবে জীবনের উচ্ছ্বাস। আশা করি এই দিন শিগগিরই আসবে।

শুনো গো দখিনা হাওয়া, আমিও বাঁচতে চাই। বসন্তের জীবনের উচ্ছ্বাসে ভাসতে চাই! বাঁচতে চাই!

শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা