শ্বেতশুভ্রতায় সোনা-ধোয়া রঙের পরশে শজনে ফুল দোল খায় ফাগুনের মাতাল হাওয়ায়। সেই দোলা ছুঁয়ে যায় পথচারীর হৃদয়েও।
শ্বেতশুভ্র পাপড়ির মধ্যে গ্রামীণ নববধূর মূল্যবান অলংকার নাকফুলের মতোই স্বর্ণালি মহামূল্যবান শোভা। শুভ্র পরাগদণ্ডের শেষ প্রান্তে স্বর্ণালি সৌন্দর্যের আবরণে পরাগধানী। যেটিকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হয় পুংকেশর। গর্ভকেশর, বৃতি, পুষ্পাক্ষ একটি আদর্শ ফুলের সব গুণের সঙ্গে মনোমুগ্ধকর সৌরভও রয়েছে এ ফুলের। যে সৌরভ সন্ধ্যার পর গাছের নিচে দাঁড়িয়ে সৌন্দর্য উপভোগের মনোবৃত্তি না থাকলে সচরাচর ধরা দেয় না।
এ কারণেই হয়তো দেশের কৃষিতে অপ্রচলিত সবজির তালিকায় নাম ওঠা ‘শজনে’ ফুলের সৌরভ কবি-সাহিত্যিকদের মনেও খুব একটা জাগরণ তৈরি করতে পারেনি। তবে বর্তমান নগরীর শজনে ফুলের সৌন্দর্য দেখলে হয়তো প্রকৃতির কবি হিসেবে খ্যাত জীবনানন্দ দাশ বসন্তে কবিতার মালা গাঁথতেন শজনে ফুলের মুগ্ধতা ছড়ানো সৌরভ দিয়েই!
রাজশাহীর গাছে গাছে শোভা পাওয়া নান্দনিক সাদা শজনে ফুলের শোভায় মগ্ন ভ্রমর গুঞ্জনে। ফুলগুলো নিজেকে ডাঁটায় পরিপূর্ণ করার প্রতিযোগিতায় যেন ব্যস্ত সময় পার করছে। চলতি মৌসুমে প্রতিটি শজনে গাছের শাখা-প্রশাখা নুয়ে পড়ছে ফুলের ভারে। মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছির গুঞ্জন, বসন্ত বাতাসে ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ আকৃষ্ট করছে পথিককেও।
বন্ধু, রাজশাহী বন্ধুসভা