শহরটা বিষণ্নতার
শহুরে বিষণ্নতা বড্ড বাজে ব্যাপার! দিন কাটে চারদেয়ালে বদ্ধ হয়ে নীরবতায়। জানালা দিয়ে হাতছানিতে ডেকে যায় রোজ অসময়ে। মন মানে না ওসব অক্ষরে অক্ষরে, চায় তো বটেই। মন চায় খোলা আকাশের ঘুড়ি হতে, মেঘের ডানায় ভর করে বর্ষার নগরীতে ঢুঁ মারতে। এসব যান্ত্রিক জীবনযাপন আর ভাল্লাগে না। ইচ্ছা হয় সবকিছু ছেড়েছুড়ে ফেলে হারিয়ে যেতে। যেথায় হারিয়ে যেতে কোনো কাঁটাতার-সীমানাপ্রাচীর-বাঁধ নেই, নেই কোনো প্রতিবন্ধকতা।
রোজনামচায় ক্লান্ত হওয়া ঘুণপোকা আমায় থামতে বলে। তবে কবিতারা দ্রোহ করতে বলে ঘুণের বিরুদ্ধে। অতঃপর জন্ম নিয়ে অস্তিত্ব জানান দিতে উন্মুখ আরও শব্দেরা-বাক্যেরা বাষ্পিত হয়ে যায় আমার দীর্ঘনিঃশ্বাসবায়ুতে। হারিয়ে যাই সময়ের আপেক্ষিকতার ঘনঘটায়। একতরঙ্গ সমুদ্দুরের ঢেউ স্মৃতির পাতায় আসে–যায় রোজকারের মতন। মনে পড়ে, ইনানির স্বচ্ছ পানি কেমন ধুলাকণাকেও পবিত্র করে শত-সহস্র অপবিত্রতার ভিড়ে।
তবে কিসের এতো বিষণ্নতা? এ বিষণ্নতাকে আর পরোয়া করি না। সমুদ্দুরে দুঃখমালাদের বিসর্জন দিয়েছি সেই কবেই। বলেছি, মনের অসুখের কথা, মন খারাপের কথা। সে–ও নিজের করে নিয়েছে আমাকে। বলেছে, তোমার যত ঠুনকো অনুভূতি, এসব আমায় জানাবে। আমি উজাড় করে দেব সব কটাকে।
বিষণ্নতা বিষণ্নতার মতন আসবে-যাবে। আমিও তাকে বরণ করে নেব, বিদায় জানাব আবারও হাসিমুখে। তবেই তো বিষণ্নতা আসবে নতুন রূপে, নতুন আঙ্গিকে। তার নাম হয়তো বিষণ্নতা থাকবে না। নতুন করে নামকরণ করব। নতুন কিছুর মধ্যে আলাদা একটা অনুভূতি থাকে। আমি নাহয় তাকে পরিবর্তন করে নেব। সে ফিরে পাবে নতুনত্ব, অধুনা! বড্ড বাজে রকম সুন্দর হবে, তাই না?
বন্ধু, জামালপুর বন্ধুসভা