প্যাঁচা ওড়ার সময় শব্দ না হওয়ার রহস্য কী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কালো প্যাঁচাফাইল ছবি

প্যাঁচা একটি নিশাচর পাখি। এ কারণে পাখিটিকে খুব রহস্যময় লাগে। প্যাঁচা দেখতেও কিছুটা রহস্যময়। প্যাঁচার শান্ত চোখের তীক্ষ্ণ চাহনি মানুষের মনে কিঞ্চিৎ ভয় সৃষ্টি করে। রহস্যময় চেহারার কারণে অনেকে পাখিটিকে অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন ভাবেন।

কিছু বৈশিষ্ট্য প্যাঁচাকে অন্য সব পাখির থেকে আলাদা করেছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো, প্যাঁচা প্রায় নিঃশব্দে উড়তে পারে। বিবিসির একটি গবেষণায় দেখা যায়, কবুতর ও বাজপাখির ওড়ার যে শব্দ হয়, তার তুলনায় প্যাঁচা প্রায় নিঃশব্দে উড়তে পারে। এত চুপি চুপি উড়তে পারার রহস্য কী?

বাতাসের প্রবাহ থেকে শব্দের সৃষ্টি হয়। বাতাসের প্রবাহ যত বেশি, শব্দ তত বেশি। কবুতরের ক্ষেত্রে এর শরীরের তুলনায় ডানা ছোট, তাই কবুতরকে ভেসে থাকতে ডানাগুলো দ্রুত ঝাপটাতে হয়। যা বাতাসে অনেক বেশি প্রবাহ তৈরি করে ও শব্দ হয়। বাজপাখির ডানা শরীর থেকে বড় হওয়ায় বাজপাখি খুব দ্রুত উড়তে পারে। বাজপাখির এই গতির কারণে বাতাসের প্রবাহ বেশি ও শব্দ সৃষ্টি হয়, যা খুব সহজেই আমাদের কানে আসে।

কিন্তু প্যাঁচার ডানাগুলো বেশ লম্বা ও প্রশস্ত, আর শরীরও খুব হালকা ও ছোট হয়। তাই শুধু আলতোভাবে ডানা ঝাপটানোর মাধ্যমে প্যাঁচা অনায়াসে নিঃশব্দে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে।

শিক্ষার্থী, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ