চিঠি
ভালোবাসি আব্বু-আম্মু
১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা আয়োজন করে ‘চিঠির খামে না–বলা ভালোবাসা’ শিরোনামে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে বাছাই করা চিঠি বন্ধুসভার পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো।
প্রিয় আব্বু-আম্মু
কখনো ভাবিনি, এমন চিঠি লিখব। আজ সুযোগ পেলাম, তাই লিখতে বসলাম। চিঠি লেখার আগে মনে হয়, কত কী লিখব! কিন্তু মনের কথাকে ভাষায় প্রকাশ করা যে বড্ড কঠিন। জানি, আমার জীবনে তেমন তথাকথিত ভালোবাসার মানুষ নেই। তবে তোমরা আছ।
কত ভালোবাসা দিলে যে তোমাদের ঋণ পূরণ হবে, আমি জানি না। শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত নিজেকে উজাড় করে তোমাদের ভালোবাসতে চাই। আজীবন তোমরা যে অমূল্য ভালোবাসা দিলে আমাকে, জানি না আমি তার যোগ্য ছিলাম কি না! কোনো চাওয়া–পাওয়া ছাড়াই যে ভালোবাসা পেয়েছি তোমাদের কাছে, তা কোনো প্রেমিক দিতে পারবে না।
এখন মানুষের ভালোবাসা ঠিক যেন বিনিময় প্রথার মতো। ভালোবাসা দিলে ভালোবাসা পাব, না দিলে পাব না। কিন্তু বাবা-মায়ের ভালোবাসা যে কোনো প্রথা মানে না, মানে না কোনো নিয়ম-নীতি।
সাজিয়ে–গুছিয়ে অনুভূতি লিখতে পারি না বাপু। তাই বারবার এক কথাই বলছি, ভালোবাসি আব্বু-আম্মু। তোমাদের বড্ড বেশি ভালোবাসি। তোমরা না থাকলে বুঝতাম না যে ভালোবাসা, দয়া, মায়া, মমতা কাকে বলে। মরণের আগ পর্যন্ত আমি ঋণী। বুকভরা ভালোবাসা ছাড়া যে আমার আর কিছুই দেওয়ার নেই। ভালোবাসা নিয়ো, ভালো থেকো তোমরা।
ইতি
তোমাদের ছোট মেয়ে অর্না।
বন্ধু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা