আমার কোনো বন্ধু নেই।
বকুল ফুলের মালা গেঁথে শুষ্ক গালে চেপে ধরব দুজনা...
এখানে কোনো দুজন নেই।
হাত ধরে কোনো নীল সন্ধ্যায় বুকের মাঝে দুজন মিলে গল্প লিখব।
বুকে লেখার মতো কোনো গল্প জমা নেই।
প্রতিটি বিকেলে বুকের মাঝে চেপে রাখা বইটার চেনা ঘ্রাণে
অন্যমনস্ক আমার পৃথিবীটায়
ভাবি...অনায়াসেই তো বইয়ের বদলে থাকতে পারত
গোটা হাতের অক্ষরে লেখা কয়েক লাইনের অগোছালো চিঠি।
যেখানে লেখা থাকবে...বন্ধু হবি?
না বন্ধু, না...আমার অনেক কাছের মানুষ হবি?
দুঃখ পেলে আমায় জাপটে ধরে অশ্রু ফেলবি?
যখন মনে হবে পুরো পৃথিবীটা আমার।
একভাগ তোকে দেব। আর বাকিটা থাকুক আমাদের দুজনার।
আমার ওপর রাগ করে অন্য কারোর হাত ধরে আমায় একটু জ্বালাবি?
আমার বইয়ের ওপর যত্ত আজব নামগুলো আবার লিখে রাখবি?
ঝগড়া করে আবার কয়েকটা সেকেন্ড পর ফিরে এসে
একটু হেসে, আবার ভাব করে নিবি?
নাকি মুখ ফুলিয়ে ওই আমতলার নিভৃতে আমার এসে রাগ ভাঙানোর
অপেক্ষা করবি?
আর...
যখন সমগ্র পৃথিবী আবার আমাদের ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে যাবে
আমায়...আবার ফেলে দিয়ে যাবি না তো?
না। আমি চিঠি লিখতে পারিনি।
তার বদলে...এই বইয়ের পুরোনো পাতার ভাঁজে
স্পর্শ খুঁজে চলেছি কোনো এক আশ্চর্য লেখার ক্ষমতার
একটা চিঠি লিখতে পারব না? মাত্র এক লাইনের?
আবার, আমার বন্ধু হবি?
চিঠিটা টেবিলের এক কোণে পড়ে আছে
কিছু কাটাকুটি আর গোটা অক্ষরে লিখে রাখা একটা লাইন।
আমার কোনো বন্ধু নেই।