ধূসর গোধূলি
অতঃপর আমি,
আর আমার নিরবচ্ছিন্ন এলোমেলো কিছু দুঃস্বপ্ন!
ভাঙা বোতলের চূর্ণ–বিচ্ছিন্ন কিছু টুকরা কাচের আলপনায়;
গড়াগড়ি খেলে শিশিরের জল মেখে বিন্দু বিন্দু রক্ত রাগে গরগর করে।
বিষণ্ন ধরিত্রী, আরও নিস্তব্ধ ওই কোমল ঘাসের বুক!
লুটোপুটি খায় হলদে পাখির ডানা কাটা রোজ ইচ্ছেগুলো!
যত্নে রাখা একটা হলুদ রঙের খামে মেঘের আঁকিবুঁকি,
বুকফাটা চিৎকারে পৃথিবীতে নেমে আসে ধূসর গোধূলি!
জীবনের এ প্রান্তে লুকোচুরি খেলে ইচ্ছেদের মৃত আত্মা।
ওই প্রান্তে অক্ষত থাকে অভিমানী বুকের ফাটল।
সমাধিত হয় আপন হিয়া অরণ্যের গভীরে লুকিয়ে।
ব্যথাতুর কম্পনে বুক ছিঁড়ে রক্ত ঝরে অবলীলায়,
স্তব্ধ অনুভবে শিহরিত হয় একেকটা ভাঙা পাঁজর!
মিথ্যে মায়ার বাঁধন খুলে চলে গেছে কত রাতজাগা পাখি;
সে কথা ভুলতে গেলে বিষাদে ছেয়ে আসে দুটো আঁখি।
মায়াহীন পৃথিবী কেবল স্বপ্ন দেখে রঙিন ঘুড়ির মায়ায়
স্বপ্নগুলো মিশে যায় রৌদ্রস্নাত ওই সবুজ ঘাসের ডগায়।
সব মেঘে বৃষ্টি হয়, সে তো আকাশেরও রয়েছে অজানা
তবু নিত্য চলে তার বুকে বিস্তৃত সব দুঃখ যাতনা।