অন্ধকারের কাফেলা
সৃষ্টির চিরায়ত নিয়মে আঁধারের শরীরে হেঁটে
রাতের শেষে দিন আসেই...
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই আলোর বিকিরণে
উজ্জ্বল হয়ে ওঠে বৈচিত্র্যময় অদিতি।
অথচ, কোথাও কোনো আলো দেখি না
দেখি না উজ্জ্বলতার এতটুকু রশ্মি।
শহর কেবলই গাঢ় নিকষে তলিয়ে যায়
সেই আঁধারে বিদগ্ধ বিবেকও নিশ্চিন্তে বেঘোরে ঘুমায়।
নিগূঢ় তিমিরে নিত্যই নৈতিকতার মৃত্যুর উল্লাসে
এ শহরে যমদূতের কী ভয়ানক নৃত্যের দাপাদাপি!
পাণ্ডিত্যের অহমে কিছু মানুষ আলোর পথেও
অমাবস্যার রঙেই উপাসনালয় সাজায়।
মূঢ়রাও পণ্ডিতের লেবাস ধরে বল্গা হরিণের মতো
লাফিয়ে লাফিয়ে তাদেরই অনুসারী হয়ে
একই পথে হেঁটে চলে উৎসবের আমেজ ও আনন্দে।
ওরা মানবতার বলি দিয়ে যায় ভয়ংকর উলুধ্বনিতে!
তমসার ধোঁয়াশায় কোলাহল নগরের মানুষেরাও
ভয়ানক কিছুর আশঙ্কায় শঙ্কিত মনটাকে সঙ্গে নিয়ে
নিভৃতেই ঘরের কোণে কুঁকড়ে বসে থাকে।
অতঃপর আমি কেবল আঁধারই দেখি...
আলোর ছিটেফোঁটাও গোচরীভূত হয় না দুচোখে।