বিবর্তনের লীলাখেলা
বৈশাখে বাংলা বর্ষের শুভ সূত্রপাত ঘটে,
তাপদাহের রুক্ষতা জরাজীর্ণ স্তূপ হটে।
স্বস্তির নিশ্বাস নিতে মৃদু সমীরণ বহে
প্রকৃতির সঙ্গে প্রাণী বিক্ষিপ্ত প্রভাব সহে।
যে স্বপ্নে বিভোর ছিল ঋতু রাজ্যের কাননে
দমকা বায়ু চূর্ণ করে বৈশাখীর আগমনে।
বিদ্যুৎ রশ্মির মূর্ত প্রহৃত অন্তঃকরণে
সতর্ক সংকেত দেয় প্রতিকূলে ক্ষণে ক্ষণে।
জ্যৈষ্ঠে মধু রসনায় হাসিখুশি থাকে ভরে,
আষাঢ়ে শ্রাবণধারা সন্তাপ তাড়ায় ঝড়ে।
আবর্জনা ধূলিকণা জলে নিষ্কাশন করে,
পুনঃ স্বচ্ছ জলস্রোতে পূর্ণ করে হৃদ ঘরে।
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ব্যক্তি বদলায়
বসন্ত এলে কোকিল সুরে গান গেয়ে যায়।
রূপান্তরিত হয় যে চৈত্রের তীব্র খরায়,
বৈচিত্র্যময় জীবন ভবে হাসায় কাঁদায়।
সবুজে ঢাকা পল্লব শীতে হলদেটে হয়,
তারুণ্য রূপ পেরিয়ে বার্ধক্য শেষে যে ক্ষয়।
নৈসর্গিক বিশেষত্ব যেন জীব বিবর্তন,
কালেভদ্রে আশা গড়ে কখনো ঝরে রোদন।
দিন যায়, দিন আসে, চলে দৈব লীলাখেলা,
অস্তমিত দীপ্তি জাগে নিদ্রাভঙ্গে ভোর বেলা।
স্বপ্নগুলো ঝরে পড়ে প্রতিকূলতার দ্বন্দ্বে।
তবু বাঁচার সংগ্রামে শ্বাস চলে যে নিঃশব্দে।