খেজুরের যত গুণ

ইফতারে খেজুর জনপ্রিয় ফলছবি: পেক্সেলস

খেজুর কমবেশি প্রায় সবারই পছন্দের একটি সুমিষ্ট ও অত্যন্ত সুস্বাদু ফল, যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ এবং চিনির বিকল্প হিসেবে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। শক্তির ভালো উৎস হওয়ায় খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্লান্তিভাব দূর করে। এর ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এ ছাড়া পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেলস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, সেলেনিয়াম, লিউটেন ও জিক্সাথিন।

উপকারিতা:

খেজুর শরীরের আয়রন হার্ট, উচ্চ রক্তচাপ, কোষ্টকাঠিন্যসহ একাধিক সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
এতে বিদ্যমান অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেমন ক্যানসার, ডায়াবেটিস, আলঝেইমার (মস্তিষ্কের রোগ) ও হৃদরোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
খেজুরের ভিটামিন সি ত্বক শিথিল হওয়া রোধ করে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ও আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বকের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
এর লিউটেন ও জিক্সাথিন চোখের রেটিনা ভালো রেখে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এর পটাশিয়াম ও সোডিয়াম দূষিত কোলেস্টেরল দূর করে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেহের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে রক্তপ্রবাহের গতি সঞ্চার করে, ফলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।

খেজুর খাওয়ার সময়:

সবচেয়ে ভালো উপকার পাওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে তিন থেকে পাঁচটি খেজুর খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করা উচিত। এতে সারা দিন দেহে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায় এবং ক্লান্তি বোধ আসে না। এ ছাড়া রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেলেও ভালো উপকার পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস রোগীরা চিনির বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন; তবে ২টির বেশি না খাওয়াই ভালো।

আর কয়েক দিন পরই শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসে প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচটি খেজুর খেয়ে এক গ্লাস পানি দিয়ে ইফতার করতে পারেন। এতে খেজুরের ফ্রুকটোজ পানির সঙ্গে মিশে দ্রুত শক্তি জুগিয়ে সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে নিমেষেই।

শিক্ষার্থী, খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়