ভৌতিক অণুগল্প

অলংকরণ প্রথম আলো

এক.
অফিস শেষ করে বাসায় যাব। ঘড়ির কাঁটায় তাকিয়ে দেখি রাত ১২টা। বাইরে ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বের হলাম। জনমানবহীন রাস্তা। ভিজেই হাঁটা শুরু করলাম। পথিমধ্যে কেউ একজন ছাতা নিয়ে এগিয়ে এলেন। কোনো কথা বললেন না। মাথার ওপর ছাতা বাড়িয়ে দিলেন। বাসার সামনে চলে এসেছি। শুকনা কাপড় পরিধান করে জানালার পর্দা উঠিয়ে উঁকি দিলাম নিচে। লোকটি যেন অপেক্ষায় ছিলেন আমার জন্য, জানালায় দৃষ্টি রেখে।

বিদ্যুৎ চমকালো। ছাতা নেই। কোথাও কেউ নেই!

দুই.
অনুরাধা, অ্যাই অনুরাধা! ঘরে আছিস? আমি তহা।
–হ্যাঁ, আছি রে। আসছি দাঁড়া…

তৎক্ষণাৎ বিকট শব্দে আকাশে বাজ পড়ে। ঘুমন্ত অনুরাধা হকচকিয়ে উঠে দরজা খুলে দেখে, সাদা কাপড়ে কেউ একজন পায়চারি করছে। অনুরাধা বের হতে চাইল। ঠিক তখনই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত ১২টা বেজে ১মিনিট। আজই তহার মৃত্যুর ৪০ দিন পূর্ণ হলো।

তিন.
গভীর রাত। পাশের রুমে গোঙানির শব্দ। শত বছরের পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িজুড়ে আমি একা।

চার.
রুপা, এদিকে শুনে যাও তো মা…
রুপা যেতে চাইলে পেছন থেকে তার মা শেফালি বেগম কাঁধে হাত দিয়ে বলে, যাসনে, কণ্ঠটা তোর বাবার। তোর বাবা রোড অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে আরও ৯ বছর আগে।

পাঁচ.
চারদিকে কুয়াশা। ফজরের আজান হয়নি এখনো। সদরুল আমিন জমি সেচের জন্য বাঁশের আঁটি আর দোন কাঁধে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। জমির কাছে গিয়ে দেখে, তার জমিতে এক বৃদ্ধা সেচ দিচ্ছেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক, কিশোরগঞ্জ বন্ধুসভা